সোমালিয়ার বন্দরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ
১৪ মার্চ ২০২৪![সোমালিয়ার ম্যারিটাইম পুলিশ ফোর্সের একটি দল সমুদ্রে টহল দেয়ার মুহূর্ত](https://static.dw.com/image/68508739_800.webp)
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে জাহাজটির নোঙরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন৷ তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ গারাকাদ বন্দরের কাছে নোঙর করেছে৷ বৈদেশিক একটি শিপিং কোম্পানির সূত্র থেকে তারা এই খবর পেয়েছেন বলে জানান৷ তবে, নোঙর করার নির্দিষ্ট সময় জানতে পারেননি৷
এমভি আবদুল্লাহর মালিকানাধীন সংস্থা কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুল ইসলামও গারাকাদ বন্দরে জাহাজটি নোঙরের কথা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘গতকাল রাত পর্যন্ত আমাদের নাবিকদের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, আমরা তাদের কাছ থেকে জেনেছি, তারা নিরাপদ আছেন, সুস্থ আছেন৷ তবে জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ আমাদের এখনও স্থাপন হয়নি৷ আমরা আশা করছি জলদস্যুরা যেহেতু সেফ জোনে পৌঁছে গেছে, অচিরেই তারা হয়তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন৷ আমরাও বিভিন্ন থার্ড পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি৷ আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে আমাদের যেসব নাবিক জিম্মি অবস্থায় আছেন, তাদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের তরফ থেকে যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা সেগুলো নিয়েছি৷''
এদিকে গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছিল তাদের একটি নৌযান এমভি আব্দুল্লাহকে অনুসরণ করছে৷ বিবৃতিতে তারা বলেছে আটলান্টা অপারেশনের অংশ হিসেবে একটি ইউরোপীয় জাহাজকে তারা এই কাজে নিযুক্ত করেছে৷ মঙ্গলবার জাহজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে৷ সোমালিয়ার বন্দর মোগাদিসু থেকে জাহাজটি তখন প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল৷ ইইউ-এর বাহিনী বিবৃতিতে বলেছে, ক্রুরা নিরাপদে আছে এবং পদক্ষেপ অব্যাহত আছে৷ সোমালি উপকূলের দিকে জাহাজটি এগিয়ে যাচ্ছে৷''
জাতিসংঘের হিসাবে ২০১১ সালে সবচেয়ে বেশি ১৬০টি জাহাজে হানা দেয় সোমালিয়ান জলদস্যুরা৷ এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আন্তর্জাতিক জলসীমানায় উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণে এই সংখ্যা কমতে থাকে৷ তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের তৎপরতা আবার বেড়েছে৷ গত ডিসেম্বরে অন্তত দুইটি জাহাজে জলদস্যুদের হানা দেয়ার খবর মিলেছে৷
এফএস/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার, এপি)