1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং

২১ জানুয়ারি ২০২০

সোলার জিও ইঞ্জিনিয়ারিং বা সৌর ভূ-প্রকৌশল একটি নতুন ধারণা৷ গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এই নতুন ধরনের গবেষণা নিয়ে কাজ করছেন৷ এটি যেমন বিপুল সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র, তেমনি এর ঝুঁকিও রয়েছে৷

BG Solar Declathon Europe 2019
ছবি: Getty images/AFP/A. Kisbenedek

কল্পনা করুন আপনি সাগর থেকে পানি তুলে নিচ্ছেন৷ অনেক পানি-  ধরুন কয়েক শত বিলিয়ন টন৷ এবার পুরো পানিটুকু জমে কয়েক ট্রিলিয়ন টন তুষার হয়ে গেল৷ এভাবে অ্যান্টার্কটিকের একটি অংশকে আপনি তুষারে পরিণত করলেন৷ বরফের ওপর আরেকটি বরফের চাদর৷

একটি গবেষক দলের হিসেবে এভাবে অ্যান্টার্কটিকের বরফ গলা ঠেকানো যাবে৷ আর বাঁচানো যাবে সাংহাইয়ের মতো শহর অথবা ডুবে যাওয়া থেকে বেঁচে যাবে নিউইয়র্ক৷ কারণ এই গবেষকরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকের বরফ গলে গেলে পানির উচ্চতা বাড়বে তিন মিটারের বেশি৷

তাদের একজন বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানী মার্ক লরেন্স৷ তিনি বলেন, ‘‘পিআইকের গবেষকরা সেটাই করছেন যেটা গবেষকরা বরাবরই করে থাকেন- গেডাঙ্কেনএক্সপেরিমেন্টে বা চিন্তার পরীক্ষা৷''

তাই এখানে সবকিছুই এখনো তাত্ত্বিক৷ বিষয়টা হলো, পৃথিবীর জলবায়ু সিস্টেমের ভেতর কেমন করে ঢোকা যায়৷ একে বলা হয় ভূ-প্রকৌশল৷

এর দুই প্রধান ধারা আছে:

প্রথমত, কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে সরিয়ে দেয়া এবং দ্বিতীয়ত, সৌরশক্তি প্রতিফলনের ব্যবস্থা রাখা, যেন পৃথিবী দ্বিতীয়বার উত্তপ্ত না হয়৷

পদার্থবিদ জেসিকা স্ট্রেফলার বলেন, ‘‘নানা রকমের উদ্যোগ নিয়ে আমরা ভাবছি৷ একদিকে গাছ লাগিয়ে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমানোর চেষ্টা করছি, অন্যদিকে, কারিগরি উদ্যোগ নিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড সরাসরি বায়ুমণ্ডল থেকে বের করে নিয়ে আসা, যেমন, কৃত্রিম গাছ লাগানো৷ তবে কার্বন ডাই-অক্সাইডেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ একেও ভূ-তাত্ত্বিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে৷''

কী করতে পারে সৌর ভূ-প্রকৌশল

04:23

This browser does not support the video element.

সমস্যা হলো কোথায় রাখা হবে কার্বন ডাই-অক্সাইড? একটা উপায় হলো একে মাটির নীচে সংরক্ষণ করা যেতে পারে৷ পাইলট আকারে কিছু প্লান্টও করা হয়েছে৷ কিন্তু ভাবনার বিষয়ও আছে৷

‘‘যে ঝুঁকির কথা সবাই ভাবছে, তা হলো কার্বন ডাই-অক্সাইড আবার বেরিয়ে আসতে পারে৷ যদি বেরিয়ে আসেও তার পরিমাণ হবে অনেক কম, যা খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বায়ুমণ্ডলের ওপর,'' বলেন জেসিকা৷

সৌর জিও-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নানা ধারণা নিয়ে কাজ করা হয়৷ সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়টি হলো, বাতাসে এমন কিছু কণা ছড়িয়ে দেয়া যা সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করে আবার মহাকাশে পাঠিয়ে দেবে৷ যেমন, সালফারের কণা৷

মার্ক লরেন্স বলেন, ‘‘স্ট্রাটোস্ফিয়ারে যদি পর্যাপ্ত কণা ছাড়া যায় যে এগুলো এর তাপমাত্রাও পর্যাপ্ত পরিমাণে বদলে দিতে পারে, ধরুন ২ ডিগ্রি, তাহলে বায়ুমণ্ডলের রঙই বদলে যাবে৷ আমরা এমনটা দেখেছি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের পর, খুবই অদ্ভুত রঙ যেমন ম্যাজেন্টা বা কমলা রঙয়ের সূর্যাস্ত৷ এমনকি আকাশ আরো সাদা হয়ে উঠতে পারে, নীল কমে যেতে পারে৷ এমন পরিবর্তনগুলো হয়তো তখন চোখে ধরা পড়বে৷ তবে মনে রাখতে হবে, এর প্রভাব শুধু আমাদের ওপর নয় আরো অনেক জীবের ওপর পড়তে পারে, বিশেষ করে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে জীবনপ্রক্রিয়া জড়িত যেসব পোকামাকড় আছে সেগুলোর৷''

সোলার জিও-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে৷ তবে একই সময়ে কোনো কোনো এলাকা আরো অনেক শুষ্ক হয়ে যাবে৷ আর এটা বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না৷ তবে এই গবেষকদের কাছে এখনো সবকিছু চিন্তায় সীমাবদ্ধ৷ এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি৷

তাহলে জিওইঞ্জিনিয়ারিং ভূমিকা কী? এত সব ঝুঁকি নিয়ে তা কি আমাদের জলবায়ুকে বাঁচাতে পারবে?

জিওইঞ্জিনিয়ারিং আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে তা বুঝতে এখনো অনেক গবেষণা দরকার৷ কিন্তু এরপর তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অংশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে৷

লেয়া আলব্রেশট/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ