1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি জোটে বাংলাদেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

সৌদি আরবের নেতৃত্বে আইএস-বিরোধী ‘সামরিক' জোটে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে আর তাতে বাংলাদেশের লাভক্ষতি কী, তা নিশ্চিত নয়৷ জোটটির প্রকৃতি কী হবে এবং তারা কী করবে তা নিয়েও পর্যাপ্ত তথ্য নেই বলে মনে করেন নিরপত্তা বিশ্লেষকরা৷

Jemen Saudi-Arabien Luftschläge Konflikt
ছবি: Getty Images/AFP/F. Nureldine

৩৪টি মুসলিম দেশের সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার খবর নিশ্চিত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়েরের অনুরোধে সাড়া দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রাথমিকভাবে এই আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন৷ সমন্বিত উপায়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগানোর জন্য রিয়াদে একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে৷ সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থি মতাদর্শ দমনে তথ্য-উপাত্ত বিনিময়সহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা জোগাবে এই কেন্দ্র৷'

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য এটাকে কোনো সামরিক জোট বলছে না৷ তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম একে সামরিক জোট হিসেবেই অভিহিত করছে৷

এএনএম মুনীরুজ্জামান

This browser does not support the audio element.

এদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা উদ্বিগ্ন নই৷ আমরা মনে করি, এই জোটে যোগ দেয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বসকাসরত বাংলাদেশের নাগরিকরা আইএস-এর হুমকির মুখে পড়বে না৷ আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সৌদি নীতির সঙ্গে একমত হয়ে জোটে যোগ দিয়েছি৷'' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও একই ধরনের কথা বলেছেন৷

একদিন আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ‘জিরো টলারেন্স' নীতির সুফল যে বাংলাদেশ পেয়েছে, সে কারণেই এই জোটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ একসময় তালেবান নিয়ে বিশ্ব চিন্তিত ছিল, এখন আইএস নিয়ে চিন্তিত৷''

ওদিকে বাংলাদেশ ইন্সটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যাডিস (বিআইপিএস)-এর প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনীরুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সৌদি আরবের নেতৃত্বে এই জোটটির চরিত্র এখনো স্পষ্ট নয়৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দু-একটি একে আইএস বিরোধী সামরিক জোট বললেও, সৌদি আরব তা স্পষ্ট করেনি৷ তবে এ ধরনের জোট শেষ পর্যন্ত সামরিক জোট হতে পারে৷ এর কাজের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে৷ তবে এই জোট আইএস-এর বাইরে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নেবে কিনা – তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে৷''

উল্লেখ্য জোটে বাংলাদেশের অংশ নেয়া নিয়ে কোনো লাভ-ক্ষতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘লাভ-ক্ষতির হিসাব করতে হলে জোটের চরিত্র স্পষ্ট হতে হবে৷ তার আগে কিছু বলা যাবে না৷''

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ই মার্চ লিবিয়ার সিরাত শহরের দক্ষিণে আল-গানি তেলক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশি নাগরিক হেলাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে অপহরণ করেছিল তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস৷ ১৮ দিন পর অবশ্য তাঁদের বিনাশর্তে মুক্তি দেয়া হয়৷

সৌদি আরবের এই উদ্যোগ কি সত্যিই আইএস-বিরোধী? জানান মতামতের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ