1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশথাইল্যান্ড

সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে থাইল্যান্ড

১৬ জুলাই ২০২৫

২০৩৬ সালের মধ্যে তার মোট জ্বালানির ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে থাইল্যান্ড৷ চীনের সস্তা প্রযুক্তির সহায়তায় ইতিমধ্যে দেশটি সৌরশক্তিতে অনেকখানি এগিয়ে গেছে৷

থাইল্যান্ডের ভাসমান দ্বীপ যেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যুৎকেন্দ্র৷
থাইল্যান্ডে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ প্যানেল এখনও চীন থেকে আমদানি করা হয়, কিংবা থাইল্যান্ডে পরিচালিত চীনা কোম্পানিগুলো তৈরি করে থাকে৷ছবি: Pattamon Wongrattna/DW

উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের সিরিন্দহর্ন বাঁধের উপর অবস্থিত সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম৷ ভাসমান এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বছরে ৩৬ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে৷

তানোম মুংফিয়া সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সবকিছু মসৃণভাবে চলছে৷ তিনি জানান, ‘‘শুধুমাত্র এই দ্বীপেই ১৪০ মিটার প্রস্থ এবং ৫০০ মিটার দীর্ঘ এলাকা জুড়ে প্রায় ২০ হাজার সৌরপ্যানেল আছে৷ এই ধরনের মোট সাতটি দ্বীপে প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৪২০টি প্যানেল আছে৷''

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণে যেন পরিশ্রম কম হয় সেভাবেই এটি তৈরি করা হয়েছে৷ পরিষ্কারের কাজটি করে বৃষ্টি, আর প্যানেলগুলি পানির অপচয় কমাতে সাহায্য করে৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে শীর্ষস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে থাইল্যান্ড৷ কর ছাড়, প্রণোদনা এবং সবজায়গায় এই জাতীয় ছোট সোলার লাইট দেখা যাচ্ছে৷ এমনকি রাস্তায় বাতি জ্বালাতেও এখন সৌরশক্তি ব্যবহার হচ্ছে৷

সৌরশক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা৷ ‘‘ঠিক একটা সেলফোনের মতো৷ নতুন মডেল বের হলে তার প্রতি আর আগ্রহ থাকে না, তাই না? আর পুরনো মডেলটা কেউ কিনবে না৷ ব্যাপারটা একইরকম৷ আপনি যদি দ্রুত বিক্রি করতে না পারেন, তাহলে পুরনো মডেলটা স্টকে পড়ে থাকবে৷ প্রতি তিন মাসেই এমনটা হয়ে থাকে,'' বলেন গ্রিনএনার্জির সিইও পল সান্তাউই৷

সৌরশক্তিতে সাফল্য দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড

04:05

This browser does not support the video element.

থাইল্যান্ডে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ প্যানেল এখনও চীন থেকে আমদানি করা হয়, কিংবা থাইল্যান্ডে পরিচালিত চীনা কোম্পানিগুলো তৈরি করে থাকে৷

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পিপিএম সোলার কোম্পানি তার কৌশল পরিবর্তন করছে৷ একটি সত্যিকারের স্থানীয় সাপ্লাই চেন তৈরি করতে তারা থাই টিভি নির্মাতা থেকে শুরু করে ফ্রিজ প্রস্তুতকারকদের খুঁজছে৷ তারপরও বর্তমানে তাদের কাঁচামালের ৭০ শতাংশ চীন থেকে আসছে৷

পিপিএম সোলারের সিইও কৃত্তিন পর্নপিলায়লাক বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে কোনো যন্ত্রাংশ চীনে তৈরি বা কাঁচামাল চীন থেকে আসছে কিনা, তা বিবেচ্য হবে না৷ বিবেচ্য হবে, ঐ কোম্পানির মালিক কে? ঐ কোম্পানির কাঁচামাল কোথা থেকে আসছে? ফলে আমরা যদি যাচাই করতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে, থাই উৎপাদক ও থাই সাপ্লাই চেন আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কাজ করতে পারছে, আমাদের যত পণ্য দরকার তা দিতে পারছে, তাহলে সেই পণ্যটি নিশ্চিতভাবেই কর হ্রাস পাওয়ার উপযুক্ত হবে৷''

বর্তমানে যে শুল্ক ব্যবস্থা আছে, সেটি খুব একটা কার্যকর নয়৷ থাইল্যান্ডের অনেক কোম্পানি যারা নিয়ম মেনে চলে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর৷ এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্যাপক শুল্কের বিপরীত প্রভাব পড়ে- যা মার্কিন অর্থনীতিকে সাহায্য করার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে৷

‘‘কারণ, যেটা ঘটবে তা হলো, একবার খুব বেশি শুল্ক বাধা তৈরি হলে, দেশীয় বাজারে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হবে যেখানে সেই কোম্পানিগুলি বিশ্বাস করবে যে, তারা সুরক্ষিত, এবং তাদের আর নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে না, বা বিশ্ববাজারের জন্য নিজেদের আর প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে হবে না৷ এটা হয়ত শুরুতে মার্কিন কোম্পানিগুলিকে সাহায্য করবে, কিন্তু মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে এটা তাদের জন্য খুব কঠিন হবে,'' বলে মনে করেন থাইল্যান্ডের থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিরোট আলী৷

পিপিএম সোলার আপাতত নিজ দেশের দিকে বেশি মনোযোগী হচ্ছে৷ তাদের প্যানেলগুলো শিগগিরই বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে৷

আগামী দশ বছরে সৌরশক্তি ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে চায় থাইল্যান্ড৷ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনেরও পরিকল্পনা করছে দেশটি৷ ততদিন পর্যন্ত দেশটি সূর্যের আলো কতখানি গ্রহণ করতে পারবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে৷

গেওর্গ মাটেস/জেডএইচ

থাইল্যান্ডের যে দ্বীপ শতভাগ সৌরশক্তিতে চলে

02:00

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ