হলিউডের জনপ্রিয় তারকা রবিন উইলিয়ামস আত্মহত্যা করেছেন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ন্যান্সি আত্মহত্যা করেছেন বলে পত্র-পত্রিকায় খবর হয়েছে৷ জীবন ও আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে৷
‘‘কিছুদিন আগে রবিন উইলিয়ামস আত্মহত্যা করলেন৷ পৃথিবীর সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে আমাদের শিল্পী ন্যান্সিও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন৷ বুঝে গেলাম আগুন ছড়াতে শুরু করেছে৷ কাজেই তড়িঘড়ি করে আত্মহত্যা নিয়ে আমি লিখলাম৷ উদ্দেশ্য একটাই৷ যদি কেউ লেখাটা পড়ে সর্বনাশা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘আত্মহত্যার ফলে লাভটা কী হলো? সম্ভাবনাময় এক জীবনের খুবই দুঃখজনক পরিণতি৷''
মঞ্জুর চৌধুরী আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন তাঁর লেখায়৷ লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশে একটি মেয়ে যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, তখন তার আশেপাশের মানুষ নানান কুৎসা রটাতে শুরু করে, বেশিরভাগই রসালো এবং মশলাদার৷ দুঃখজনক হলো, মানুষ এইসব ফালতু কথা বিশ্বাসও করে৷''
তিনি আঁর পরিচিত একজনের আত্মহত্যার খবর উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘মেয়েটি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ মেয়েটির মৃত্যুর খবর কলেজে আসতেই ক্লাসমেটদের মধ্যে ফিশফিশানি শুরু হয়ে গেল, তবে কি সে প্রেগন্যান্ট ছিল? না হলে আত্মহত্যা করবে কেন? পরে জানা গেল কলেজের পরীক্ষায় বাজে রেজাল্ট করায় মা-বাবার কথা শুনে অভিমানে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়৷''
পঁচিশেই চলে গেলেন বলিউড নায়িকা জিয়া খান
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই চির বিদায় নেন এই তারকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পঁচিশেই বিদায়
১৯৮৮ সালের বিশ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে জন্ম তাঁর৷ নাম নাফিসা খান, তবে বলিউডে পরিচিত জিয়া খান নামে৷ এই নায়িকার মরদেহ সোমবার তাঁর মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দিল সে...
১৯৯৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে অভিষেক ঘটে জিয়া খানের৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলেও লন্ডনে বেড়ে ওঠেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিঃশব্দ
নায়িকা হিসেবে বলিউডে জিয়ার যাত্রা শুরু ‘নিঃশব্দ’ ছবির মাধ্যমে৷ অসম বয়সি দুই নরনারীর প্রেমের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন শক্তিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘কী! জিয়া খান?’
জিয়ার মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়া অমিতাভ টুইটারে লিখেছেন, ‘কী! জিয়া খান? খবরটা কি সত্যি? অবিশ্বাস্য!’ নিঃশব্দ ছবিটি নানা বিতর্কের জন্ম দিলেও জিয়ার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সম্মাননা
নিঃশব্দ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০০৭ সালে ‘ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল ডেব্যু অ্যাওয়ার্ড’ জয় করেন জিয়া৷ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সোনম কাপুর, অক্ষয় কুমার, বিপাশা বসুসহ অনেক তারকা৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নামজাদা তারকাদের সঙ্গে জিয়া
নিঃশব্দ ছবির পর ‘গজনি’ ছবিতে অভিনয় করেন জিয়া খান৷ এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমির খান৷ সর্বশেষ হাউসফুল ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে৷ আরো কয়েকটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিনি৷
ছবি: Twitter
সুবিধা জনক অবস্থান
অল্প সময়ে বলিউডের একাধিক নামী নায়ক, অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান জিয়া৷ এর ফলে বলিউডে দ্রুত সুবিধাজনক অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হন তিনি৷ তবে ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতার ঘাটতি ছিল তাঁর৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
কেন এই মৃত্যু?
পুলিশের ধারণা, সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন জিয়া খান৷ তাঁর নিকটজনদের বরাতে গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন জিয়া৷ উল্লেখ্য, এর আগে মাত্র ১৯ বছর বয়সে মারা যান বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী৷ তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো রহস্যে ঘেরা৷
ছবি: AP
8 ছবি1 | 8
এ জন্য বাবা-মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘‘একটা কথা সর্বজন স্বীকৃত যে মা-বাবার চেয়ে আপন কেউ পৃথিবীতে নেই৷ কিন্তু এই কথাটিও কিন্তু সত্য যে বেশিরভাগ মা-বাবা এর বাজে ফায়দা তোলেন৷ ছেলে-মেয়েদের উপর অবাস্তব প্রত্যাশা রাখেন৷ তারা সেটা অর্জন করতে না পারলে এমন সব কথা শোনান, যার পরে বাচ্চাদের মনে হয় এর চেয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া ভালো৷ আশেপাশেই এর প্রচুর উদাহরণ আছে৷''
কন্যা সন্তানের প্রতি বাবা-মার উদাসীনতার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘‘কিছু বাবা-মা আছেন, যারা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে লজ্জিত৷ বিশেষ করে কন্যা সন্তানকে নিয়ে৷ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না – বাবারে, বিরাট অপরাধ হয়ে গেছে! সমাজে মুখ দেখানো দায়! মা-বাবাকেও এক তরফা দোষ দিয়ে লাভ নেই৷ তাঁরাও সমাজে থাকেন৷ অসুস্থ সমাজে থেকে থেকে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে যান৷''
তিনি নবীজির দৃষ্টান্ত দিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমাদের নবীজিরও (সঃ) কোনো পুত্র সন্তান জীবিত ছিলেন না৷ মৃত্যুকালে তাঁর একমাত্র জীবিত সন্তানের নাম, ফাতিমা (রাঃ), তাঁর কন্যা৷''
‘‘আমাদের মিডিয়া যে কত নীচে নেমে গেছে তার প্রমাণ হলো ন্যান্সির আত্মহত্যার ঘটনা বানিয়ে প্রকাশের ভঙ্গি৷ আমাদের মিডিয়া সত্যকে ভুলে যাচ্ছে৷ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে খুশি করতে নিজেদের নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়েছে৷ যাই হোক, বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়ার চেয়ে আমার কাছে ফেসবুক অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়৷''
পত্রিকায় ন্যান্সি ৬০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রকাশ হয়েছিল৷ তিনি ব্লগে ন্যান্সির ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে লিখেছেন, ‘‘২১ আগস্ট দেয়া কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সির ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, গত ১০ মাসে তাঁর সব স্টেজ শো বাতিল হয়ে যায়, যা তাঁকে হতাশ করে তুলেছিল৷ এই সমস্ত নানাবিধ চিন্তায় তাঁর ঘুম কম হত৷ ঘটনার দিনও তাঁর কোনো ভাবেই ঘুম আসছিল না৷ তাই নিজের খাওয়া ট্যাবলেট হাতের কাছে না থাকায় তিনি তাঁর মায়ের জন্য দেওয়া ট্যাবলেট থেকেই ৭-৮টা ট্যাবলেট খেয়েছিলেন৷ ট্যাবলেটগুলো মা মারা যাওয়ার পরে ফেলা হয়নি৷ খুব সম্ভবত ওই ট্যাবলেটগুলো অনেক দিন আগের হওয়াতে সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল৷''
হাসির রাজা রবিন উইলিয়ামস
প্রায় তিন দশক ধরে তিনি মানুষকে একই সাথে হাসিয়েছেন এবং কাঁদিয়েছেন৷ ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট প্রতিভাবান এই অভিনেতার মরদেহ পাওয়া যায় তাঁর ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িতে৷ তাঁর অবিস্মরণীয় কিছু কাজ ও জীবনের অজানা কথা তুলে ধরা হলো ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হারানোর বেদনা
তিন দশক ধরে দর্শককে হাসিয়েছেন এবং কাঁদিয়েছেন তিনি৷ হলিউডের অন্যতম প্রতিভাধর অভিনেতা রবিন উইলিয়মস ২০১৪ সালের ১১ আগস্ট চলে যান না ফেরার দেশে৷ ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিজের বাড়িতে পাওয়া যায় তাঁর মরদেহ৷ আত্মহত্যা করেছেন তিনি৷
ছবি: Getty Images
পপ-আই
টেলিভিশনে রবিনের প্রথম কাজ টিভি সিরিজ মর্ক অ্যান্ড মিন্ডি, যার মাধ্যমে তিনি পরিচিতি পান৷ ১৯৮০ সালে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে৷ কি চরিত্রে জানেন? পপ-আই চরিত্র হিসেবে৷ যদিও মুভিটি তেমন সফল হয়নি৷ কিন্তু আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গুড মর্নিং ভিয়েতনাম
১৯৮৭ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ওপর একটি ওয়ার কমেডি নির্মাণ করা হয় গুড মর্নিং ভিয়েতনাম নাম দিয়ে৷ রবিন ঐ মুভিতে সামরিক রেডিও ডিজে’র ভূমিকায় অভিনয় করেন৷ এই ছবিটির কারণেই কমেডিয়ান হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে, অস্কার মনোনয়ন পান এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতেন তিনি৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
স্পিলবার্গের ছবিতে অভিনয়
১৯৯১ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের পরিচালিত ‘হুক’ মুভিতে উইলিয়াম অভিনয় করেন পিটার প্যানের ভূমিকায়৷ স্পিলবার্গ ঐ সিনেমা নির্মাণ শেষে বলেছিলেন, ‘‘উইলিয়াম একজন কমিক জিনিয়াস, যিনি হাসির ঝড়ের তোড়ে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেন৷’’
ছবি: picture alliance/Mary Evans Picture Library
নারী চরিত্রে অভিনয়
মিসেস ডাউটফায়ারের কথা মনে আছে? ১৯৯৩ সালে নির্মিত এই মুভিটিতে উইলিয়াম কমেডিকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন৷ ন্যানির ভূমিকায় তাঁর অভিনয়ের কারণে মুভিটি বিশ্বের ১০০টি মজার ছবির মধ্যে স্থান করে নেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অস্কার জয়
অনেক বছর ধরে নানা পুরস্কার পেলেও অস্কার অধরাই ছিল তাঁর কাছে৷ কিন্তু ১৯৯৭ সালে সেই পুরস্কারও জিতলেন তিনি৷ মুভির নাম ‘গুড উইল হান্টিং’৷ এই ছবিতে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য অস্কার জেতেন উইলিয়ামস৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম
এই ট্রিলজির শেষটিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি৷ ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে৷ বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘উইলিয়ামস যাবার আগে ছুঁয়ে দিয়ে গেছেন মানব চেতনার প্রতিটি বিন্দু৷ আমাদের যেসব সেনা বাইরে আছেন তাদের মুখে হাসি ফোটাত তাঁর অভিনয়৷’’
ছবি: picture alliance/Mary Evans Picture Library
শেষ ছবি
২০১৩ সালে তাঁর অভিনীত দ্য বাটলার ছবিটি মুক্তি পায়৷ সেখানে আবারো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি৷ তাঁর অভিনীত মুক্তি পাওয়া শেষ মুভি এটি৷
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে ১৯৫১ সালের ২১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন রবিন উইলিয়াম৷ তাঁর পুরো নাম রবিন ম্যাকলরিন উইলিয়ামস৷ রবিন উইলিয়াম বিয়ে করেছেন তিনবার৷
ছবি: Mark Ralston/AFP/Getty Images
বিষন্নতায় ভুগছিলেন উইলিয়ামস
মৃত্যুর আগে বেশ কিছুদিন ধরে মারাত্মক বিষন্নতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর এজেন্ট৷ গত কয়েক বছরে নিজের অ্যালকোহল ও মাদক ছাড়ার চেষ্টা নিয়ে একাধিকবার প্রকাশ্যে রসিকতা করেছেন রবিন উইলিয়ামস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
11 ছবি1 | 11
ন্যান্সি তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘...আর তাই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং আমার ভাইয়েরা আমাকে নেত্রকোণায় নিয়ে আসে ট্রিটমেন্টের জন্য৷''
তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘কোনো কোনো মিডিয়া প্রচার করেছে আমি নাকি আত্মহত্যা করার উদ্দশ্যে ৬০টি ঘুমের বড়ি খেয়েছি!! কোনো সুস্থ সচেতন ও বিবেকবান মানুষ মিডিয়ার এ সমস্ত বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর বিশ্বাস করবে বলে আমার মনে হয় না৷ শুধু তাই নয়, গত ক'দিনে আমার স্বামী, পরিবারকেও জড়িয়ে দেখলাম অনেক মিথ্যা ও মুখরোচক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই সঠিক নয়৷ এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সমাজের চোখে আমাকে হেয় করতেই এ সব বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে৷''
সবশেষে রেজওয়ান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর উচিত শুধু জনগণের পক্ষে কথা বলা৷ আর তা করতে না পারলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অচিরেই শূন্যের কোঠায় নামবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷''