সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে একটি ট্রাক অতর্কিতে ঢুকে পড়ায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে৷ সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান ল্যভেন বলেন, ‘‘সব কিছু একটি সন্ত্রাসী আক্রমণের দিকে নির্দেশ করছে৷'' পুলিশ এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির প্রাণ হারানোর কথা বললেও, এখনো বিস্তারিত জানায়নি৷
সংবাদ সংস্থা ডিপিএ ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ধাক্কা মারার পর ট্রাকটিতে আগুন ধরে যাওয়ার খবর জানিয়েছে৷ জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র খবর অনুযায়ী, পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে৷ তাদের এ খবরের সূত্র সুইডিশ রেডিও৷
সংবাদ সংস্থা এপি ড্রটনিংগাটান স্ট্রিটের অভিজাত আহলেন্স ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ট্রাকের ধাক্কা লাগার কথা বলেছে৷ বিপণীটি থেকে নাকি ধোঁয়া বেরচ্ছিল৷
এর আগে রয়টার্স অন্তত দু'জন নিহত হওয়ার খবর দেয়৷ ড্রটনিংগাটান স্ট্রিটে কাপড়ের ঢাকা একাধিক মানুষের শরীর পড়ে থাকতে দেখেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি তা বলেছেন৷
বার্তা সংস্থা এএফপিও জানিয়েছে, ঘটনার পর অকুস্থল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল এবং কিছুক্ষণ পরই আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে শুরু করে৷
এসি/এসিবি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স, এএফপি)
সন্ত্রাস দমনে ইউরোপের প্রস্তুতি
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সাম্প্রতিক কালেও একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ইউরোপ৷ ইউরোপের একাধিক দেশে এমন পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত বিশেষ সন্ত্রাস-দমন বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
হামলার শিকার ইউরোপ
প্যারিস, ব্রাসেলস, নিস – ইউরোপের একের পর এক শহরের মানুষ ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে৷ শোক সামলে নেওয়ার পর বার বার প্রশ্ন উঠেছে, এমন হামলা কি প্রতিরোধ করা যেত? অথবা আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া কি সম্ভব হতো?
ছবি: Reuters/E. Gaillard
জার্মানির ‘জিএসজি ৯’
বন শহরের কাছে জার্মানির বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ‘জিএসজি ৯’-এর ঘাঁটি৷ সন্ত্রাস দমনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ইউনিট জার্মানিতে সন্ত্রাসী হামলা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়, যেমনটা সম্প্রতি মিউনিখে দেখা গেছে৷ ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ইসরায়েলি পণবন্দি নাটকের পর এই বাহিনী গঠন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
অস্ট্রিয়ার ‘একো কোবরা’
অস্ট্রিয়ার কেন্দ্রীয় ফেডারেল পুলিশ বাহিনীর এই ইউনিট সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলার জন্য সর্বদা প্রস্তুত৷ জার্মানির মতোই অস্ট্রিয়াও মিউনিখ অলিম্পিকে হামলার পরও নড়েচড়ে বসে৷ ১৯৭৮ সালে প্রথমে ‘জিইকে’ নামের বাহিনী তৈরি হয়৷ ২০০২ সালে তার নাম বদলে রাখা হয় ‘একো কোবরা’৷
ছবি: Getty Images
ফ্রান্সের ‘জিআইজিএন’
ফ্রান্সের জাতীয় পুলিশ বাহিনীর বিশেষ ‘ইন্টারভেনশন ফোর্স’ সন্ত্রাসী হামলা, জিম্মি পরিস্থিতি, জাতীয় হুমকি ইত্যাদির সময় হস্তক্ষেপ করে৷ এই বাহিনী গঠনের পেছনেও কাজ করেছে ১৯৭২ সালে মিউনিখ হামলার ঘটনা৷ ১৯৭৪ সালে ‘জিআইজিএন’ বাহিনী গড়ে তোলা হয়৷
ফ্রান্সের আদলে ইটালিতেও ১৯৭৭ সাল থেকে এক ‘ইন্টারভেনশন ফোর্স’ সক্রিয় রয়েছে৷ সন্ত্রাসী হামলা ঘটলে আকাশপথে দ্রুত মোতায়েন করা যায় এই বিশেষ বাহিনী৷ ভিআইপি-দের সুরক্ষার কাজেও লাগানো হয় এই বাহিনী৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Solaro
নেদারল্যান্ডস-এর ‘ডিএসআই’
২০০৬ সালে জাতীয় পুলিশ বাহিনীর ছত্রছায়ায় ‘ডিএসআই’ নামের এই বিশেষ ‘ইন্টারভেনশন ফোর্স’ গঠন করা হয়৷ সন্ত্রাসবাদ ও চরম হিংসার পরিস্থিতিতে এই বাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ এর আগে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের প্রক্রিয়ার দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে এই ইউনিট গঠন করা হয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/M. Van Dijl
স্পেনের ‘ইউইআই’
স্পেনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য ‘ইউইআই’ নামের ‘ইন্টারভেনশন ফোর্স’ কাজ করছে ১৯৭৮ থেকে৷ সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে জিম্মি নাটক – যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সামলাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ইউনিটকে৷ এই বাহিনী সম্পর্কে প্রকাশ্যে বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয় না৷