সোমালিয়ার দু’টি এলাকায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করলো জাতিসংঘ
২০ জুলাই ২০১১![Somalische Hirten, die ihren gesamten Viehbestand wegen anhaltender Trockenheit verloren haben, betrachten am 19.06.2008 in Bohol in Somalia die Kadaver der Tiere. Nicht nur in Somalia, sondern auch in Äthiopien, Eritrea, Kenia, Dschibuti und im Norden Ugandas sind die Ackerböden nach drei Dürrejahren sind die Ackerböden ausgetrocknet, Mais und Getreide wachsen nur spärtlich. Mit jeder Dürre, jeder schlechten Ernte verschlechterten sich die Anbaubedingungen. Wenn der Regen im September ausbleibt, droht am Horn von Afrika eine Hungerkatastrophe. Schon jetzt überschlagen sich die schlechten Nachrichten von Hilfsorganisationen und UN. EPA/BADRI MEDIA (Zu dpa-Korr.: "Am Horn von Afrika droht Hungersnot - Millionen brauchen Hilfe" vom 24.07.2008) +++(c) dpa - Bildfunk+++](https://static.dw.com/image/15228608_800.webp)
জাতিসংঘ বুধবার সোমালিয়ার দক্ষিণে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে৷ বিদ্রোহী ‘আল শবাব' নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ বাকুল ও লোয়ার শাবেল নামের দু'টি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ এই দুর্ভিক্ষের ফলে অনাহারে ভুগছে৷ গত দুই দশকে এই এলাকায় এত মারাত্মক আকারের দুর্ভিক্ষ দেখা যায় নি৷ ১৯৯১ সালে সোমালিয়ায় শেষ বার এমন বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল৷
‘আফ্রিকার শৃঙ্গ' বলে পরিচিত এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সোমালিয়া ছাড়াও কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়া ও জিবুতি এই অঞ্চলে অবস্থিত৷ ইরিট্রিয়ার সরকার সেদেশের দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সম্পর্কে নীরব থাকায় কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরিট্রিয়ার উদ্দেশ্যে কোনো রাখ-ঢাক না করে সেদেশের বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশ করার ডাক দিয়েছে৷ সোমালিয়া থেকে প্রায় ৭৮,০০০ শরণার্থী কেনিয়া ও ইথিওপিয়ায় বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে৷ শুধু কেনিয়ার দাদাব শরণার্থী শিবিরেই সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে৷
জাতিসংঘের মানবিক ক্ষেত্রে সমন্বয়কারী দপ্তর গোটা এলাকার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী সোমালিয়ার মোট জনসংখ্যা অর্ধেক – অর্থাৎ প্রায় ৩৭ লক্ষ মানুষ সংকটে পড়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষই দক্ষিণে বসবাস করে৷ সেদেশের লাগাতার সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অরাজকতার ফলে সাহায্যকারী সংস্থাগুলি বিশেষ করে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তৎপর হতে পারছে না৷ তার উপর ‘আল শবাব' গোষ্ঠী প্রায় দুই বছর আগে বিদেশী সাহায্য সংগঠন ও কর্মীদের নিজেদের এলাকা থেকে বহিষ্কার করেছিল৷ তারা আসলে পশ্চিমা দেশগুলির গুপ্তচর ও খ্রীস্টান মিশনারি হিসেবে তৎপর বলে অভিযোগ তুলেছিল ‘আল শবাব'৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে গত সপ্তাহে তারা আবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে৷ এরপর জাতিসংঘ সেখানে প্রথম দফার সাহায্য পাঠিয়েছে৷
সোমালিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সাহায্যের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মার্ক বাওডেন বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী দুই মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ সোমালিয়ার দক্ষিণের আটটি অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতি দিনের বিলম্বের ফলে অসংখ্য শিশু ও তাদের পরিবারের প্রাণসংশয় দেখা দিচ্ছে৷''
জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী কোনো এলাকায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ পরিবার মারাত্মক অনাহারে থাকলে, ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগলে এবং প্রতিদিন প্রতি ১০,০০০ মানুষের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হলে তবেই পরিস্থিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ বলা চলে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক