1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসোমালিয়া

সোমালিয়ায় হোটেলে জঙ্গি হামলায় নিহত অন্তত ১৩

২০ আগস্ট ২০২২

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে আল কায়দা ঘনিষ্ঠ জঙ্গিরা একটি হোটেলে হামলা চালিয়েছে৷ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হোটেলে ঢুকে বেশ কয়েকজনকে তারা বন্দি করে৷ তাদের মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ ঘণ্টা চেষ্টা করে৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷

মোগাদিশুতে নিরাপত্তারক্ষীর টহলদারি শনিবার সকালে
মোগাদিশুতে নিরাপত্তারক্ষীর টহলদারি শনিবার সকালেছবি: Feisal Omar/REUTERS

জঙ্গিরা শুক্রবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর একটি হোটেলে ঢুকে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায়৷ হায়াত হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা৷ এর আগে দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে  হামলা করে জঙ্গিরা৷ বেশ কয়েকজনকে তারা বন্দি করে রাখে৷ সোমালিয়ার আল শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহাম্মদ স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা ১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারছি, তারা সবাই সাধারণ মানুষ৷'' তবে পরে আরো একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা রয়েছে৷

জঙ্গিরা হোটেলের তিন তলায় বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করে রেখেছিল৷ তবে তাদের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানা যায়নি৷

আল কায়দা সমর্থিত জঙ্গিরা হোটেলের সিঁড়ির একাধিক অংশ বোমার আঘাতে উড়িয়ে দেয় যাতে সেখান থেকে বন্দিদের উদ্ধার কঠিন হয়৷ এসময় গোটা হোটেল ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়৷ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটাতেও গুলির শব্দ শোনা যায়৷ বিস্ফোরণের কারণে এমনকি রাস্তায় ফাটল ধরে যায়৷

পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী হোটেলটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷ গ্রেনেড ছুড়ে হোটেল থেকে বন্দিদের উদ্ধারের চেষ্টা করে তারা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে হোটেলের বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ হোটেল থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়৷

গত মে মাসে হাসান শেখ মোহাম্মদস দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন৷ তারপর এটি সবথেকে বড় হামলা বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম৷

আল কায়দা-সংশ্লিষ্ট আল শাবাব গোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে অনলাইনে জিহাদি সংগঠনগুলোর কার্যকর নজরদারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টিলেজেন্স গ্রুপ৷ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আল শাবাব সোমালি সরকার পতনের জন্য লড়াই করছে৷ সরকার উৎখাত করে দেশটিতে শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা৷

সোমালিয়ার আইনপ্রণেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে জনপ্রিয় ও নিরাপদ জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল হায়াত হোটেল৷ তাদের মধ্যে কেউ হোটেলটিতে বন্দি ছিলেন কি না, সেটি এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি৷

আরকেসি /এফএস (রয়টার্স)

চাঁদাবাজির অর্থে চলে সোমালিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী

03:15

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ