1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌন্দর্যের কথিত সংজ্ঞা বদলাতে চান যে ইনফ্লুয়েন্সাররা

১১ জুলাই ২০২৫

বিউটি টিপসে ভরা ইন্টারনেট৷ বিশেষ করে সৌন্দর্যের এক ধরনের সংজ্ঞা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এই জগত৷ তবে এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন একদল ইনফ্লুয়েন্সার৷ তারা বলতে চান: আমরা আমাদের দেহ যেমন তেমনটাই ভালোবাসি৷

সাগরতটে চারজন নারীকে দেখা যাচ্ছে সুইমিং সুট বা বিকিনি পরে পানিতে ভালো সময় কাটাতে৷
কেউ ক্ষুধাহীনতায়, কেউ অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাসে ভোগেন৷ কিন্তু মূলত এর কেন্দ্রে রয়েছে আত্মসম্মানবোধের ঘাটতি, আর তার কারণ অনেক হতে পারে৷ ছবি: Stefan Hesse/dpa/picture-alliance

প্লাস সাইজ মডেল তানিয়া মারফো সবসময়ই পাতলা গড়ন চেয়েছেন৷ তানিয়া মারফো বলেন, ‘‘বারো বা তের বছর বয়সে আমি প্রথম ডায়েট শুরু করি৷ তখন দিনে শুধু তিনটি ক্রিস্পব্রেড খেতাম৷ অনেক পানি পান করতাম ও থেরাপিউটিক উপবাস করতাম৷ ওজন কমাতে বারো থেকে চল্লিশ অবধি সবকিছুই চেষ্টা করেছি৷''

ইটিং ডিসঅর্ডার দ্রুত হতে পারে, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে৷ ৪৪ বছর বয়সি মারফো দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগেছেন৷ তার সর্বোচ্চ ওজন হয়েছিল ১৯৮ কেজি৷ গতবছর তার ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়৷ তানিয়া মারফো বলেন, ‘‘বছরের শুরুতে আমি ভালো বোধ করছিলাম না৷ আমি অনেক কষ্টে নড়াচড়া করতাম৷ আমি সবসময় মজা করতে পছন্দ করতাম কিন্তু একসময় খেয়াল করলাম একটু বেঁকে কিছু তুলতেও পারছি না৷ সবকিছু ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল৷ ভয় পাচ্ছিলাম যে আমি সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়বো৷''

অবশ্যশুধু স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে তিনি সার্জারি করিয়েছেন তা নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেকে আমার প্রতি বৈরিভাব দেখিয়েছেন, মুখের উপর আমার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করেছেন৷ গতবছর রাস্তায় একজন আমার দিকে থুতু ছিটিয়েছেন৷ এগুলো আর নিতে পারছিলাম না৷''

‘আমি আমার শরীর ভালোবাসি, তা সে যেমনই হোক’

04:07

This browser does not support the video element.

সাংবাদিক ক্যারোলিন ম্যাৎসকোকে সঙ্গে নিয়ে ‘সাইজ ডাসন্ট ম্যাটার' বই লিখেছেন তানিয়া৷ ক্যারোলিন বেশ কয়েক বছর ক্ষুধাহীনতায় ভুগেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘স্পষ্টভাবে বললে একজন মোটা মানুষ এবং একজন শুকনো মানুষ একসঙ্গে একটি বই লিখেছে এটা বলতে যে আমাদের সমস্যা একই৷ হ্যাঁ, এটার নানা ধরন রয়েছে৷ যেমন: কেউ ক্ষুধাহীনতায়, কেউ অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাসে ভোগেন৷ কিন্তু মূলত এর কেন্দ্রে রয়েছে আত্মসম্মানবোধের ঘাটতি, আর তার কারণ অনেক হতে পারে৷ মৌলিক সমস্যা হচ্ছে সবসময় বিষন্নতার প্রবণতা এবং নিজেকে সঠিক না ভাবা ও নিজেকে গ্রহণ করতে না পারা৷''

‘কার্ভ রাশ' ব্লগে এবং ইন্সটাগ্রামে তানিয়া নিজের অভিজ্ঞতা অন্যদের জানান৷ ফ্যাশন, লাইফস্টাইল এবং ‘বডি নিউট্রালিটি'-র আলাপ করেন তিনি৷ নিজের দেহ যেমন তেমনটাই মেনে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি৷ তানিয়া বলেন, ‘‘আমরা যদি আরো বৈচিত্রময়তাকে গ্রহণ করি তাহলে অনেক কিছু বদলে যাবে৷ মানুষ যেমন তেমন চলতে পারবেন৷''

তানিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈচিত্রময়তার ঘাটতি দেখেন৷ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা প্রমাণিত যে নির্দিষ্ট কিছু বডিটাইপ ইন্সটাগ্রামে তেমন একটা দেখা যায় না৷ অশেতাঙ্গদেরক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য৷ স্টান্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত সুন্দর, পাতলা, স্বর্ণকেশী, নীল চোখের শেতাঙ্গ নারীদের তুলনায় তাদের উপস্থিতি কম৷''

কিন্তু ট্রেন্ড ক্রমশ বদলাতে থাকে৷ ফলে তানিয়া এসব নিয়ে আর বিশেষ ভাবিত নয়৷ তানিয়া বলেন, ‘‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে৷ গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে মেরিলিন মনরো ৪২ সাইজ পরতেন৷ সেটা জার্মান নারীদের গড় সাইজ৷ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বেশ শুকনো কেট মসকে দেখেছি৷ কিম কার্দেশিয়ান বাট ইমপ্লান্ট করিয়েছেন যা অত্যন্ত বিপজ্জনক সার্জারি৷ আমরা কী করতে পারি? বিশ বছর পরপর নতুন কিছুতে অভ্যস্ত হবে? এটাই কি বাস্তবতা?''

ট্রেন্ড অনুসরণ বাদ দিয়ে এখন নিজেই ট্রেন্ড গড়ায় মনোযোগী হয়েছেন তানিয়া মারফো৷

প্রতিবেদন: সাবরিনা ফাইফার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ