1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরবিদ্যুৎ চালিত বিমান

৬ মে ২০১৩

কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, শুধুমাত্র সূর্যের আলো ব্যবহার করে দিনে ও রাতে চলতে পারে সোলার ইমপালস নামের একটি বিমান৷ এভাবে সে যুক্তরাষ্ট্রের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে চায়৷

ছবি: Reuters

তারই প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার৷ এ লক্ষ্যে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ছয়টার দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিমানঘাঁটি থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি৷ প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর তা মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে অ্যারিজোনা রাজ্যের রাজধানী ফিনিক্সের বিমানবন্দরে অবতরণ করে৷ বিমানটি চালান সোলার ইমপালস প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা সুইস নাগরিক ব্যার্ট্রান্ড পিকার৷

পুরো চলার পথটি live.solarimpulse.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী সোলার ইমপালস বিমানটি প্রায় ১০ দিন ফিনিক্সে থাকবে৷ এই সময় আগ্রহীরা এর প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন৷

ফিনিক্স থেকে বিমানটি ডালাস, টেক্সাস, ওয়াশিংটন হয়ে নিউইয়র্ক যাবে৷ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সোলার ইমপালস নিউইয়র্ক পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷

পিকার আর তাঁর আরেক সহকর্মী অন্দ্রেঁ বোরশবার্গ পালা করে বিমানটি চালাবেন৷

ব্যার্ট্রান্ড পিকার (বামে) ও অন্দ্রেঁ বোরশবার্গছবি: Reuters

উদ্দেশ্য

পুরো প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে জ্বালানি ছাড়াই সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিমান চালানো৷ এ লক্ষ্যে ২০০৩ সালে দশ বছরের জন্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট নিয়ে কাজ শুরু হয়৷ ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সৌরচালিত একটি পরীক্ষামূলক বিমান উড়তে সক্ষম হয়৷ তখন ভূমি থেকে এক মিটার উঁচু দিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার এলাকা পাড়ি দেয় বিমানটি৷

এরপর গত বছরের জুন মাসে সৌরচালিত বিমানটি স্পেন থেকে মরক্কো যায়৷ ওটাই ছিল প্রথম আন্তঃ মহাদেশীয় যাত্রা৷ আর ২০১৫ সালে পুরো বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন এর উদ্যোক্তারা৷

জাম্বো জেটের মতো দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট এই বিমানে প্রায় ১২ হাজার সৌরকোষ লাগানো রয়েছে৷ দিনের বেলায় এগুলো আলো সঞ্চয় করে রাখে, যেন রাতের বেলায় তা দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করা যায়৷

সৌরচালিত এই বিমানে দীর্ঘ পাখা থাকলেও ওজনে সেটা একটি ছোট গাড়ির সমান মাত্র৷

আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন সোলার ইমপালস প্রকল্পের প্রধান পিকার৷

তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ