1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টুডেন্টস কেবিনেট ও শিশুদের গণতন্ত্র

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৫ এপ্রিল ২০১৯

শিশুরাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার৷ তারাই কেবিনেট সদস্য, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী৷ নির্বাচন হয়৷ প্রচারও হয়৷ কিন্তু নেই কোনো বিশৃঙ্খলা, ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা জালভোট৷ এটি বাংলাদেশেই সম্ভব হচ্ছে৷

Bangladesh Schulwahl in Dhaka
ছবি: Bdnews24.com

ঢাকার তেজগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কেবিনেটের প্রধানমন্ত্রী নবম শ্রেণির ছাত্রী নাওয়ার ফেরদৌস অরণী৷ তার কেবিনেটে আরো ৮ জন মন্ত্রী রয়েছে৷ তারা সদ্য নির্বাচিত হয়েছে৷ নির্বাচনে প্রতেকে আলাদা আলাদা ইশতাহার দিয়েছিল৷ ইশতাহারে অরণী স্কুলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কমন রুম, ক্যান্টিন এবং বিতর্ক ক্লাবকে প্রাধান্য দেয়৷ আর শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের নিজস্ব মৌলিক চিন্তাধারা তুলে ধরতে পারে তার ওপর সে গুরুত্ব দিয়েছে৷ সেই ইশতাহার আর তার গ্রহণযোগ্যতা তাকে জয়ী করেছে৷

অরণী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, ‘‘আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি৷ আশা করি যা প্রতিশ্রতি দিয়েছি তা পূরণ করব৷''

‘আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিই’

This browser does not support the audio element.

অরণী গতবারও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল৷ কিন্তু পাস করতে পারেনি৷ তারপরও যারা নির্বাচিত হয়েছিল তারা তাকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করেছে৷ এই গণতান্ত্রিক চর্চা তার ভালো লেগেছে৷ তাই এবার যারা নির্বাচত হতে পারেনি তাদেরও সঙ্গে নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলের নতুন কেবিনেট৷

অরণী বলছে, ‘‘আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিই৷ শিক্ষকরা আমাদের সহায়তা করেন৷ গতবার আমাদের কেবিনেট ব্রেকথ্রু প্রকল্পের (জেন্ডার শিক্ষা) আওতায় একটি কিশোরী কর্ণার খুলেছে৷ আমরা স্কুলের সামনে যেসব বাদাম, বুট, আচারের দোকান ছিল, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি৷ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য অনেক কাজ করা হয়েছে৷ তারপরও কিছু ঘাটতি থেকে যায়৷ তাই এবারও আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি৷''

সে বলছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে আমার খুবই ভালো লাগে৷''

অরণীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমার স্কুলে অনেক লেট কামার স্টুডেন্ট ছিল, যাদের টিচাররাও সামলাতে পারতেন না৷ এখন স্টুডেন্টস কেবিনেটের সদস্যরা লেট কামারদের নিয়ে কাজ করছে৷ গ্রুপ করে তারা লেট কামারদের কাউন্সেলিং করে৷ এখন লেট কামার নেই বললেই চলে৷ এছাড়া একদল আছে গাছ লাগায়৷ একদল আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে৷ আবার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের টেক কেয়ার করে৷ আমার টিচারদের অর্ধেক কাজ এই বাচ্চারা করে দেয়৷ টিচারদের বললেতো নানা রকম হা হু করে৷ কিন্তু এই বাচ্চারা দ্রুত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কাজ করে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের ব্যাজ দিয়ে দিয়েছি৷ ওদের কর্মতৎপরতা আমার অনেক ভালো লাগে৷ ওরা গণতান্ত্রিকভাবে সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে৷ নির্বাচনে যারা হেরে যায় তারা নির্বাচনের পর প্রতিপক্ষ হয়না৷ কেবিনেট তাদেরও কাজে যুক্ত করে৷''

এই বাচ্চারা দ্রুত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কাজ করে

This browser does not support the audio element.

কেবিনেট সদস্য ৮ জন হওয়ার কথা থাকলেও এই স্কুলে এবারের নির্বাচনে ভোটে ৮ম হয়েছে দু'জন৷ তাই দুজনকেই কেবিনেটে নেয়া হয়েছে৷

স্টুডেন্টস কেবিনেট কী?

২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্টুডেন্টস কেবিনেটের যাত্রা শুরু হয়৷ প্রথমবার প্রতিটি উপজেলায় একটি মাধ্যমিক স্কুল, একটি দাখিল মাদ্রাসা এবং একটি কারিগরি বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হয়৷ এবছর দেশের সব মাধ্যমিক, দাখিল মাদ্রাসা এবং কারিগরি বিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এই কেবিনেটের মেয়াদ এক বছর৷ প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হয়৷ স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ভোটে স্টুডেন্টস কেবিনেটের সদস্যরা নির্বাচিত হন৷ প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচজন এবং আরো তিনজন সর্বোচ্চ ভোটের ভিত্তিতে, এই মোট আট জন নির্বাচিত হন৷ তারাই নির্বাচনের পর প্রথম বৈঠকে কেবিনেট লিডার নির্বাচন করে৷ সাধারণভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও কোথাও কেবিনেট লিডারকে প্রধানমন্ত্রী এবং সদস্যদের মন্ত্রী বলা হয়৷ আবার কোথাও সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কেবিনেট সদস্য বলা হয়৷ আবার যেসব স্কুলে একাধিক সেকশন থাকে সেখানে কেবিনেট সদস্য বেশি হতে পারেন৷

নির্বাচন যেভাবে হয়

নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই৷ দশম শ্রেণির একজন ছাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়৷ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার করা হয়৷ তারাই নির্বাচন পরিচালনা করে - তফশিল ঘোষণা, প্রার্থিতা চূড়ান্ত এবং ভোট গ্রহণ সবই করে তারা৷ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রক্রিয়াই থাকে৷ থাকে পোলিং এজেন্টও৷ শুধু ব্যালট পেপারে কোনো প্রতীক থাকেনা৷ থাকে প্রার্থীর নাম, শ্রেণি এবং রোল নাম্বার৷

স্টুডেন্টস কেবিনেটের উদ্দেশ্য কী?

স্টুডেন্টস কেবিনেটের একটি ম্যানুয়াল রয়েছে৷ তাতে এই কেবিনেটের সাতটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে৷

১. শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া

২. অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিখন শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করা

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতকরা ১০০ ভাগ ছাত্র ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা

৫. শিখন শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা

৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

৭. ক্রীড়া , সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কর্মক্ষেত্র ও দায়িত্ব

সাতটি উদ্দেশ্য অর্জনে স্টুডেন্টস কেবিনেটের কাজের ৮টি বিভাগ আছে৷ কেবিনেট সদস্যদের সেই বিভাগ অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেয়া হয়৷ সেগুলো হলো:

১. পরিবেশ সংরক্ষণ৷ এরমধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

২. পুস্তক ও শিখন সামগ্রী

৩. স্বাস্থ্য

৪. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং সহপাঠ কার্যক্রম

৫. পানি সম্পদ

৬. বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি

৭. দিবস ও অনুষ্ঠান উদযাপন, এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন

৮. আইসিটি

এক কেবিনেট সদস্যের কথা

শাহ আহমেদ জুবায়ের মৌলভীবাজারের জুরি সরকারি মডেল হাইস্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র৷ এবার সে স্টুডেন্টস কেবিনেটের সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছে৷ এর আগেরবার সে কেবিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল৷ তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমাদের দেশে সাধারণত কেউ একবার নির্বাচিত হলেই পরেরবার তিনি অজনপ্রিয় হয়ে যান৷ কিন্তু তুমি কী এমন করেছ যে আবারো নির্বাচিত হয়েছ? এর জবাবে সে বলেছে, ‘‘আমি আমার কেবিনেট সদস্যদের নিয়ে সবসময় চেষ্টা করেছি ছাত্রদের মূল সমস্যা যেটা, সেটা আগে সমাধানের চেষ্টা৷ যেমন আমাদের বিদ্যালয়ে পানির সমস্যা ছিল, সেনিটেশনের সমস্যা ছিলো৷ এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি৷ আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করি, ফলে আমার একটি পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে৷ ফলে আমাকে তারা আবারও ভোট দিয়েছে৷''

‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিখছি এবং চর্চা করছি’

This browser does not support the audio element.

স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির ব্যাপারেও ভূমিকা রাখতে হয় স্টুডেন্টস কেবিনেটকে৷ আর এটা তারা কীভাবে করে জানতে চাইলে জুবায়ের বলে, ‘‘কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না এলে আমরা সেটা খেয়াল রাখি, খোঁজ রাখি৷ এরপর তার বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ তার পরিবারের কাছে চিঠিও পাঠাই৷ তার সার্বিক অবস্থা জেনে আমরা আমাদের শ্রেণি শিক্ষকদের জানাই৷ এভাবে আমরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করি৷''

সে বলেছে, ‘‘প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার কেবিনেট সভা করা বাধ্যতামূলক৷ তবে জরুরি প্রয়োজন হলে, যেমন ধরুন কোনো কেবিনেট সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরণের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তাহলে আমরা জরুরি বৈঠক ডাকতে পারি৷ আমরা এর মাধ্যমে শিশু বয়সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিখছি এবং চর্চা করছি৷''

নির্বাচনের সময় প্রচার, প্রচারণা হয়৷ আর প্রার্থীরা তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে৷ সেটা কেমন? কীভাবে হয়? জানতে চাইলে এই কেবিনেট সদস্য জানায়, ‘‘কোনো ছাপানো বা ফটোকপি করা পোস্টার বা প্রচারপত্র আমরা নির্বাচনি প্রচারে ব্যবহার করতে পারিনা৷ তবে হাতে লেখা পোস্টার বা প্রচারপত্র চলতে পারে৷ আর আর প্রার্থীরা শ্রেণি শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে তাদের কথা তুলে ধরতে পারে৷ তাদের প্রতিশ্রুতির কথা বলতে পারে৷ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা ভোট হয়৷ শিক্ষার্থীরাই ভোটার৷ তারাই নির্বাচন পরিচালনা করে৷ ভোট শেষে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ভোট গণনা করা হয়৷ প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট থাকে৷''

‘ওরা নিজেরাই সমস্যা চিহ্নিত করে’

This browser does not support the audio element.

‘এই বয়সেই গণতন্ত্রের চর্চা করছে ওরা'

জুরি সরকারি মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সিতাংশু শেখর দাস স্কুল কেবিনেটের কাজে মুগ্ধ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ওরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করে৷ বিশেষ করে স্কুলে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত এবং ঝরে পড়া রোধে কেবিনেট ভূমিকা নেয়৷ আর স্কুলের শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা সব বিষয়েই ওরা আন্তরিক৷ ওরা ওদের সমস্যা চিহ্নিত করে আমাদের ক্লাসে আসে, তুলে ধরে৷ এইযে ওরা নিজেরাই সমস্যা চিহ্নিত করে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এটা অনেক আনন্দের৷ আমার অনেক ভালো লাগে৷ ওরা এই বয়সেই গণতন্ত্রের চর্চা করছে৷ ওরা দায়িত্বশীলও৷ ওদের নির্বাচন ওরাই করে৷ ভোট গণনা করে৷ ফলাফল ঘোষণা করে৷''

তিনি আরো জানান, নির্বাচনের পরপরই স্টুডেন্টস কেবিনেটের সদস্যদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিতে হয়৷

সিতাংশু শেখর দাস বলেন, ‘‘স্টুডেন্টস কেবিনেট আগামীর নেতৃত্ব তৈরি করছে৷ আর এখানে নেই কোনো রাজনৈতিক প্রভাব৷ অভিভাবকদের প্রভাব নেই, শিক্ষবদের প্রভাব নেই৷ ওরা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা শুধু সহযোগিতা করি৷''

ভাঙছে ট্রেন্ড

স্টুডেন্টস কেবিনেট কোনো প্রকল্প নয়৷ এটা সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষার মূল কার্যক্রমেরই অংশ৷ এটা কোনো সাময়িক বিষয় নয়৷ মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতেই এটা করা হয়েছে৷

লিডারশিপ, সহযোগিতা ও সহনশীলতার মানসিকতা তৈরি করাই উদ্দেশ্য

This browser does not support the audio element.

মাধ্যমিক এবং উচ্চ উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান স্টুডেন্টস কেবিনেটের দায়িত্বে রয়েছেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এক সময় ক্লাসের ফার্স্ট বয় ক্লাস ক্যাপ্টেন হতো৷ আমরা এখন সেই ট্রেন্ডও ভেঙ্গে দিয়েছি৷ ছাত্রদের ৫-৬ জনের একটি প্যানেল বাই টার্ন ক্লাস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব নেয়৷ আর এতে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ আরো বেড়ে যায়৷ কারণ এক জনের হাতে নেতৃত্ব থাকেনা৷ এরা ক্লাসে দায়িত্ব পালন করে৷ আর স্টুডেন্টস কেবিনেট পুরো স্কুলে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আগে অনেক কাজ যা শিক্ষকরা করতো তা এখন স্টুডেন্টস কেবিনেটের সদস্যরা করে৷ শৃঙ্খলা, পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন তারা করে৷ অনুষ্ঠান সূচিও তারা করে৷ এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতা দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বিভিন্ন স্কুলের স্টুডেন্টস কেবিনেটের সদস্যরা করেছে৷ প্রবন্ধও তারা লিখেছে৷ তারা পাঠ করেছে৷''

ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য দুইটি, লিডারশিপ তৈরি করা এবং সহযোগিতা ও সহনশীলতার মানসিকতা তৈরি করা৷ সাইটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের জন্য আমাদের দরকার কোয়ালিটি এডুকেশন৷ আর কোয়ালিটি এডুকেশন শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই হবেনা৷ সে কত যোগ্য মানুষ হলো, যোগ্য নাগরিক হলো, এটা আসল বিষয়৷ আমরা এই স্টুডেন্টস কেবিনেটের মাধ্যমে সেটাই চেষ্টা করছি৷''

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ