1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সোফার আরাম ছেড়ে সরব হতে হবে'

৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানির কেমনিৎস শহরে আবার বিদেশি-বিদ্বেষী বিক্ষোভের পর জার্মানির রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের উদ্দেশ্যে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার ডাক দিয়েছেন৷

Teilnehmer der Demonstration der AFD in Chemnitz greifen Journalisten und Polizei an
ছবি: Reuters/H. Hanschke

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের কেমনিৎস শহরে লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে অশান্তি চলে আসছে৷ সপ্তাহান্তেও বিদেশি-বিদ্বেষের মারাত্মক বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল৷ শনিবার চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল ও ইসলাম-বিদ্বেষী পেগিডা সংগঠনের ডাকে প্রায় ৮,০০০ মানুষ শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ তাদের বিরোধিতা করতে প্রায় ৩,০০০ মানুষ ছোট ছোট দলে পালটা বিক্ষোভ করে৷ রবিবার কেমনিৎস শহরে বিদেশি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ছোট আকারের একটি মিছিল হয়েছে৷

শনিবার চরম দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও সবুজ দলের বেশ কয়েকজন রাজনীতিকও অংশ নেন৷ এসপিডি দলের সংসদ সদস্য স্যোরেন বার্টল ক্ষুব্ধ হয়ে এক টুইট বার্তায় জানান যে, নাৎসিরা তাঁর নেতৃত্বে এক গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়েছে৷ বাসের দিকে যাবার সময় তারা এসপিডি পতাকাগুলি নষ্ট করে দেয় এবং কয়েকজনের উপর হামলা চালায়৷ 

গত সপ্তাহে অসহায় ভূমিকার পর পুলিশ এবার যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে৷ অন্যান্য রাজ্য থেকেও পুলিশ এনে কেমনিৎস শহরে মোতায়েন করা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ কর্মীও ছিলেন৷ স্থানীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কর্মীরাও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

শহরে লাগাতার অশান্তির ফলে জার্মানির রাজনৈতিক জগত ও বৃহত্তর সমাজে অস্বস্তি বাড়ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বিদেশি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবার ডাক দেন৷ জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড দৈনিক ‘বিল্ড'-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সোফার আরাম ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মুখ খুলতে হবে৷ গোটা বিশ্বকে দেখাতে হবে যে, গণতান্ত্রকামী হিসেবে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ আর বর্ণবাদীরা সংখ্যালঘু৷ নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে উচ্চ কণ্ঠে সোচ্চার হতে হবে৷''

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ঘটনার প্রেক্ষাপটে জার্মানির বিভিন্ন প্রান্তে বিদেশি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে অনেকেই সরব হচ্ছেন৷

জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের কার্যকলাপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে কোনো রাখঢাক না করে তারা যেভাবে নব্য নাৎসিদের সহযোগিতা করছে, তার ভিত্তিতে এই দলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থাকে এএফডি দলের উপর নজরদারি করতে হবে, এমন দাবিও তুলছেন অনেকে৷ তবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এএফডি-কে ‘শহিদ' না করে তোলার বিষয়েও সতর্ক করে দিচ্ছেন অনেক নেতা৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ