অফুরন্ত জ্বালানি – অথচ দূষণ বা ক্ষতিকারক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই৷ কাঁচামালেরও অভাব নেই, তাও আবার বিনামূল্যে৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এমন স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
সূর্যের আগুন পৃথিবীতে আনা – এটাই নিউক্লিয়ার ফিউশন গবেষকদের স্বপ্ন৷ কয়েক কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হাইড্রোজেন পরমাণু গলে যায়৷ এই প্রক্রিয়ায় বিশাল পরিমাণ জ্বালানি তৈরি হয়৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সৌর চুল্লিগুলি খুবই ছোট হওয়ায় প্রক্রিয়াটি লাভজনক নয়৷
ফ্রান্সের দক্ষিণে কাদারাশ-এ তাই ‘ইটার' নামের এক পরীক্ষামূলক চুল্লি তৈরি হচ্ছে৷ কয়েক বছরের মধ্যে এখানে ৩০ মিটার দীর্ঘ ও প্রায় ২৩,০০০ টন ভারি ইস্পাতের খাঁচা তৈরি হবে৷ এই চুল্লি চালাতে যত জ্বালানি লাগবে, গবেষকরা তার প্রায় ১০ গুণ বেশি জ্বালানি উৎপাদন করতে চান৷
আকাশে আগুন: বজ্র এবং বিদ্যুৎ চমকানো
গ্রীষ্ম, সূর্য - বজ্রপাত: মাত্রাতিরিক্ত গরমের পর প্রায়ই ঝড় ওঠে, যেমনটা জার্মানিতে দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশ বা ভারতে অবশ্য এই প্রবণতা বহু আগে থেকে৷ চলুন বজ্রপাত আর বিদ্যুৎ চমকানোর কয়েকটি বিশেষ দিক জানা যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আকাশে ‘শর্ট সার্কিট’
রাতের আকাশে এমন দৃশ্য বিরল নয়৷ বিদ্যুৎ চমকানোর ব্যাপারটি অনেকটা ‘শর্ট সার্কিটের’ মতো ব্যাপার৷ আর একেকটি বিদ্যুৎ চমক ৫০০ মিলিয়ন ভোল্ট পর্যন্ত শক্তিশালী হতে পারে৷ জার্মানিতে প্রতি বছর গড়ে বিশ লাখের বেশি বার বিদ্যুৎ চমকায়৷ এতে অবশ্য ভয়ের কিছু নেই৷ কেননা অধিকাংশই মাটি স্পর্শ করে না৷ বরং মেঘ থেকে মেঘে স্থানান্তর হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়
ছবিতে থাকা এই মানুষটি বজ্রপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না৷ কেননা তাঁর ধাতব স্যুট বিদ্যুৎ চমক প্রতিরোধে সক্ষম৷ এই স্যুটের নীতি হচ্ছে ‘ফ্যারাডে কেজ’৷ ধাতু বিদ্যুৎ চমক থেকে সৃষ্ট বিদ্যুতের প্রবাহ প্রতিরোধ করতে পারে৷ তাই বিমান কিংবা গাড়িও ‘লাইটনিং বোল্ট’ বা বিদ্যুৎ চমকের আঘাত থেকে নিরাপদ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাটিতে ফিরিয়ে নেয়া
সাধারণত উঁচু জায়গায় বজ্রপাত ঘটে৷ যেকারণে প্রায় সব বড় গির্জা বা বহুতল ভবনে ‘লাইটনিং রড’ রয়েছে, যা আর্থিং হিসেবেও পরিচিত৷ এই ব্যবস্থার ফলে বজ্রপাতের কারণে ভবনের ক্ষতি হয় না৷ বরং বিদ্যুৎ সরাসরি ভূমিতে চলে যায়৷ ১৭৫২ সালে বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন ‘লাইটনিং রড’ আবিষ্কার করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক আচরণ
২০১৩ সালে বজ্রপাতের কারণে জার্মান বিমা সংস্থাগুলোর ২৮০ মিলিয়ন ইউরোর মতো গুনতে হয়েছে৷ তবে সরাসরি ঘরবাড়ির উপর বজ্রপাতের কারণে এটা হয়নি৷ আসলে অনেক সময় বাড়ির কাছাকাছি বজ্রপাত হলে বাড়তি বিদ্যুৎ সাধারণ বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চলে যায়৷ ফলে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়৷ তাই পরামর্শ হচ্ছে, বিদ্যুৎ চমকালে টিভি, ফ্রিজের মতো পণ্যের প্লাগ খুলে রাখুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বল লাইটনিং’ এর অস্তিত্ব আছে
এটা প্রকৃত ‘বল লাইটনিং’ নয়৷ তবে বাস্তবেও এটা সম্ভব! যদিও এমন বিদ্যুৎ চমকানোর ছবি প্রকৃতি থেকে এখনো তোলা যায়নি, তবে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আকর্ষণ এবং আতঙ্কের মাঝামাঝি
গ্রীষ্মের আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো দেখে অনেকে রোমাঞ্চ অনুভব করেন৷ তবে কেউ যদি বিদ্যুৎ চমকানোর কথা শুনেই ঘামতে শুরু করেন তাহলে তাকে বলে ‘এস্ট্রাফোবিয়া৷’ বজ্রপাত এবং বিদ্যুৎ চমকানো নিয়ে যাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে তারা এস্ট্রাফোবিয়ায় আক্রান্ত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শিল্পীদের প্রেরণা
‘লর্ডস অফ লাইটনিং’ এর মতো শিল্পীরা বজ্রপাতের সৌন্দর্যকে এভাবেই স্টেজে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ বিভিন্ন চিত্রকর্মেও বিদ্যুৎ চমকানোর দৃশ্য একেছেন শিল্পীরা৷ নিরাপদ দূরত্বে বসে প্রকৃতির এই খেয়াল উপভোগ্য নয় বৈকি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
‘ইটার' এক আন্তর্জাতিক প্রকল্প৷ ইউরোপ ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও তাতে অংশ নিচ্ছে৷ আপাতত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৫০০ কোটি ইউরো৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার অর্ধেক বহন করছে৷
হেনরিক বান্ডস্লেভ ডেনমার্কে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ছিলেন৷ আজ তিনি ইইউ-র পক্ষে এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ ফিউশন ফর এনার্জি প্রকল্পের প্রধান বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়ার বেশ কিছু অভিনব সুবিধা রয়েছে৷ সাধারণ পরমাণু চুল্লির মতো এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি তেজস্ক্রিয় বর্জ্য তৈরি হয় না৷ ‘মেল্টডাউন'-এর মতো বিপদেরও আশঙ্কা নেই৷ কাঁচামালও অফুরন্ত৷ অর্থাৎ জ্বালানি কখনো শেষ হবে না এবং গোটা বিশ্বেই এই জ্বালানি প্রায় সমান মাত্রায় ছড়িয়ে রয়েছে৷''
সেই গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকেই গবেষকরা পরমাণু ফিউশন নিয়ে কাজ করছেন৷ তবে বহুকাল সাফল্য আসেনি৷ তারপর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘টোকামাক' প্লান্টে পদার্থবিদরা সফল হলেন৷ ১৯৯১ সালে ব্রিটেনের ‘জেট' প্লান্টে বিজ্ঞানীরা প্রথম নিয়ন্ত্রিত ফিউশন করতে সমর্থ হলেন – যদিও তা ঘটেছিল মাত্র দুই সেকেন্ডের জন্য৷
ফ্রান্সের দক্ষিণে ‘ইটার' ‘জেট'-এর সাফল্যই অনুসরণ করছে৷ তবে প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ বেশ বিলম্ব ঘটেছে, ব্যয়ভারও বেড়ে গেছে৷ বান্ডস্লেভ বলেন, ‘‘আমি এ নিয়ে খুশি হতে পারি না৷ তবে এই উদ্যোগকে চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠানোর চ্যালেঞ্জের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ বিলম্ব হচ্ছে, এটা ঠিক৷ কিন্তু একই সঙ্গে আমি জানি যে ‘ইটার', ‘ফিউশন ফর এনার্জি' ও শিল্পজগতের গবেষক ও অন্যান্য কর্মীরা সাফল্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন৷''
শতাব্দীর সেরা ধূমকেতু আইসন আর নেই!
ছবি: Reuters
মর্মান্তিক বিদায়
যুক্তরাষ্ট্রের সৌর পদার্থবিদরা ধূমকেতু আইসনের গতিবিধির দিকে নজর রাখছিলেন৷ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যখন সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছায় এটা, তখন তারা এটিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল ধূমকেতু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে নাসা টুইটারে জানায়, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আইসন আর নেই৷ টেলিস্কোপে সূর্যের পাশে বিশালাকার বরফ ও ধুলোর জায়গায় কেবল একটি ক্ষীণ স্রোতরেখা দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
তীব্র তাপই মৃত্যুর কারণ
বৃহৎ আকার সত্ত্বেও, আইসন সম্ভবত সূর্যের কাছাকাছি এসে তীব্র তাপ ও তাপস্রোত সইতে না পেরে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে৷ ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, গ্রিনিচ মান সময় ২১:৩০ মিনিটে আইসন নিশ্চিহ্ন হয়েছে৷ ইএসএ টুইটারে জানিয়েছে, সোহোতে অবস্থানরত আমাদের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন আইসন আর নেই৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
শতাব্দীর সেরা ধূমকেতু
সাম্প্রতিক কালে দৃশ্যমান বিভিন্ন উজ্জ্বল ধূমকেতুর মধ্যে আইসন অন্যতম৷ অনেকে এটিকে শতাব্দীর সেরা ধূমকেতু আখ্যা দিয়েছেন৷ ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের (আইএসওএন) মাধ্যমে ধূমকেতুটি আবিষ্কার করা হয়েছে বলে এটির নাম দেওয়া হয়েছে সি/২০১২ এস১ (আইএসওএন বা আইসন)৷
ছবি: Reuters
বৃহদাকার ধুমকেতু
১৪ মাস আগে এই ধূমকেতুটিকে আবিষ্কৃত হয়৷ এরপর এটিকে নিয়ে অনেক আশা ছিল জ্যোর্তিবিদদের৷ আইসনের বয়স ৪৬০ কোটি বছর বলে ধারণা করা হয়৷ আইসন অন্যান্য ধূমকেতুর তুলনায় বেশ বড়৷ এর পরিধি এক কিলোমিটারেরও বেশি৷
ছবি: cc-by/LarryBloom
টিকে থাকা নিয়ে সংশয় ছিল
আগেই প্রশ্ন উঠেছিল, সূর্যের কাছাকাছি গেলে ধূমকেতু আইসন বাঁচবে কিনা৷ তবে, সূর্য থেকে মাত্র ১০ লাখ কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে যাওয়ার সময়ই এটি ধ্বংস হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ সূর্যকে অতিক্রম করার সময় ২৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি ভেঙে গুড়োগুড়ো হয়ে মহাকাশে ভস্মীভূত হয়৷ এর আগে অন্য কোন ধূমকেতু সূর্যের এত কাছ দিয়ে যায়নি৷
ছবি: picture alliance / dpa
বাংলাদেশ থেকে দেখা
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইসন ধূমকেতু শনাক্ত করা হয়েছে এ বছরের নভেম্বরে৷ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া গ্রাম থেকে ৩ নভেম্বর ভোর পাঁচটায় আইসন শনাক্তকরণের পাশাপাশি ধূমকেতুটির একটি ছবি তোলা হয়৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে সেই ছবিটি তোলা হয়েছিল৷
ছবি: Anushandhitshu Chokro Science Organization
লভজয়ের পরিণতি
সৌরমণ্ডলের একেবারে দূর প্রান্তের বরফ-ঠাণ্ডা এলাকা ‘উর্ট ক্লাউড’ থেকে এসেছিল ধূমকেতু আইসন৷ ধূমকেতুটি ঘণ্টায় ১০ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে সূর্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল৷ কিন্তু শক্তিধর নক্ষত্র সূর্যের তেজের কাছে শেষ পর্যন্ত টিকল না এটি৷ পরিণতি হলো ধূমকেতু লভজয়ের মতোই৷ ২০১১ সালে সূর্যের কক্ষপথের কাছে এসে ধ্বংস হয়ে যায় লভজয়৷
ছবি: NASA/Don Davis
ধূমকেতু কি?
ধূমকেতু হলো ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক পদার্থ৷ এটি সৌরজাগতিক বস্তু বা সূর্যের খুব কাছ দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময়, কখনো কখনো তার লেজ প্রদর্শণ করে৷ এটি প্রস্থে কয়েকশ’ মিটার থেকে দশ কিলোমিটার এবং দৈর্ঘ্যে কয়েকশ’ কোটি কিলোমিটার পর্যন্ত হলে পারে৷
ছবি: NASA/Science dpa
হ্যালির ধূমকেতু
প্রতি ৭৫-৭৬ বছর পর পর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়ে উঠা একটি ধূমকেতু হ্যালি৷ বিখ্যাত ইংরেজি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালির নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে৷ এর অফিসিয়াল ডেসিগনেশন হচ্ছে ১পি/হ্যালি৷
ছবি: AP
9 ছবি1 | 9
জার্মানির উত্তরে গ্রাইফসভাল্ড-এ গবেষকরা অন্য একটি পরীক্ষামূলক প্লান্টে কাজ করছেন৷ ‘ভেন্ডেলস্টাইন সেভেন-এক্স' নির্মাণের কাজ সবে শেষ হয়েছে৷ প্রকল্পের প্রধান ‘টোকামাক' নয় – ‘স্টেলারেটর' দিয়ে সূর্যকে পৃথিবীতে আনতে চান৷ মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের টোমাস ক্লিঙার বলেন, ‘‘দুটি ব্যবস্থাই আংটির মতো দেখতে চৌম্বক ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে৷ ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তপ্ত গ্যাসকে শীতল প্রাচীর থেকে দূরে রাখতে এই চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রয়োজন, যাতে সেই উত্তাপ হারিয়ে না যায়৷ কিন্তু সেই ম্যাগনেটিক ফিল্ড কী ভাবে তৈরি করা হয়, সেই পদ্ধতি দুটি ব্যবস্থায় আলাদা৷''
‘স্টেলারেটর'-এ চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করা হয় বাঁকানো কয়েল দিয়ে, ‘টোকামাক'-এর ক্ষেত্রে যা ঘটে না৷ ‘টোকামাক'-এর এক চৌম্বক খাঁচা আছে, যা রিং টায়ারের মতো দেখতে৷ প্লাজমার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করে, তার চৌম্বক ক্ষেত্র ধরে রাখে৷ ‘স্টেলারেটর'-এর প্লাজমায় বিদ্যুতের কোনো প্রয়োজন নেই৷ ফলে তা অবিরাম চলতে পারে৷
এই মুহূর্তে ফ্রান্সের চুল্লিতে যে ‘টোকামাক' রয়েছে, তা বেশ পরীক্ষিত৷ সব কিছু ঠিকঠাক চললে বর্তমান শতকের মাঝামাঝি সময়ে সেখানকার পারমাণবিক ফিউশন কেন্দ্র থেকে প্রথম বার জ্বালানি উৎপাদন হওয়ার কথা৷ ততদিন পর্যন্ত পদার্থবিদরা সূর্য ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত অনুযায়ী অফুরন্ত জ্বালানির স্বপ্ন দেখতে থাকবেন৷