মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, আগামী সোমবারের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
কাতারে এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কবে নাগাদ যুদ্ধবিরতি হবে বলে তিনি আশা করেন। জবাবে তিনি বলেছেন, ''আমার নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মতৈক্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। আমার আশা, আগামী সোমবারের মধ্যে তা হয়ে যাবে।''
আরব দেশগুলির আবেদন
আরব দেশগুলি আন্তর্জাতিক আদালত(আইসিজে)-এর বিচারপতিদের অনুরোধ করেছে, ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে, তা যেন তারা অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।
জাতিসংঘের সাধারণ সভা ২০২২ সালে আইসিজে-কে অনুরোধ করে, তারা যেন এই বিষয়ে মতামত দেয়। তবে দেশগুলি তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবে না।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে কী বলছেন বিশ্বনেতারা
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলো। বিশ্বনেতারা খুশি। তবে তাদের মতে, এবার শান্তি আলোচনা জরুরি।
ছবি: Ibraheem Abu Mustafa/REUTERS
বাইডেনের প্রতিশ্রুতি
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তার প্রশাসন ফিলিস্তিনে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানুষের নিরাপদে জীবনযাপনের সমান অধিকার আছে। সমান স্বাধীনতা আছে। এটাই সুযোগ, উন্নতির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার।
ছবি: Drew Angerer/Getty Images
সহিংসতা বন্ধের পক্ষে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব টুইট করে বলেছেন, ''এই যুদ্ধবিরতি যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেজন্য সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। সহিংসতা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাজ্য শান্তির জন্য যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে।''
ছবি: Ashraf Shazly/Getty Images/AFP
মিশরের প্রেসিডেন্ট
মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। তাই মিশরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাইডেন। তারপরই মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতাহ আল-সিসি বলেছেন, ''যুদ্ধবিরতির পিছনে বাইডেনের অবদান প্রচুর।' উপরের ছবিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট ডানদিকে।
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Egyptian Presidency Media office
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ১১ দিনের মারাত্মক সংঘাত শেষের ঘোষণাকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। গুতেরেস বলেছেন, ''এই সংঘাত কেন হলো, তার মূল কারণ খুঁজতে হবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে। তাদের আলোচনা শুরু করতে হবে।''
ছবি: Eduardo Munoz/Reuters
প্রথম পদক্ষেপ, বলল পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, ''সকলে যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এটা হলো সেই সম্মিলিত শক্তির ফল। তবে এটা ফিলিস্তিনে শান্তি আসার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।''
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance
শান্তি আলোচনা চায় সুইডেন
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাান লিন্ডে বলেছেন, ''এটা ভাল খবর। এখন গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সব চেয়ে জরুরি কাজ। তারপর শান্তি আলোচনা করতে হবে।''
ছবি: The Government Offices of Sweden/Kristian Pohl
6 ছবি1 | 6
তরস্ক জানিয়েছে, ভূখণ্ড অধিকার করে নেয়াটাই ওই অঞ্চলে বিরোধের মূল কারণ। আরব দেশগুলির আর্জি, ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডকে বেআইনি ঘোষণা করা হোক।
ইসরায়েল এই শুনানিতে অংশ নিচ্ছে না। তারা বলেছে, আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে আদালতের রায় তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাদের দাবি, আদালতে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে তা পক্ষপাতমূলক।
আইসিজের শুনানি সোমবার শেষ হয়েছে। পরে তারা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ১৫ বিচারপতির বেঞ্চের রায় দিতে ছয় মাস মতো সময় লাগতে পারে।
পশ্চিম তীর: ফিলিস্তিন সরকারের ইস্তফা
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
পরবর্তী সরকারের গঠন পর্যন্ত তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত
02:15
সোমবার শাতায়েহ পদত্যাগ করেছিলেন। ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা যাতে রাজনৈতিক কাঠানো নিয়ে অধিকতর মতৈক্য়ে আসতে পারে, সেজন্যই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সরকার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উপর অ্যামেরিকার একটা চাপ ছিল। এই ফিলিস্তিনি সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটা অংশ শাসন করে।