সামনের ছুটিতে স্কি-পর্যটন বন্ধ রাখতে চায় জার্মানি ও ইটালি৷ কিন্তু তাতে নারাজ অস্ট্রিয়া৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জানিয়েছেন যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে ইউরোপজুড়ে স্কি-পর্যটন বন্ধ রাখতে চায় জার্মানি৷ জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগে তিনি বলেন, ‘‘স্কি করার সময় প্রায় এসে গেছে৷ আমরা চেষ্টা করছি ইউরোপে সবার সাথে ঐক্যমতে পৌঁছতে যাতে করে সব স্কি-রিসর্ট বন্ধ রাখা যায়৷''
প্রতি বছরই জার্মান ও ইউরোপের অন্যন্য প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা ইউরোপের বিভিন্ন স্কি-রিসর্টে ভিড় জমান৷ বিশেষ করে বাভারিয়া আল্পসের অংশে এই ভিড় জমে স্থানীয় তুষারজমা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে৷
কিন্তু ম্যার্কেলের সাথে একমত হয়ে বাভারিয়ার রাজ্যপ্রধান মার্কুস জ্যোডারও বলেন যে বর্তমান সংক্রমণ হারের পরিস্থিতি মাথায় রেখে ‘‘স্কি-রিসর্টে পর্যটন অসম্ভব৷’’
তিনি চান ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সবরকমের স্কি-পর্যটন বন্ধ রাখা হোক৷ প্রসঙ্গত, ইউরোপের একাধিক স্কি-রিসর্ট থেকেই গত বছর গোটা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস৷
পক্ষে-বিপক্ষে যারা
জার্মানির সাথে স্কি-পর্যটনে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে দাঁড়িয়েছে ইটালি ও ফ্রান্স৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী বছরের প্রথমার্ধ্ব পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে সেদেশের সবক'টি স্কি-রিসর্ট৷
কিন্তু ইইউব্যাপী এই দাবির বিপক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেছে অস্ট্রিয়া৷ অর্থমন্ত্রী গেরনট ব্ল্যুমেল বলেন, ‘‘যদি এই সিদ্ধান্তে ইইউ পৌঁছায়, তাহলে এর অর্থভারও তাদেরকেই বইতে হবে৷'' এমননিষেধাজ্ঞা জারি হলে অস্ট্রিয়ান রিসর্টগুলির প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরোর ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি৷
সুইজারল্যান্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য না হলেও ইউরোপের বাসিন্দাদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্কি-গন্তব্য৷ সেখানে সবক'টি স্কি-রিসর্ট শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ৷
এসএস/কেএম (এএফপি, এপি)
করোনার বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের লড়াই
যৌনব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে জার্মানিতে৷ এর প্রতিবাদে খোলা চিঠি লিখেছেন যৌনকর্মীরা, করোনা ভাইরাসের কারণে মহাসংকটে থেকেও নেমেছেন নতুন লড়াইয়ে৷ দেখুন ছবিঘরে....
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
‘তারা সুপার স্প্রেডার’
সম্প্রতি ১৬ জন সাংসদ জার্মানিতে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন৷ এমন দাবি তুলে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যৌনকর্ম কখনো সম্ভব নয়৷ এ কারণে যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থায়ীভাবে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১৬ জন সংসদ সদস্য৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Schlueter
‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই’
ওই ১৬ জন সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জার্মানির যৌনকর্মীদের কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসডি৷ চিঠির মাধ্যমে 'পরিচ্ছন্নতার ধারনা' তুলে ধরে বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই৷ অন্যসব ব্যবসার মতো আমাদেরকেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে৷’’
ছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Lipinski
ভুল ধারণা, ভিত্তিহীন আশঙ্কা
খোলা চিঠি এবং সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বক্তব্যে জার্মানির যৌনকর্মীরা দাবি করছেন, তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকায় ওই সংসদ সদস্যরা যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করতে চাইছেন৷ বিএসডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়, জার্মানিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুব কঠোরভাবে বজায় রেখেই যৌনব্যবসা পরিচালিত হয় এবং সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দূরে রেখে এই ব্যবসা চালু রাখা সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/AP/M. Probst
দাবি ও পরামর্শ
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে জার্মানির সব যৌনপল্লী খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএসডি৷ তাদের প্রশ্ন, মাসাজ পার্লার, চুল কাটার দোকান ইত্যাদি খুললে যৌনব্যবসা কেন বন্ধ থাকবে? ছোট যৌনপল্লীতে আপাতত একসময়ে সর্বোচ্চ ১০ জন যৌনকর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেয়া এবং বড় যৌনপল্লীতে সব ঘর না খোলার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall
জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে যৌনব্যবসা বন্ধ রয়েছে৷ তবে লকডাউন ধীরে ধীরে যখন শিথিল হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে, তখন যৌনকর্মীরাও একই নিয়মে ব্যবসায় ফিরতে পারবে বলে আশা করছে বিএসডি৷ জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ৷ নিয়মিত আয়কর দেন যৌনকর্মীরা৷