চিল একটি শিকারি পাখি, আবার যাযাবর পাখি৷ ইউরোপে শীত আসার মুখে তারা জিব্রালটার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় গরমকাল কাটাতে৷ কিন্তু তারা জিব্রালটার প্রণালীর প্রায় ১২ মাইল সাগর পার হয় কী করে?
বিজ্ঞাপন
গ্রীষ্মের শেষদিকে স্পেনের দক্ষিণ উপকূল৷ আগস্টের শেষে লক্ষ লক্ষ যাযাবর পাখি এখানে এসে জড়ো হয় – তাদের সুদীর্ঘ যাত্রাপথে সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি এখন তাদের সামনে৷
চিলের মতো শিকারি পাখিদের জন্য জিব্রালটার প্রণালী হলো একটি অনতিক্রম্য প্রতিবন্ধক৷ যে সব পাখি পাখা মেলে ভেসে যেতে পারে, সাগর পার হওয়ার জন্য তাদেরও প্রয়োজন ‘থার্মাল’ বা গরম হাওয়ার ঘূর্ণির৷ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে চান, এতো বাধা সত্ত্বেও পাখিরা জিব্রালটার প্রণালী পার হয় কী করে৷
পাখিদের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের পূর্ব পাশের প্রায় একশ হেক্টর আয়তনের জলাভূমিই বাইক্কা বিল৷ নানান শ্রেণির দেশি আর পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল এই বিল৷
ছবি: DW/M. Mamun
পরিযায়ী পাখির দল
বাইক্কা বিলের আকাশে ডানা মেলা পরিযায়ী পাখির দল৷ দেশি ও পরিযায়ী মিলে প্রায় ১৬০ প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম এই বিল৷
ছবি: DW/M. Mamun
পদ্ম ফুলে সমারোহ
পদ্ম ফুলে ভরা বাইক্কা বিল৷ শীতের শেষে বাইক্কা বিলে ফুটতে শুরু করে পদ্ম ফুল৷ এপ্রিলের শেষ অবধি বিলজুড়ে দেখা যায় পদ্ম ফুলের সমারোহ৷
ছবি: DW/M. Mamun
কায়েম পাখি
বাইক্কা বিলের কচুরিপানার মাঝে এক দল পার্পল সোয়াম্প হেন বা কায়েম পাখি৷ সারা বছরই দেশি এ পাখিটির দেখা মেলে এই বিলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বড় বক
বাইক্কা বিলে একটি গ্রেট এগরেট বা বড় বক৷ এটিও একটি স্থানীয় পাখি এবং সারা বছরই বিলে কমবেশি এদের আনাগোনা থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছোট্ট ডুবুরি পাখি
বাইক্কা বিলে লিটল গ্রেবে বা ছোট ডুবুরি৷ দেশি এই বিরল পাখিটি বাইক্কা বিলে সারা বছরই কমবেশি দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
জল মোরগ
বাইক্কা বিলে কমন মুর হেন বা জল মোরগ৷ এ পাখিটিও দেশি পাখি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ধূসর বক
গ্রে হেরন বা ধুপনি বক বা ধূসর বক নামেও এটি পরিচিত৷ দেশি এই পাখিটি বাইক্কা বিলে প্রচুর দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
ছোট্ট পানকৌড়ি
বাইক্কা বিলে এক দল লিটল করমোর্যান্ট বা ছোট পানকৌড়ি৷ বাংলাদেশের আবাসিক এ পাখিটিও সারা বছর দেখা যায় এ বিলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বড় পানকৌড়ি
ডানা মেলে রোদ পোহানো এ পাখিটির নাম গ্রেট করমোর্যান্ট বা বড় পানকৌড়ি৷ পরিযায়ী এ পাখিটি শীতে দেখা যায় বাইক্কা বিলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাপ পাখি
ওরিয়েন্টাল ডার্টার বা সাপ পাখি৷ সাপের মতো লম্বা গলার বিরল এই পাখিটি বাইক্কা বিলে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
দেশি ও পরিযায়ী পাখি
বাইক্কা বিলে একদল দেশি ও পরিযায়ী পাখি৷ বিলের পশ্চিম প্রান্তে নির্জনে এরকম পাখির দল বেশি দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
কালো মাথার কাস্তেচরা
বাইক্কা বিলের পশ্চিম প্রান্তে খাবারের খোঁজে একদল ব্লাক হেডেড আইবিস বা কালো মাথার কাস্তেচরা৷ পাখিটি দেখলে মনে হয় এর মাথা আলকাতরায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে৷ বাইক্কা বিলে শীতের সময় বিরল এ পাখিটি দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
শামুকখোল পাখি
বাইক্কা বিলে বাংলাদেশের আবাসিক পাখি এশিয়ান ওপেনবিল বা শামুকখোল৷
ছবি: DW/M. Mamun
লেঞ্জা হাঁস
পিনটেইল বা লেঞ্জা হাঁস৷ পরিযায়ী এ পাখিটি শীতে দেখা যায় বাইক্কা বিলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাতারি হাঁস
বাইক্কা বিলে শীতের পরিযায়ী পাখি কমন তিল বা পাতারি হাঁস৷
ছবি: DW/M. Mamun
খুন্তে হাঁস
বাইক্কা বিলে নর্দান শোভেলার বা খুন্তে হাঁস৷ পরিযায়ী এ পাখিটি বাইক্কা বিলে শীতে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আলোকচিত্রীদের ভিড়
ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারদের কাছে বাইক্কা বিল একটি পছন্দের জায়গা৷ শীতে জায়গাটিতে আলোকচিত্রীদের আনাগোনা বেশি থাকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাখি দেখা
বাইক্কা বিলে ছোট নৌকায় চড়ে পর্যটকরা পাখি দেখতে পারেন৷ এছাড়া বিলের পাশে পর্যটকদের জন্য দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
18 ছবি1 | 18
মাক্স প্লাংক পক্ষিবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা দেখতে চান, ইউরোপীয় ‘কাইট’ বা চিলরা কীভাবে জিব্রালটার প্রণালী পার হয়৷ এক্ষেত্রে বাতাসই পাখিদের সবচেয়ে বড় শত্রু, কেননা এই পুবের বাতাস পাখিদের আবার ডাঙার দিকে ঠেলে ফিরিয়ে দেয়৷ চিলরা কীভাবে সাগর পার হয়, তা জানার জন্য গবেষকরা এবার তাদের গায়ে ট্র্যাকিং ট্রান্সমিটার বসাতে চান৷
কাজ শুরু হলো৷ তাঁর গবেষণার জন্য দাভিদ সান্তোসকে যতো বেশি সম্ভব চিল ধরে, তাদের গায়ে খুদে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসাতে হবে৷ সেই ডাটা থেকে চিলরা কীভাবে সাগর পার হয়, তা জানার আশা রাখেন বিজ্ঞানীরা৷
এযাবৎ মাত্র ছ'টি চিল ধরা পড়েছে – সূচনা হিসেবে খারাপ নয়৷ পাখির মাথার ওপর ঢাকনা দিলেই সে মনে করে, এখন রাত হয়েছে – তাই সে চুপচাপ থাকে৷ ট্রান্সমিটারটা সযত্নে রুকস্যাকের মতো পাখির পিঠে বেঁধে দেওয়া হল৷ গবেষক তাঁর নিজের মোবাইল ফোন থেকে দেখতে পান, পাখিটা কোথায় আছে এবং ঠিক কী করছে৷
পক্ষিবিজ্ঞানী দাভিদ সান্তোস জানালেন, ‘‘এটা একটা বিশেষ ধরনের লগ৷ সেলফোন নেটওয়ার্ক জিএসএম-এর মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সমিট করে৷ ভেতরে একটা সিমকার্ড আছে, এটার জিপিএস, একটা অ্যাক্সিলারোমিটার আছে, যা পাখিটার ওড়ার পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করে৷’’
পরদিন সকালে বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি যাচাই করছেন৷ আজ যতগুলো সম্ভব পাখি ধরতে হবে - কেননা বাতাস ধরে এলেই পাখিরা তাদের যাত্রা শুরু করবে৷ সময় চলে যাচ্ছে: এক সপ্তাহের মধ্যেই পাখিদের অভিপ্রায়ণের সময় শেষ এবং বিজ্ঞানীদের সব কাজটাই মাটি৷ সান্তোস বললেন, ‘‘কাজেই পাখি ধরার এটাই সেরা সময় – অধিকাংশ পাখি এখন সাগর পার হবে না৷ ওরা এখানে থেকে খাবারের খোঁজ করবে৷’’
পাখিদের জন্য ‘বিমানবন্দর’ বানাচ্ছে চীন
পরিযায়ী পাখিরা যেন দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার ফাঁকে বিশ্রাম নিতে পারে সেজন্য এই ‘বিমানবন্দর’ তথা অভয়ারণ্য তৈরি করবে চীন৷ সম্প্রতি এই অভয়ারণ্যের নকশা প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: McGregor Coxall
বিশ্রামাগার
চীনের বন্দরনগরী তিয়ানজিনে পরিযায়ী পাখিদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে৷ অঞ্চলটি ‘ইস্ট এশিয়ান-অস্ট্রেলেশিয়ান ফ্লাইওয়ে’র মধ্যে অবস্থিত৷ পরিযায়ী পাখিরা বিশ্বের যে নয়টি ফ্লাইওয়ে ব্যবহার করে, এটি তার একটি৷ প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন পরিযায়ী পাখি এই ফ্লাইওয়ে দিয়ে যায়৷
ছবি: McGregor Coxall
প্রথম
বলা হচ্ছে, এটি হবে পাখিদের জন্য তৈরি বিশ্বের প্রথম বিমানবন্দর৷ একটুখানি কল্পনার আশ্রয় নিয়ে উপরের নকশাটি দেখলে বুঝতে পারবেন, পাখিদের জন্য টেক অফ আর ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সেখানে৷ প্রায় ৫০ প্রজাতির (যাদের কয়েকটি বিলুপ্তির মুখে) পরিযায়ী জলচর পাখি সেখানে আশ্রয় নেবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
ছবি: McGregor Coxall
পাখিদের জন্য আবাসস্থল
অভয়ারণ্যটি ৬১ হেক্টর জায়গার উপর গড়ে তোলা হবে৷ সেখানে পাখিদের আশ্রয় নেয়ার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা রাখা হবে৷ পাখিগুলো প্রধানত জলচর হওয়ায় সেখানে থাকবে লেক, থাকবে ঘাসের মতো ছোট উদ্ভিদের সমারোহ ইত্যাদি৷ এছাড়া প্রায় ২০ হেক্টর এলাকা জুড়ে থাকবে বন৷
ছবি: McGregor Coxall
টার্মিনাল
যেহেতু বিমানবন্দর তাই টার্মিনালতো থাকবেই৷ কিন্তু সেখানে থাকবে না কোনো চেক-ইন কাউন্টার বা ডিউটি-ফ্রি শপ৷ এর পরিবর্তে ‘লিনগাঙ বার্ড স্যাংচুয়ারি’র টার্মিনাল থেকে পর্যটকরা পাখি দেখতে পারবেন৷
ছবি: McGregor Coxall
গবেষণা কেন্দ্র
‘ওয়াটার প্যাভিলিয়ন’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র থাকবে ঐ অভয়ারণ্যে৷ এর মাধ্যমে পাখি বিষয়ক গবেষণায় নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন৷ এছাড়া সেখানে হাঁটা ও সাইকেল চালানোর পথও তৈরি করা হবে৷
ছবি: McGregor Coxall
২০১৮ সালে চালু
পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোলে ২০১৮ সালে অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
ছবি: McGregor Coxall
6 ছবি1 | 6
গবেষকরা খাঁচার মধ্যে খাবার ছড়িয়ে রেখেছেন৷ পাখিরা কি খাবারের লোভে খাঁচায় ঢুকবে, নাকি তারা ইতিমধ্যেই সাগর পাড়ি দিতে শুরু করেছে? এক ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, তবু কোনো পাখি এখনও খাঁচায় ঢোকেনি৷ প্রথমে কোনো একটি পাখির সাহস করে ঢোকা দরকার৷ হঠাৎই খাঁচাটা ভর্তি হয়ে গেল!
এখন কোনো ভুল হলে চলবে না৷ একটি শেল্টার থেকে গবেষকরা খাঁচাটা বন্ধ করে দিতে পারেন – চিলরা তাদের দেখতেই পারবে না৷ আজ সেই দিন৷ বাতাস ঘুরে গেছে৷ পাখিদের পক্ষে আদর্শ আবহাওয়া৷ পক্ষিবিজ্ঞানীরা জিব্রালটার প্রণালীর অনেক উপর থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন৷ যে কোনো মুহূর্তে পাখিদের যাত্রা শুরু হতে পারে৷
সাগরপাড়ি
বাতাস গরম হচ্ছে৷ স্বল্পক্ষণের মধ্যেই প্রণালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে শত শত পাখি এসে জড়ো হয়েছে; তারা ‘থার্মাল’ বা গরম বাতাসে চড়ে ওপরে উঠছে, যা কিনা যাত্রার অব্যবহিত প্রস্তুতি৷
প্রাথমিক তথ্য থেকেই দেখা যাচ্ছে, চিলরা এনার্জি সেভিং-এর ব্যাপারটা খুব ভালো বোঝে৷ ডাঙায় থাকতেই তারা গরম হাওয়ার ঘূর্ণি ধরে ১,২০০ মিটার উচ্চতায় উঠে যায়, যাতে তারা পাখা না ঝাপটে, স্রেফ ধীরে ধীরে ভেসে ভেসে প্রণালী পার হয়ে নীচে নামতে পারে৷ এক্ষেত্রে পাখিদের সঠিক হিসেব করতে হবে, ১৪ কিলোমিটার সাগর পার হওয়ার জন্য তাদের কতোটা উঁচুতে উঠতে হবে৷ ওপারে পৌঁছে কয়েকবার পাখা ঝাপটালেই আবার ‘থার্মাল’ ধরে আকাশে ওঠা যাবে৷
এবার শুধু আফ্রিকা মহাদেশটা পার হলেই দক্ষিণ আফ্রিকা – সেখানেই গ্রীষ্ম কাটাবে এই সাগরপারের অতিথিরা৷
সারসের কথকতা
গরম শেষে শীত আসা শুরু করলে সারস পাখিরা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে৷ সাধারণত দলবেঁধেই তারা চলাচল করে৷
ছবি: Imago/blickwinkel/H. J. Zimmermann
ঠিক যেন রানওয়ে
ছবিটি জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য থেকে তোলা৷ আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হয়ে আসায় সারস পাখিরা এখান থেকে দলে দলে দক্ষিণ ফ্রান্সের দিকে উড়াল দিচ্ছে৷ দেখে মনে হচ্ছে যেন রানওয়ে থেকে তারা কেবল ওড়া শুরু করছে৷ ঠান্ডা আরও বাড়লে ফ্রান্স থেকে তারা চলে যাবে উত্তর আফ্রিকার দিকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
পাখিপ্রেমিদের সমাগম
পাখিদের উড়াল দেখতে পছন্দ করেন এমন পর্যটকের সংখ্যা কম নয়৷ জার্মানি ছাড়াও ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস থেকেও পর্যটকরা আসেন পাখি দেখতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
চেনার উপায়
ছবিটি খেয়াল করে দেখুন৷ যার মাথা একটু লালচে দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটু বেশি বয়সের সারস৷ আর তরুণ সারসদের মাথার রং হয় দারুচিনির মতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Hirschberger
দিনে কয়েকশ কিলোমিটার
সারসরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে উড়তে পছন্দ করে৷ ওড়ার সময় ইংরেজি ‘ভি’ এর মতো গ্রুপ তৈরি করে তারা৷ একেকটি গ্রুপে ১০ থেকে ২০০’র মতো সারস থাকে৷ তারা দিনে কয়েকশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে৷ প্রায় চার হাজার মিটার উঁচু দিয়ে উড়ে সারসরা৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images
জ্বালানি সংগ্রহ
জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে সারসদের শস্যকণা খেতে দেখা যাচ্ছে৷ ফসল ঘরে তোলার পর মাঠে যা পড়ে থাকে তাও খেয়ে থাকে তারা৷ আসলে সারসরা দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার জন্য শরীরে শক্তি সঞ্চয় করছে৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়া কিংবা রাশিয়া থেকে এসেছে এই পাখিগুলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
অনেক দূর থেকে কণ্ঠ শোনা যায়
কোনো কোনো সারসের কণ্ঠ প্রায় তিন কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়৷ এক গ্রুপ পাখি যখন একসঙ্গে কথা বলে তখন মনে হয় যেন একদল মানুষ উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে৷ সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এরকম শব্দ শোনা যায়৷