1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হরতাল বিচার ব্যবস্থাকে উপেক্ষার শামিল’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ জুন ২০১৩

আদালত অবমাননার অভিযোগে জামায়াতের ৩ নেতাকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দণ্ড দিয়েছে৷ তার প্রতিবাদে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা যে হরতাল পালন করছে, তাকে প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে উপেক্ষা বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷

ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

জামায়াতে ইসলামীর ৩ নেতা - ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ এমপি এবং সেলিম উদ্দিনকে আদালত অবমাননার অভিযোগে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দণ্ড দেয় রবিবার৷ রফিকুল ইসলাম খান এবং হামিদুর রহমান আজাদকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং সেলিমুদ্দিন আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং আদালত চলা পর্যন্ত কোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়৷ এই ৩ নেতার দণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতের সোমবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল৷

হরতাল ডেকেই তারা রোববার দুপুর থেকে রাজধানীতে গাড়ি ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন দেয়৷ অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বাড়িতেও বোমা হামলা চালানো হয়েছে৷ দুপুর দেড়টার দিকে তার মিরপুর দারুসসালাম রোড এলাকার বাড়িতে ৪ টি হাতবোমা ছুড়ে মারা হয়৷ এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বাড়ির জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার জামায়াতের এই হরতালকে তাদের পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, জামায়াত চায় যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে৷ তাই যে কোনো ইস্যুতে তারা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ তারা এর আগে যুদ্ধপরাধের বিচার বন্ধ এবং বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের মুক্তির দাবিতে হরতাল এবং ব্যাপক সহিংসতা করেছে৷ আবারো তারা তাদের ৩ নেতার দণ্ডের প্রতিবাদ এবং মুক্তি দাবি করে হরতাল ডেকেছে৷ তারা আসলে আইন কানুন মনেনা বা মানতে চায়না৷

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে জানান, আদালত অবমাননার রুল জারির পর জামায়াতের এই ৩ নেতা আদালতে হাজির হননি৷ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির পরও তারা আদালতে যাননি বা আত্মসমর্পণ করেননি৷ একজন নেতা সেলিমুদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে৷ তার আগে তিনিও আদালতকে উপেক্ষা করে আসছিলেন৷ দেশের প্রচলিত আইন এবং বিচার ব্যবস্থাকে তারা উপেক্ষা করছেন৷ তারা আইন মানতে চান না৷ আর এই আইন অমান্য করায় তাদের যখন শাস্তি দেয়া হয় তখন তারা হরতাল ডাকেন৷ রেজাউল করিম আরও মনে করেন, এই ধরণের রাজনৈতিক দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারেনা৷

তাঁর মতে, তারা এই আইন অমান্যের কাজ আগে থেকেই শুরু করেছে৷ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি রায়ের বিরুদ্ধে তারা হরতাল দিয়েছে৷ দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে৷

তাঁরা দুজনই মনে করেন, জামায়াতের এইসব ‘বেআইনি' কাজ কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাদের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত৷

(প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটি ফাইল থেকে নেয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ