প্রায় ৯০ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্কদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তত একটি প্রোফাইল আছে৷ অপরদিকে প্রত্যেক পঞ্চম কিশোর বা কিশোরী কোনো না কোনো ভাবে ‘সাইবার মবিং'-এর শিকার হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
‘‘তোকে দেখতে পারি না! তুই মর!'' বা ‘‘তোকে দেখতে যা বিচ্ছিরি...৷'' – ইন্টারনেটে এ ধরনের গালিগালাজ নাকি প্রতি পাঁচজন জার্মান কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন অন্তত শুনেছে৷ নয়ত জার্মান কিশোর-কিশোরীদের প্রায় ৮০ ভাগ প্রতিদিন বা সপ্তাহে একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকে থাকে: তাদের গন্তব্য হল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগল+, টুইটার, টাম্বলর, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি৷ এই কিশোর-কিশোরীরা হলো ‘ওয়েব ২.০' প্রজন্ম: এরা শুধু ইন্টারনেটের গ্রাহক নয়, এরা ইন্টারনেটের কন্টেন্টও সৃষ্টি করে থাকে – যেমন টেক্স্ট, ফটো বা ভিডিও৷ ফেসবুকই তাদের প্রিয় মিডিয়াম, তার পরেই আসছে ইনস্টাগ্রাম৷
সোশ্যাল মিডিয়ার মজা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বা ফটো পোস্ট অথবা শেয়ার করা যায়; যোগাযোগ খোঁজা যায়; বন্ধুবান্ধবদের প্রোফাইল দেখা যায়; নানা ধরনের উৎসব-অনুষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়; চ্যাট করা যায়; মেসেজ পাঠানো যায়; গেমস খেলা যায়৷ সবচেয়ে বড় কথা, বাস্তব জীবনে বন্ধুবান্ধব খুঁজতে যতো সময় লাগে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোয় তার চেয়ে অনেক সহজে একটা বড় ‘ফ্রেন্ডস সার্কল' গড়ে তোলা যায়৷ জার্মানিতে যেমন কিশোর-কিশোরীদের এক তৃতীয়াংশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বন্ধু'-র সংখ্যা ৩০০-র বেশি৷
সামাজিক মাধ্যমে অপরাধ সম্প্রচারের ৮ ঘটনা
ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আজকাল অনেক অপরাধী তাদের অপরাধের ভিডিও আপলোড করছে৷ এর মধ্যে কোনো কোনোটি আবার সরাসরিও সম্প্রচারিত হচ্ছে৷
ছবি: imago/Schöning
‘ফেসবুক লাইভ’- এ নির্যাতন
নতুন বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের উপর নির্যাতন চালায় চার কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ-তরুণী৷ পুরো ঘটনা ‘ফেসবুক লাইভ’-এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল৷ শ্বেতাঙ্গ ঐ তরুণ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল৷ পেটানোর পাশাপাশি তার চুল কেটে দেয়া হয়৷ অপরাধ করার সময় নির্যাতনকারীরা ট্রাম্প ও শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিল৷ পুলিশ ঐ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ ফেসবুক ভিডিওটি মুছে ফেলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Chicago Police Department
টুইটারে ধর্ষণের ভিডিও
২০১৬ সালের মে মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোতে এক তরুণীকে ৩০ জনের বেশি মানুষ ধর্ষণ করে৷ তরুণীটি তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে তাকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়৷ তারপর একে একে তার উপর হামলে পড়ে সবাই৷ অপরাধীদের কেউ কেউ টুইটারে ভিডিও আপলোড করেছিল৷ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে পুলিশের টনক নড়ে৷
ছবি: DW/J. Weber
লাইভ-এ আত্মহত্যা!
ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ এই ঘটনা সে পেরিস্কোপ অ্যাপের সাহায্য সরাসরি প্রচার করেছিল৷ ঘটনাটি ২০১৬ সালের মে মাসের৷
ছবি: periscope.tv
নির্যাতিতার সঙ্গে সেলফি
২০১৪ সালে দুই ইংলিশ তরুণী ৩৯ বছরের অ্যাঞ্জেলা রাইটসনের উপর প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালায়৷ এই সময় আহতের সঙ্গে সেলফি তুলে ঐ দুই তরুণী সেই ছবি স্ন্যাপচ্যাটে শেয়ার করেছিল৷ নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা যান রাইটসন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Büttner
সেলফির কারণে ধরা পড়া
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় ম্যাক্সওয়েল ম্যারিয়ন মর্টন নামের এক টিনএজার আরেক টিনএজারকে হত্যা করে তার সঙ্গে সেলফি তুলে স্ন্যাপচ্যাটে আপলোড করেছিল৷ সেই ছবির সূত্র ধরে মর্টনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ৷ ঘটনাটি ২০১৫ সালের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বান্ধবীকে ধর্ষণ সরাসরি সম্প্রচার!
যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে সম্প্রতি এই অভিযোগে নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ ২০১৬ সালে মারিনা লোনিনা (ছবি) নামের ঐ তরুণী তার বান্ধবীর সঙ্গে রেমন্ড গেটসের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল৷ সেখানে পান করার পর এক পর্যায়ে গেটস লোরিনার বান্ধবীকে ধর্ষণ করতে শুরু করলে পেরিস্কোপ অ্যাপের মাধ্যমে ঐ ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করেন লোরিনা৷ গ্রেপ্তার হওয়ার পর লোরিনা বলেছিল, অপরাধের প্রমাণ রাখতে তিনি ভিডিও করেছিলেন!
ছবি: picture alliance/AP Photo/Franklin County Sheriff's Office
ধর্ষণ সম্প্রচারের আরেক ঘটনা
২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পেরিস্কোপে ‘লাইভ সেক্স’ শিরোনাম দিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়৷ ভিডিওটি যারা দেখেছে, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ‘বাজফিড’ জানিয়েছে, ভিডিওতে লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটে তিন তরুণকে এক তরুণীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে দেখা গেছে৷ তবে এটি যে বাস্তবে ধর্ষণের ঘটনা ছিল, সেটি বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে বাজফিডকে জানান তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Bonaventure
সরাসরি ‘আত্মহত্যা’
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ বছর বয়সি এক মেয়ে তার আত্মহত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করেছে৷ কেটলিন নিকোল ডেভিস নামের তরুণীটি গত ৩০ ডিসেম্বর গাছের ডালের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করে৷ আত্মহত্যার সময় সে বলে, এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সে আত্মহত্যা করছে৷
ছবি: Fotolia/DW
8 ছবি1 | 8
সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলির ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কিশোর-কিশোরীরা ঠিক তাই খোঁজে, বাস্তব জীবনেও তাদের যা প্রয়োজন: বন্ধুবান্ধব, কোনো একটি দল বা গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুভূতি; অন্যদের সামনে নিজেকে, নিজের ব্যক্তিত্বকে পরিবেশন করা ও তাদের প্রতিক্রিয়া দেখা – এভাবেই একজন কিশোর বা কিশোরীর সত্তা গড়ে ওঠে, সে তরুণ বা তরুণীতে পরিণত হয়৷
আরো মজা লাগে, ইন্টারনেটে নিজের কৌতূহল ও আগ্রহ অনুযায়ী বিশ্বের সর্বত্র অন্যান্য অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে৷ ইন্টারনেটে যোগাযোগ স্থাপন করতে গিয়ে মুখচোরা হওয়ার সম্ভাবনা কম – কাজেই এক ধরনের ফাস্ট ট্র্যাক সামাজিক সাফল্যের আস্বাদ পাওয়া যায়৷ ওদিকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ার জগৎটায় অভিভাবক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের আনাগোনা ও নজরদারি প্রায় নেই বললেই চলে – যা অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়৷
সোশ্যাল মিডিয়ার বিপদ
সোশ্যাল মবিং-এর কথা আগেই বলা হয়েছে৷ কিন্তু বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবক বা শিক্ষক-শিক্ষিকা, এমনকি সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনীতিকরাও চিন্তিত, সেটি হল ইন্টারনেটে আত্মপ্রদর্শনের প্রবণতা, বিশেষ করে ফটো ও ভিডিও-র মাধ্যমে৷
‘এক্সহিবিশনিজম' বা নিজেকে অশালীনভাবে দেখানোর আগ্রহ বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি৷ তারাই সবচেয়ে বেশি এ ধরনের ছবি পোস্ট করে থাকে, একবারও না ভেবে, এর ফল কতো মারাত্মক হতে পারে৷ আজকের বয়ফ্রেন্ড কাল বয়ফ্রেন্ড নাও থাকতে পারে আর তাকে ভালোবেসে পাঠানো ছবিগুলো প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে৷ বলতে কি, ইন্টারনেটে একবার যে ছবি গিয়ে পড়েছে, তাকে মুছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব৷ আর সব ছবিই আজকাল ফটোশপ করা সম্ভব...
কিশোর-কিশোরীদের আরেকটি বিপদ হলো ইন্টারনেটে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক যৌন অপব্যবহারকারীর খপ্পরে পড়া৷ এ সবের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে কিশোর-কিশোরীদের নেট জগতের কিছু বুনিয়াদি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে...
গোল্ডেন রুলস
(১) নিজের ব্যক্তিগত পরিধিকে চিনতে ও রক্ষা করতে শেখো;
(২) নিজের সম্পর্কে ফটো বা তথ্য প্রকাশ করার আগে তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্য ফলশ্রুতি নিয়ে চিন্তা করো;
(৩) পরের ফটো বা ভিডিও তাদের অনুমতি ছাড়া আপলোড কোরো না;
(৪) ফটো পুরো নাম দিয়ে ট্যাগ কোরো না আর ছবি তোলার সময় তোমার স্মার্টফোনের জিওলোকেশন বাটনটি ‘অফ' করে রেখো;
(৫) ‘বন্ধু' হিসেবে শুধু তাকেই তালিকায় তুলো, যাকে তুমি ব্যক্তিগতভাবে চেনো;
(৬) নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করো৷
নেতা ও প্রশাসন যখন হাতের নাগালে
সোশ্যাল মিডিয়া দক্ষিণ এশিয়ায়ও সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ দিচ্ছে৷ মিডিয়া ও লাল ফিতের ফাঁস এড়িয়ে এই প্রত্যক্ষ সংলাপের সুযোগ নিচ্ছেন নেতা, মন্ত্রীসহ শীর্ষস্তরের অনেকে৷
ছবি: DW/S. Leidel
সুষমা স্বরাজ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে টুইট করে হাতেনাতে ফল পেয়েছেন, এমন ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা কম নয়৷ বিদেশের মাটিতে সংকটে পড়া থেকে শুরু করে মধুচন্দ্রিমার ঠিক আগে সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর পাসপোর্ট অন্তর্ধান – এমন অনেক পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বরাজ৷
ছবি: AP
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাপ
আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতাসীন মন্ত্রী বা শীর্ষ আমলার টুইটার অ্যাকাউন্ট মনে রাখা অনেক সময়ে কঠিন হতে পারে৷ তাই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে৷ বিদেশে সংকটে পড়লে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক এর সাহায্যে নিকটবর্তী দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদী সংবাদমাধ্যমকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে ফেসবুক, টুইটারকেই নিজের বার্তা পৌঁছে দেবার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর প্রায় ২৪ ঘণ্টাই সজাগ থাকে৷ সরাসরি যোগাযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়৷
ছবি: twitter.com/narendramodi
শশী থারুর
ভারতের রাজনৈতিক জগতে টুইটার ব্যবহারের পথিকৃৎ বলা যেতে পারে সাবেক কূটনীতিক, লেখক ও কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে৷ বিগত সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনিও সরাসরি অনেক মানুষের সহায়তা করতে পেরেছিলেন৷ অন্যদিকে নানা মন্তব্যের কারণে বার বার সমস্যায় পড়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিপর্যয়ের সময় টুইটার
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের দক্ষিণে চেন্নাই শহরে ভয়াবহ বন্যায় গোটা শহর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল৷ সরকার, প্রশাসন ও নৌ-বাহিনী সহায়তা ও ত্রাণ তৎপরতার কাজে টুইটার-কে অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহার করতে পেরেছিল৷ #ChennaiRains এবং #ChennaiRainsHelp হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিচ্ছিন্ন জলবন্দি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল৷
ছবি: Imago/Xinhua
সরকারি পরিষেবার ‘টুল’
ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম বিশাল ও জটিল এক পরিবহণ নেটওয়ার্ক৷ যাবতীয় সদিচ্ছা সত্ত্বেও যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই৷ ভারতীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তাই ফেসবুক ও টুইটারের এক সার্বিক প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন৷ এর মাধ্যমে নানা বিষয় নিয়ে সরাসরি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব৷
ছবি: Reuters/Adnan Abidi
সজীব ওয়াজেদ জয়
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক এবং টুইটারে বেশ সক্রিয়৷ তাঁর ফেসবুক পেজের স্ট্যাটাস প্রায়ই খবর হয়৷ তিনি প্রয়োজন হলে বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা এবং তথ্য দেন সেখানে৷
ছবি: Sajeeb Ahmed Wazed
7 ছবি1 | 7
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চান? তাহলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখতে পারেন...