বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এখন সোলার প্যানেল উৎপাদন করছে৷ এছাড়া সৌরশক্তি বিষয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে৷ ফলে সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে বলে জানান নবায়নযোগ্য এই জ্বালানি জনপ্রিয় করার অন্যতম ব্যক্তি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সোলার প্যানেল সাধারণত চীন থেকে আমদানি করা হয়৷ তবে এখন দেশেও এটা তৈরি হচ্ছে৷ এছাড়া এলইডি অ্যাসেম্বলিং, চার্জ কন্ট্রোলার তৈরির মতো কাজ করতে সমর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এখন কম খরচে সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারছে৷
ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন বা বিজিইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দীপাল বড়ুয়া বর্তমানে ‘বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশন' বা বিএসআরইএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ এছাড়া সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল হান্ড্রেড পারসেন্ট রিনিউয়েবল এনার্জি'-র অ্যাম্বাস্যাডর নিযুক্ত হয়েছেন৷
সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে
04:52
বড়ুয়া বলেন বাংলাদেশে বর্তমানে মাসে ৮০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম বিক্রি হচ্ছে৷ ২০১২ সালে যে সংখ্যাটা ছিল অর্ধেক, মাসে ৪০ হাজার৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডকলের আর্থিক সহায়তায় ছোট-বড় প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান এ খাতে কাজ করছে৷ ‘‘এখন পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে৷ আমাদের আশা, আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাড়িতে সৌরশক্তি পৌঁছে যাবে৷ যারা এখনো বিদ্যুৎ বঞ্চিত তাদের ঘরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে,'' ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি৷
খরচের হিসাব
বড়ুয়া আরও বলেন, সোলার হোম সিস্টেম বিভিন্ন ওয়াটের হয়ে থাকে৷ তাই প্রতিটা পরিবার তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দেরটা বেছে নিতে পারে৷ পাঁচজনের একটা পরিবার ক্ষেত্রে ৪০-৫০ ওয়াটের সোলার হোম সিস্টেম হলেই চলে যায় বলে জানান তিনি৷ এটা দিয়ে ঘরে লাইটের ব্যবস্থা করা, টিভি দেখা ও মোবাইল চার্জ করা যাবে৷ তবে ঐ পরিবার যদি ফ্যান চালাতে চায় তাহলে ৮৫ বা ১০০ ওয়াটে যেতে হবে৷
দেশেই তৈরি হচ্ছে সোলার প্যানেল
বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এখন সোলার প্যানেল উৎপাদন করছে৷ এছাড়া সৌরশক্তি বিষয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে৷ ফলে সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে বলে জানান বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি জনপ্রিয় করার অন্যতম ব্যক্তি দীপাল বড়ুয়া৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
দাম কমছে
বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এখন সোলার প্যানেল উৎপাদন করছে৷ এছাড়া সৌরশক্তি বিষয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে৷ ফলে সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে বলে জানান ‘বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশন’ বা বিএসআরইএ-র সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
দেশেই তৈরি হচ্ছে
বড়ুয়া বলেন, সোলার প্যানেল সাধারণত চীন থেকে আমদানি করা হয়৷ তবে এখন দেশেও এটা তৈরি হচ্ছে৷ এছাড়া এলইডি অ্যাসেম্বলিং, চার্জ কন্ট্রোলার তৈরির মতো কাজ করতে সমর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এখন কম খরচে সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারছে৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
মাসে ৮০ হাজার
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৮০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বড়ুয়া৷ ২০১২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল অর্ধেক অর্থাৎ ৪০ হাজার৷
ছবি: BGEF
সবার জন্য বিদ্যুৎ
বড়ুয়ার আশা আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাড়িতে সৌরশক্তি পৌঁছে যাবে৷ যারা এখনো বিদ্যুৎ বঞ্চিত তাদের ঘরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে৷ কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডকলের আর্থিক সহায়তায় ছোট-বড় প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান এ খাতে কাজ করছে৷
ছবি: BGEF
সোলার হোম সিস্টেম
পাঁচজনের একটা পরিবারের জন্য ৪০-৫০ ওয়াটের সোলার হোম সিস্টেম হলেই চলে বলে জানান বড়ুয়া৷ এই সিস্টেম দিয়ে ঘরে লাইটের ব্যবস্থা করা, টিভি দেখা ও মোবাইল চার্জ করা যায়৷ তবে ফ্যান চালাতে হলে ৮৫ বা ১০০ ওয়াটে যেতে হবে৷
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images
খরচ কেমন?
দীপাল বড়ুয়া বলেন, বিশ বছরের জন্য ২০ ওয়াটের একটি প্যানেল নিলে, সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাটারি, তিন বছরের জন্য চার্জ কন্ট্রোলার আর এলইডি লাইট ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য, এমন হলে ১২ হাজার টাকা খরচ হবে৷ তবে ক্রেতাকে টাকাটা একসঙ্গে দিতে হয় না৷ ১০ বা ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাকি টাকাটা কিস্তিতে দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে তিন বছর পর আর কোনো টাকা লাগবে না৷
ছবি: BGEF
বুদ্ধি করে ব্যবহারে লাভ
ব্যাটারির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের গ্যারান্টি থাকলেও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করলে ৬-৭ বছরও চলে যায় বলে জানান বড়ুয়া৷ এরপর ব্যাটারিটা বদলে নতুন ব্যাটারি নেয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আগের ব্যাটারির খরচের এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দেয়া হয়৷ ছবিতে নারীদের সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: BGEF
গ্রিডে সরবরাহের সুযোগ
জার্মানিতে নিজের ছাদে বসানো সৌর প্যানেল থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ রয়েছে৷ এর ফলে বাড়ির মালিক নিজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়িত বিদ্যুৎ সরকারের কাছে বেচে অর্থ উপার্জন করতে পারে৷ বাংলাদেশেও এ ধরনের ব্যবস্থা চালুর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বিএসআরইএ, জানান দীপাল বড়ুয়া৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
8 ছবি1 | 8
খরচের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসআরইএ-র সভাপতি জানান, ‘‘বিশ বছরের জন্য ২০ ওয়াটের একটি প্যানেল নিলে, সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাটারি, তিন বছরের জন্য চার্জ কন্ট্রোলার আর এলইডি লাইট ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য, এমন হলে ১২ হাজার টাকা খরচ হবে৷ তবে ক্রেতাকে টাকাটা একসঙ্গে দিতে হয় না৷ ১০ বা ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাকি টাকাটা কিস্তিতে দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ এক্ষেত্রে তিন বছর পর আর কোনো টাকা লাগবে না৷ ব্যাটারির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের গ্যারান্টি থাকলেও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করলে ৬-৭ বছরও চলে যায়৷ এরপর ব্যাটারিটা বদলে নতুন ব্যাটারি নেয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আগের ব্যাটারির খরচের এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দেয়া হয়৷''