সরকারের প্রতি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, খেলার মাঠ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানির শিশু সাহায্য সংস্থা৷
বিজ্ঞাপন
করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে আসার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানির শিশু সাহায্য সংস্থা৷ এতে জার্মানির ফেডারেল সরকার, বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং মিউনিসিপ্যালিটির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে৷ বিশেষ করে স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, পাবলিক খেলার মাঠগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধীরে ধীরে আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি৷
শিশুদের সাহায্য সংস্থার পরামর্শ, শিশুদের প্রথমে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন আবার শুরু করা যায়৷ খেলার সময়ও যাতে শিশুরা যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখে সেদিকে ভালোভাবে খেয়াল রেখেই অনুমতি দেয়া যেতে পারে৷ অ্যাথলেটিক্সের মতো খেলাধুলাতেও যাতে শিশুদের অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় সেদিকেও ভেবে দেখার কথা বলেছে সাহায্য সংস্থা৷
জার্মানির শিশু সাহায্য সংস্থার পরিচালক হলগার হফমান বলেন, ‘‘স্কুলগুলিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার ক্লাস শুরু করতে হবে৷ তিন সপ্তাহ স্কুল বন্ধ থাকার কারণে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ অস্বচ্ছল জীবনযাপনকারী পরিবারগুলির জন্য পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷’’
এনএস/কেএম (এএফপি)
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্বে যে নারীরা
বিশ্বের কয়েকজন নারী নিজেদের অবস্থান থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/W. Berrazeg
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
‘জার্মানির ৬০ ভাগ নাগরিক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন’ সরাসরি এমন মন্তব্য করে প্রথমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে এসেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তারপর করোনা সংকটকে জার্মানির জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে বর্ণনা করে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন ম্যার্কেল৷সংকট মোকাবেলায় তার সব পদক্ষেপের প্রশংসা হচ্ছে৷ করোনায় কম মৃত্যুহারের জন্য জার্মানির প্রশংসার সময়ও আসছে তার নাম৷
ছবি: Reuters/M. Schreiber
মারলিন আড্ডো
জার্মানির হামবুর্গ-এপেনডর্ফ মেডিকেল সেন্টারে নিজের দলের সঙ্গে কোভিড ১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় ব্যস্ত এখন মারলিন আড্ডো৷ ভায়রোলজিস্ট মারলিন এর আগে ইবোলা ভাইরাস এবং মার্স করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন৷
ছবি: Privat
জাসিন্ডা আর্দার্ন
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দার নেতৃত্বে করোনাভাইরাসকে এখনো হুমকি হতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড৷ প্রথমে সীমান্ত বন্ধ করে দেন তিনি৷ বিদেশ থেকে আসা প্রায় বন্ধ করে ঘোষণা দেন, কেউ এলে তাকে সেল্ফ কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে দুই সপ্তাহ৷ মাত্র ৬ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই সারাদেশে ঘোষণা করেন লকডাউন৷ ফলাফল এখনো মাত্র১০২ জনের দেহে সংক্রমণ এবং একজনেরও মৃত্যু না হওয়া৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Perry
জুং ইউন কিয়ং
দক্ষিণ কোরিয়ার সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক তিনি৷ তবে এই পরিচয় ছাপিয়ে এখন সবাই তাকে'জাতীয় বীর' হিসেবে চেনে৷ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রাতের ঘুম ভুলে গিয়েছিলেন, সহকর্মীদের অনুরোধেও অফিস ছাড়তে চাইতন না৷ সবার জন্য করোনা-পরীক্ষা নিশ্চিত করায় আন্তরিক পদক্ষেপ নিয়ে সংকট নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই নারী৷
ছবি: picture-alliance/Yonhapnews Agency
মেটে ফ্রেদেরিকসেন
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করে আসলে ইউরোপকেও পথ দেখিয়েছেন৷ মার্চের মাঝামাঝি থেকেই করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/Ritzau Scanpix
সাই ইং-ওয়েন
তার দেশ তাইওয়ানে করোনাভাইরাস ভয়াবহ সংকটের জন্ম দেবে বলে আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞদের৷ কিন্তু চীনে সংক্রমণ বাড়া শুরু হতেই চীন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে কারো তাইওয়ানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তার সরকার৷ তারপর পর্যায়ক্রমে নেয়া হয় কর্নার সংক্রমণ রোধের আরো কিছু কঠোর পদক্ষেপ৷ তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তাইওয়ানে করোনাভাইরাস এখনো বড় আতঙ্ক হয়ে ওঠেনি৷