1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে

৫ জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এখন সোলার প্যানেল উৎপাদন করছে৷ এছাড়া সৌরশক্তি বিষয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে৷ ফলে সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে বলে জানান নবায়নযোগ্য এই জ্বালানি জনপ্রিয় করার অন্যতম ব্যক্তি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া৷

ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

তিনি বলেন, সোলার প্যানেল সাধারণত চীন থেকে আমদানি করা হয়৷ তবে এখন দেশেও এটা তৈরি হচ্ছে৷ এছাড়া এলইডি অ্যাসেম্বলিং, চার্জ কন্ট্রোলার তৈরির মতো কাজ করতে সমর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এখন কম খরচে সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারছে৷

ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশন বা বিজিইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দীপাল বড়ুয়া বর্তমানে ‘বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশন' বা বিএসআরইএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ এছাড়া সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল হান্ড্রেড পারসেন্ট রিনিউয়েবল এনার্জি'-র অ্যাম্বাস্যাডর নিযুক্ত হয়েছেন৷

সৌরবিদ্যুতের দাম দিন দিন কমছে

04:52

This browser does not support the video element.

বড়ুয়া বলেন বাংলাদেশে বর্তমানে মাসে ৮০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম বিক্রি হচ্ছে৷ ২০১২ সালে যে সংখ্যাটা ছিল অর্ধেক, মাসে ৪০ হাজার৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডকলের আর্থিক সহায়তায় ছোট-বড় প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান এ খাতে কাজ করছে৷ ‘‘এখন পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে৷ আমাদের আশা, আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাড়িতে সৌরশক্তি পৌঁছে যাবে৷ যারা এখনো বিদ্যুৎ বঞ্চিত তাদের ঘরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে,'' ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি৷

খরচের হিসাব

বড়ুয়া আরও বলেন, সোলার হোম সিস্টেম বিভিন্ন ওয়াটের হয়ে থাকে৷ তাই প্রতিটা পরিবার তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দেরটা বেছে নিতে পারে৷ পাঁচজনের একটা পরিবার ক্ষেত্রে ৪০-৫০ ওয়াটের সোলার হোম সিস্টেম হলেই চলে যায় বলে জানান তিনি৷ এটা দিয়ে ঘরে লাইটের ব্যবস্থা করা, টিভি দেখা ও মোবাইল চার্জ করা যাবে৷ তবে ঐ পরিবার যদি ফ্যান চালাতে চায় তাহলে ৮৫ বা ১০০ ওয়াটে যেতে হবে৷

খরচের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসআরইএ-র সভাপতি জানান, ‘‘বিশ বছরের জন্য ২০ ওয়াটের একটি প্যানেল নিলে, সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাটারি, তিন বছরের জন্য চার্জ কন্ট্রোলার আর এলইডি লাইট ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য, এমন হলে ১২ হাজার টাকা খরচ হবে৷ তবে ক্রেতাকে টাকাটা একসঙ্গে দিতে হয় না৷ ১০ বা ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাকি টাকাটা কিস্তিতে দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ এক্ষেত্রে তিন বছর পর আর কোনো টাকা লাগবে না৷ ব্যাটারির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের গ্যারান্টি থাকলেও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করলে ৬-৭ বছরও চলে যায়৷ এরপর ব্যাটারিটা বদলে নতুন ব্যাটারি নেয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আগের ব্যাটারির খরচের এক-তৃতীয়াংশ টাকা ফেরত দেয়া হয়৷''

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ