স্কুল এবং ডে-কেয়ারে করোনায় আক্রান্তদের হিসেব দাবি
১৬ নভেম্বর ২০২০
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জার্মান শিশু সহায়তা সংস্থা দেশের সকল স্কুল এবং ডে-কেয়ারের করোনার পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত একটি তালিকা তৈরির দাবি জানিয়েছে৷
ছবি: Annegret Hilse/REUTERS
বিজ্ঞাপন
স্কুল এবং ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোতে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে নিয়মিত ডেটা আপডেট করা প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি৷ স্কুলের কয়েজন শিক্ষার্থী বা ডে কেয়ারের কয়েকজন শিশু বা শিক্ষক অসুস্থ অথবা কেউ কেউ কোয়ারান্টিনে রয়েছে, এমন অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান বা তথ্য যথেষ্ট নয় বলে সংস্থার অভিযোগ৷
সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারী স্কুল, কিন্ডারগার্টেনেরও তালিকা রেকর্ড করতে হবে৷ ‘‘সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে সেখানে স্কুল এবং ডে-কেয়ারগুলোতে সংক্রমণের একটি নির্দিষ্ট হিসেব আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন,’’ মন্তব্য জার্মানির শিশু সহায়তা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলগার হফমানের৷
তাছাড়াও তিনি করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিক্ষা কত্তৃপক্ষ এবং ছাত্র ও অভিবাবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন৷ হফমানের মতে, সকলের যৌথ অভিজ্ঞতাই মহামারি সঙ্কট মোকাবেলা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে৷
এনএস/কেএম (এএফপি)
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
করোনা ভাইরাসের টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়োনটেকের প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত এক দম্পতি৷ ছবিঘরে জানুন বিস্তারিত৷
ছবি: Stefan F. Sämmer/imago images
২০০৮ সালে শুরু
জার্মান শহর মাইনৎসে ১২ বছর আগে বায়োনটেকের পথচলা শুরু হয়৷ এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ উগুর জাহিন এবং তাঁর স্ত্রী ইমিউনোলজিস্ট উজলেম টুরেচি৷
ছবি: BioNTech SE 2020, all rights reserved
তুরস্ক বংশোদ্ভূত
তারা দুইজনই তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক৷ এই দম্পতির তৈরি বায়োনটেকে এখন কাজ করে ১৫শ’ কর্মী৷ ৫৫ বছর বয়সি জাহিনের জন্ম তুরস্কে৷ বাবা-মা’র সঙ্গে একসময় জার্মানিতে চলে আসেন তিনি৷ মেডিসিন এবং গণিত নিয়ে পড়ালেখা করেন কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷
ছবি: Stefan F. Sämmer/imago images
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
জাহিন কোলোন এবং হামবুর্গে দীর্ঘদিন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন৷ এরপর জারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন৷ ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একজন চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে সেখানে কাজ করেন৷ মলিকিউলার মেডিসিন এবং ইমিউনোলজি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন৷ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে তিনি সবসময় আগ্রহী ছিলেন আর এ কারণেই ২০০৮ সালে বায়োনটেক প্রতিষ্ঠা করেন৷ ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য এখানে মনোনিবেশ করেন তিনি৷
৫৩ বছর বয়সি টুরেচির জন্ম জার্মানিতে৷ কিন্তু তাঁর বাবা-মা তুর্কি৷ হামবুর্গে পড়ালেখা করে, সেখানেই চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি৷ ইমিউনোলজিস্ট টুরেচি ক্যান্সার রোগীদের থেরাপি দিয়ে থাকেন৷
ছবি: BioNTech SE 2020, all rights reserved
ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত
২০০০ সালের জানুয়ারিতে জাহিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন৷ তখনই তাঁর আশঙ্কা হয় এটি মহামারি রূপ নেবে৷ সেসময়ই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
ছবি: BioNTech SE 2020, all rights reserved
করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা
বায়োনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর জাহিন জানিয়েছেন, এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্তত এক বছর স্থায়ী হবে৷ যৌথ বিবৃতিতে ফাইজারের চেয়ারম্যান ও তিনি জানিয়েছেন, ‘‘টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে৷’’