৩৫ বছরের অ্যালিস পাস্কিনি ইটালির মেয়ে ও রোমের চিত্রশিল্পী৷ স্ট্রিট আর্ট বা রাস্তার চিত্রকলায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন অ্যালিস – পরতে পরতে ছবি এঁকে ও সেই ছবি রাস্তাতেই প্রদর্শন করে৷
বিজ্ঞাপন
অ্যালিস পাস্কিনির ছবি আজকাল আর্ট গ্যালারিতে ঝোলে৷ তবে তিনি আজও দেয়ালে ছবি আঁকেন৷ অ্যালিস বলেন, ‘‘একটা দেওয়ালে ছবি আঁকা ক্যানভাসে ছবি আঁকার চেয়ে অনেক বেশি৷ দেয়ালের একটা ইতিহাস থাকে, রং থাকে, মানুষজন থাকেন, যারা ঐ দেয়ালের কাছাকাছি বাস করেন৷ নিজের স্টুডিওতে একটা ক্যানভাস নিয়ে কাজ করে আমি কোনো প্রেরণা পাই না৷ একটা বাস্তব কাহিনি আছে, এমন কিছু নিয়ে কাজ করার জন্য দেওয়াল বা অন্য কোনো রিসাইকেল্ড মেটিরিয়াল নিয়ে কাজ করতেই আমার বেশি ভালো লাগে৷''
সারা বিশ্বে দেয়ালে দেয়ালে রং স্প্রে করে ছবি এঁকেছেন অ্যালিস৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি তাঁর নিজের শহর রোমের পথেঘাটে৷ রোমের রাস্তাতেই অ্যালিস তাঁর ছবির বিষয় খুঁজে পান: মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সব মুহূর্ত৷ নিজের স্কেচবইতে সেগুলোকে ধরে রাখেন৷ অ্যালিস বলেন, ‘‘আরো বেশি নাড়া দেয় সেই সব জিনিস, যা পঞ্চাশ বছরেও বদলায়নি৷ কী জানেন তো? বিশ্বজনীন কিছু একটা৷ এভাবে আমি যখন ঘুরে বেড়াই, তখন আমি যেন প্রমাণ পাই যে, মস্কো থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে সিডনি পর্যন্ত মানুষের আবেগ-অনুভূতি একই থাকে৷''
অ্যালিস পাস্কিনির স্ট্রিট আর্ট
04:24
গ্র্যাফিটি থেকে আর্ট
অ্যালিস পাস্কিনির স্টুডিও শিল্পীদের মহল্লা সান লোরেঞ্জোয়৷ এখানেই তিনি ছবি আঁকেন, অলংকরণ বা অন্যান্য ফরমায়েশি কাজ করেন৷ ইটালির মেয়ে অ্যালিস আর্ট কলেজে পড়ার সময় গ্র্যাফিটির সংস্পর্শে আসেন – আর্ট সম্বন্ধে ওপরমহলের নাকউঁচু ধারণার প্রতিবাদ হিসেবে৷ অ্যালিস স্মৃতিচারণ করলেন, ‘‘আমার খারাপ লাগছিল, কেননা নতুন ছাত্রী হিসেবে সে আমলে কোনো চিত্রপ্রদর্শনীতে গেলেই আমার নিজেকে খুব বোকা মনে হতো, কারণ আমি কিছুই বুঝতে পারতাম না৷ শিল্পকলা যেন অনুভূতির ব্যাপার নয়, মগজের ব্যাপার৷ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমি রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি – তাছাড়া আমার ছোটবেলা থেকেই আঁকতে ভালো লাগত৷''
বাড়ির দেওয়াল অথবা ক্যানভাস, অ্যালিস যেখানেই আঁকুন, তাঁর ছবির উপজীব্য হল মানুষ আর মানুষের সম্পর্ক৷ অ্যালিস সবচেয়ে ভালোবাসেন মহিলাদের আঁকতে, তাঁরা ঠিক যা, সেইভাবে, কোনোরকম ন্যাকামি করে নয়৷ অ্যালিস বললেন, ‘‘বাবা-মা আর সমাজ মিলে আমাদের একটা চরিত্র গড়ে দেয়৷ সেই চরিত্র আগে থেকেই নির্দিষ্ট, আমাদের সেটা মেনে চলতে হবে৷ আমাদের ভদ্রসভ্য হতে হবে, সব কিছুতে নাক গলানো নয়, দুমদাম করে ঘুরে বেড়ানো নয়, বেশি আওয়াজ করা নয়....অথচ সব মেয়েরাই কৌতূহলী আর প্রাণচঞ্চল, সে তো আপনারা জানেনই৷''
এক ‘রহস্যমানবীর’ ছবি ও গল্প
ঘরে ঘরে বাচ্চা পোষা ছিল তাঁর কাজ৷ মনে পুষতেন ছবি-প্রেম৷ তাই কাজের ফাঁকে সময় পেলেই গোপনে বেরিয়ে পড়তেন ছবি তুলতে৷ ভিভিয়ান মেয়ার আজীবন গোপনই রেখেছেন এই প্রেম৷ সবাই চিনেছে তাঁকে মৃত্যুর অনেক পরে৷
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
কে এই রহস্যমানবী?
সে এক দারুণ গল্প৷ একজন শুধু ছবি তুলতে ভালোবাসেন বলে গোপনে বছরের পর বছর নিউ ইয়র্ক আর শিকাগোয় ছবি তুলে গেলেন? সারা জীবনে ছবিগুলো কাউকে একবার দেখালেনও না! অদ্ভুত, তাই না? কেউ যদি তাঁকে জিজ্ঞেস করতো, ‘‘জীবিকা নির্বাহ করেন কীভাবে?’’, ভদ্রমহিলা হেসে বলতেন, ‘‘আমি এক ধরণের গুপ্তচর৷’’ বার্লিনেও হয়েছে এই ‘রহস্যময়ী ফটোগ্রাফার’ ভিভিয়ান মায়ারের ছবির প্রদর্শনী৷
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
‘বাস্তব জীবনের মেরি পপিন্স’
ফরাসি মা আর অস্ট্রিয়ান-হাঙ্গেরিয়ান বাবার সন্তান ভিভিয়ান মায়ারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে, ১৯২৬ সালে৷শৈশব কেটেছে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে৷ ১৯৫১ সালে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু৷ বেছে নেন আয়ার পেশা৷ দীর্ঘ ৪০ বছর ঘরে ঘরে বাচ্চাকাচ্চা দেখাশোনার কাজই করেছেন৷ তাঁর স্নেহধন্য এক শিশুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘‘মায়ার কেমন মানুষ ছিলেন?’’, জবাব এসেছে, ‘‘তিনি বাস্তব জীবনের মেরি পপিন্স৷’’
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
ভ্রমণপিপাসু মায়ার
যে বাড়িতে কাজ করতেন, অবসরে সে বাড়ির বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই বেরিয়ে পড়তেন ভিভিয়ান মায়ার৷ রোলাইফ্লেক্স ক্যামেরাটি সঙ্গে নিতেও ভুল হতো না৷ নিউ ইয়র্ক আর শিকাগোর রাস্তার পাশের জগতটা ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়৷ ছুটিতে ক্যামেরা নিয়েই গিয়েছেন দক্ষিণ অ্যামেরিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশে৷ সব জায়গাতেই ছবি তুলেছেন প্রাণভরে৷
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
‘গুপ্ত’ জীবনের গুপ্তধন
নিজের জগতে কোনোদিনই কাউকে ঢুকতে দেননি ভিভিয়ান মায়ার৷ সে জগত ছবির জগত৷ যখন যে বাড়িতে কাজ করতেন, সে বাড়িতেই স্টোর রুমে নিয়ে যত্ন করে রাখতে ছবির নেগেটিভগুলো৷ একসময় ১ লাখেরও বেশি নেগেটিভ জমে যায়৷ বাড়ির ভেতরে বেশ কিছু তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন৷ সেগুলোও থাকতো সেই ঘরে৷ আর ছিল অসংখ্য পেপার-কাটিং৷ জীবদ্দশায় এই সংগ্রহশালার কথা কাউকে জানতে দেননি ভিভিয়ান মায়ার৷
ছবি: dapd
শেষ জীবনের অর্থকষ্ট
জীবনের শেষ কয়েকটা বছর ভীষণ অর্থকষ্টে ছিলেন ভিভিয়ান মায়ার৷ নিজের ছবি, ডকুমেন্টারি এবং পেপারকাটিং যে কোনো একটা ঘরে রাখবেন, সেই ঘরের ভাড়া তো দিতে হবে৷ সেই টাকাও ছিল না৷ অগত্যা বাধ্য হয়ে কিছু ছবি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন৷ রিয়েল এস্টেট ব্যাবসার এজেন্ট জন মালুফ কিনলেন ছবিগুলো৷ ২০০৭ সালে ৩০ হাজার নেগেটিভের জন্য কত দাম দিয়েছিলেন, জানেন? মাত্র ৪০০ ডলার!
ছবি: dapd
আড়াল থেকে চিরঅন্তরালে
চিরকাল নিজেকে আড়ালে না রাখলে স্ট্রিট ফটোগ্রাফার হিসেবে তাঁকে অনেক আগেই হয়ত সবাই চিনতো৷ শেষ জীবনে প্রায় কপর্দকশূন্য ছিলেন ভিভিয়ান মায়ার৷ থাকতেন খুব কম ভাড়ার একটা অ্যাপার্টমেন্টে৷ একবার তো ভাড়া দিতে পারছিলেন না বলে বিতাড়িত হবার অবস্থা হয়েছিল তাঁর৷ আগে কাজ করেছেন এমন এক পরিবার পাশে এসে দাঁড়ানোয় শেষ পর্যন্ত আর রাস্তায় নামতে হয়নি৷ ২০০৯ সালে অজ্ঞাতবাসেই মারা যান, ভিভিয়ান মায়ারের বয়স তখন ৮৩ বছর৷
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
মরণের পরে.....
৩০ হাজার ছবির নেগেটিভ কিনলেও ভিভিয়ান মায়ারের পরিচয় কিন্তু জন মালুফ জানতেন না৷ হন্য হয়ে খুঁজেছেন৷ কিছুতেই পাচ্ছিলেন না খোঁজ৷ ২০০৯ সালে হঠাৎ চোখে পড়ল একটা শোক সংবাদ৷ তার সূত্র ধরে ধরেই এগিয়ে গেলেন, খুঁজে পেলেন ভিভিয়ান মায়ারের পরিচিত কয়েকজনকে৷ তাঁদের কাছ থেকেই জানা গেল সদপ্রয়াত রহস্যমানবীর আসল পরিচয়৷
ছবি: dapd
‘ফাইন্ডিং ভিভিয়ান মায়ার’
ভিভিয়ান মায়ারের কিছু ছবি ‘ফ্লিকার’-এ দিয়েছিলেন জন মালুফ৷ ছবি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা৷ সবার মন ছুঁয়ে যায় ভিভিয়ান মায়ারের ছবি৷ জন মালুফের মনে হলো, চিরকাল আত্মগোপনে থাকা এই নারীর কথা সবাইকে জানানো দরকার৷ সেই ভাবনা থেকে তৈরি করলেন তথ্যচিত্র ‘ফাইন্ডিং ভিভিয়ান মায়ার’৷ তথ্যচিত্রটি অস্কারেও মনোনয়ন পেয়েছিল৷
ছবি: Vivian Maier/Maloof Collection, Courtesy Howard Greenberg Gallery, New York
8 ছবি1 | 8
স্তরে স্তরে
‘প্রাচীরের মধ্যে – স্তরে স্তরে', এই নাম দিয়ে অ্যালিস একটি নতুন প্রকল্প শুরু করেছেন: ত্রিমাত্রিক স্ট্রিট আর্ট৷ সাথে নিয়েছেন এক আলোকচিত্রশিল্পীকে৷ প্রস্তুতি হিসেবে অ্যালিস বেশ কিছু ছোট মডেলের দেওয়াল তৈরি করেছেন, ‘‘একটি দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিকে রূপান্তরিত করার জন্য সেটিকে একাধিক স্তরে ভাগ করতে হয়৷ এখানে চারটে স্তর দেখা যাচ্ছে৷ বাস্তবে কিন্তু সাতটা স্তর, সেই সঙ্গে পটভূমি৷''
তরুণ ভোটার টানতে অভিনব উদ্যোগ
ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যেন তরুণরা ভোট দিতে যায় সেজন্য অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেদেশের সরকার৷ ছবিঘরে থাকছে সে কথাই৷
ছবি: DW/B. Das
১৬তম লোকসভা নির্বাচন
আগামী ৭ তারিখ থেকে ভারতে ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে৷ প্রায় ৮০ কোটি ভোটার এবার ভোট দেবেন৷ ২০০৯ সালের চেয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১০ কোটি বেশি৷
ছবি: DW/B. Das
প্রথমবার ভোটার ২.৩ কোটি
এবার প্রায় ২.৩ কোটি তরুণ প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন৷ এদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করাকে নিজেদের একটা অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন৷
ছবি: DW/B. Das
তরুণদের উৎসাহ দিতে
তরুণদের ভোট দিতে যেতে উৎসাহিত করতে ভারতের সরকার ২০১০ সালে ‘সিস্টেমেটিক ভোটারস এডুকেশন অ্যান্ড ইলেকটোরাল পার্টিসিপেশন’ বা এসভিইইপি নামে একটি প্রকল্প চালু করে৷ এর আওতায় জানুয়ারির ২৫ তারিখে ‘ন্যাশনাল ভোটারস ডে’ উদযাপন করা হয়৷
ছবি: DW/B. Das
দেয়ালচিত্র
এটি উত্তরপূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং এর একটি দেয়াল যেখানে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে৷
ছবি: DW/B. Das
আরও উদ্যোগ
শিলং-এর একজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তরুণদের আকৃষ্ট করতে সৃষ্টিশীল সব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷ এর মধ্যে রয়েছে রচনা লেখা, ছবি আঁকা, বিতর্ক ও ধাঁধা প্রতিযোগিতার আয়োজন৷ রয়েছে দেয়ালচিত্র আঁকা, নৃত্য, গান, স্লোগান ও জিঙ্গেল তৈরি, ‘রান ফর ডেমোক্রেসি ম্যারাথন’ ইত্যাদি৷
ছবি: DW/B. Das
অন্যদের কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়া
দেয়ালচিত্র অংকন শিল্পী কারিন জপলিন লাংসটিহ বলেন, ‘‘জার্মানি সহ অন্যান্য দেশের স্ট্রিট আর্টওয়ার্ক দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি৷ স্থানীয় বিষয় যেমন ঐতিহ্যবাহী পোশাক, গ্রামের বাস এসব জিনিসকে আমরা দেয়ালচিত্রে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি৷’’
ছবি: DW/B. Das
সব ভোটই গোনা হয়
এত সব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তরুণ ভোটারদের যে বার্তা দিতে চায় সেটা হচ্ছে ‘সব ভোটই গোনা হয়৷’
ছবি: DW/B. Das
7 ছবি1 | 7
দর্শকরা ত্রিমাত্রিক চশমা নাকে দিয়ে প্রাচীরের ভেতরে ঢুকতে পারেন৷ প্রদর্শনীর স্থানটি হলো রোম৷ দর্শকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্কটাই অ্যালিসকে প্রেরণা দেয়৷ সেজন্যই তিনি বারংবার জনসমক্ষে ছবি আঁকেন, ‘‘প্রত্যেকেই একটু অন্যরকম করে দেখে আর তা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েই কথাবার্তা হয়৷ দর্শকরা পরস্পরকে বলেন, তাদের কিরকম লাগছে, কিরকম বোধ হচ্ছে৷''
এখানেও আদানপ্রদানটাই বড় কথা৷ রোমের এই উদ্বাস্তু আবাসনে অ্যালিস অভিবাসী কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গত এক বছর ধরে কাজ করছেন, তাদের অভিজ্ঞতা চিত্রপটে ধরে রেখেছেন৷ ৩৫ বছর বয়সি শিল্পীর লক্ষ্য খুব সহজ: ‘‘বলতে কি, মানুষের ইতিহাস তো শিল্পকলায় ভরা৷ আর্ট হলো মানুষের হিস্টরি, মানবজাতির ইতিহাস৷ আর্ট আমাদের প্রয়োজন৷ আর্ট দুনিয়া বদলাতে পারে না, কিন্তু পৃথিবীটাকে আর একটু ভালো করে তুলতে পারে৷''
অ্যালিস পাস্কিনি এভাবেই দুনিয়াটাকে আর একটু ভালো করে তুলছেন৷