1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে নারীদের রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১

আরব বসন্তের হাওয়া এবার বইতে শুরু করলো সৌদি আরবে৷ দীর্ঘ দিনের দাবির মুখে অবশেষে স্বীকৃতি দেওয়া হলো নারীদের রাজনৈতিক অধিকারের৷ সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ নারীদের ভোট দেওয়া এবং নির্বাচনের দাঁড়ানোর অধিকার মেনে নিয়েছেন৷

প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে নেই সৌদি আরবের নারীরাছবি: picture alliance/dpa

মুসলিম বিশ্বের আর কোন দেশেই নারীদের এতটা কোনঠাসা করে রাখা হয়নি, যতটা করে রাখা হয়েছে সৌদি আরবে৷ ধর্মীয় কারণে মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র এবং সম্মানিত বলে বিবেচিত এই দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে রাজতন্ত্র৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারীদের অধিকারহীনতা৷ কিন্তু এই বছরের শুরুতে গোটা আরব জাহান জুড়ে যে পুনর্জাগরণ লক্ষ্য করা গেছে তার বাতাস এবার এসে লাগলো সৌদি আরবেও৷

আরব দেশগুলোতে গণতন্ত্র ও নিজ অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে৷ কয়েক মাসে আগে সৌদি আরবের নারীদের মধ্যেও তার ঢেউ আছড়ে পড়ে৷ একা ড্রাইভিং করার অনুমতি পাওয়ার দাবিতে তাদের সেই মিছিলের ছবি সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে৷ ধর্মীয় আচ্ছাদনে মোড়া সৌদি আরবের রাজপরিবার এরপর থেকে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে শুরু করেছে৷

সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহছবি: picture alliance/dpa

তাই রোববার সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ ঘোষণা দিলেন, নারীদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হবে, পাশাপাশি আগামী মেয়াদ থেকে নারীরা স্থানীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারবে৷ এমনকি শুরা পরিষদেও নারীদের পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ৷ বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অধিকার প্রদান হয়তো তেমন বড় কিছু নয়, কিন্তু সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে এটি ঐতিহাসিক ঘটনা৷

কারণ সৌদি আরবে নারীরা একা ভ্রমণ করার অনুমতি পান না৷ তারা নিজেরা গাড়ি চালানোরও অনুমতি প্রাপ্ত নন৷ এমনকি বাইরে কাজ করতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের জন্য তাদের নিজের মতামত যথেষ্ট নয়৷ এজন্য তাদের প্রয়োজন হয় স্বামী, পিতা কিংবা পুরুষ কোন আত্মীয়ের৷ তাই এই পরিবেশে নারীদের রাজনৈতিক অধিকার একটি বড় অগ্রগতি বৈকি৷

একা গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই সৌদি নারীদেরছবি: picture-alliance/dpa

সৌদি বাদশাহ এই ঘোষণা দেওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘‘শরিয়া বিরোধী না হলে সমাজের সকল স্তরে নারীদের অবদান রাখার পক্ষে আমরা৷ ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা কখনো একপেশে ছিল না৷ আমরা জ্যেষ্ঠ উলেমাদের সঙ্গে আলাপ করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী মেয়াদ থেকে নারীরা শুরা পরিষদে পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন৷''

তবে প্রশ্ন আসতেই পারে, নারীদের রাজনৈতিক ভূমিকা শরিয়া বিরোধী নয়, সেটি বুঝতে সৌদি রাজপরিবার ও তাদের উলেমাদের কেন এতগুলো বছর লাগলো৷ তবে সৌদি বাদশাহ-র এই ঘোষণা আরব জাহানের পুনর্জাগরণকে আরও জোরালো করবে, সেটি নিশ্চিত বলা যায়৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ