1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমালি জলদস্যুর দখলে বাংলাদেশের জাহাজ, ২৩ নাবিক বন্দি

১৩ মার্চ ২০২৪

মঙ্গলবার দুপুরে সোমালি জলদস্যুরা বাংলাদেশের জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল করে ২৩ জন নাবিককে বন্দি করেছে।

সোমালি জলদস্যুদের রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা।
সোমালি জলদস্যুদের রুখতে সমুদ্রে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জলদস্যুরা। ছবি: Mohamed Muhidin/Anadolu/picture alliance

জলদস্যুদের হাতে বন্দি জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে অডিও মেসেজ পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছে। আমার থেকেও নিয়ে নেবে। আমার সঙ্গে হয়তো আর যোগাযোগ হবে না। আপনারা দোয়া করেন শুধু।’’ 

ডিডাব্লিউর কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার কে আতিক উল্লাহ খানের মা  শাহনূর বেগম জানিয়েছেন, ‘‘আমার ছেলে ২০০৮ সাল থেকে জাহাজে কাজ করছে। আমি বেশ কয়েকবার সোমালি জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাইয়ের খবর দেখেছি। ২০১০ সালে আরেকটি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি জাহান মনির ছিনতাইয়ের খবরেরও খোঁজ রাখতাম। তখন অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করতাম।’’

শাহনূর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পরিবারের সবাই মিলে গতকাল যখন ইফতার করতে বসি তখন আমার ছেলে ফোন করে জানায় 'আমাদের সবাইকে বন্দি করে ফেলছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। আমরা আপাতত নিরাপদে আছি, মানে আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। কিন্তু ওরা বন্দুক নিয়ে আমাদের চারদিকে টহল দিচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।’ খুব টেনশনে আছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন৷’’

এই জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে এবং দুইশ টন পানীয় জল আছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০ জনের মতো জলদস্যু জাহাজে আছে।

জাহাজটি মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছিল। বাংলাদেশের সময় বেলা দেড়টা নাগাদ সোমালি জলদস্যুরা জাহাজে উঠে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটির মালিক হলো চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। জলদস্যুরা একটি বড় ও একটি ছোট নৌযানে করে আসে।  তারা ওই এলাকায় চলাচলকারী অন্য জাহাজগুলিতে সতর্ক করে দিয়েছে।

আতিক উল্লাহ বাড়িতে জানিয়েছেন, তাদের একটা কেবিনে রাখা হয়েছে। সশস্ত্র জলস্যুরা বাইরে পাহারা দিচ্ছে। 

ওই জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের। সংস্থার মিডিয়া অফিসার মিজানুল ইসলাম বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘কর্মকর্তারা আজ সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিনি জানান, জলদস্যুরা এখন জাহাজটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা সোমালিয়া উপকূলের দিকে যাচ্ছে। উপকূলে পৌঁছাতে আরও একদিন সময় লাগবে হয়তো৷’’

মিজানুল বলেছেন, ‘‘জাহাজ ছিনতাই করার পর এবং মুক্তিপণ দাবি করার আগে  জলদস্যুরা নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আর জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরু করার সুযোগ নেই।’’

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এএফপি, ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ