1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্ট্রেস দূর করতে কফি কতটা উপযুক্ত?

মার্টিন রিবে/এসবি১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সিনেমায় প্রায় গোয়েন্দা সহ অনেক চরিত্রকে স্ট্রেস কমাতে কফি ও সিগারেট খেতে দেখা যায়৷ সিগারেটের ক্ষতিকারক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে গেলেও কফির প্রভাব নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে৷ ক্যাফেইনকে বশে আনতে কাজ করছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা৷

Tasse Kaffee Latte
ছবি: picture alliance/All Canada Photos

স্ট্রেস দূর করতে কফি কতটা উপযুক্ত?

03:53

This browser does not support the video element.

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মানুষকে অসুস্থ করে তোলে৷ সহকর্মীদের সঙ্গে রোজকার বাকবিতণ্ডা, অথবা কম সময়ের মধ্যে একের পর এক কাজ শেষ করার চাপ থাকলে তো কথাই নেই৷ এর পরিণাম মোটেই ভালো হয় না৷ বন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টা ম্যুলার বলেন, ‘‘ধারাবাহিক স্ট্রেস মানসিক বিষাদ ও ভয়ের জন্ম দেয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে যায়, ভাবনাচিন্তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে৷ এগুলিই ক্রনিক স্ট্রেস-এর সরাসরি প্রভাব৷ মানুষ ও জীবজন্তু – দুইয়ের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়৷''

স্ট্রেস দেখা দিলে অনেকে প্রচুর কফি খান৷ কফি মন চাঙ্গা করে এবং স্মৃতিশক্তি জোরদার করে৷ সেইসঙ্গে ক্যাফেইন সম্ভবত স্ট্রেস-এর প্রভাব কমিয়ে দেয়৷

সহকর্মীদের সঙ্গে রোজকার বাকবিতণ্ডা, অথবা কম সময়ের মধ্যে একের পর এক কাজ শেষ করার চাপ...ছবি: Colourbox

অধ্যাপক ক্রিস্টা ম্যুলার এক আন্তর্জাতিক গবেষক দলের সঙ্গে মিলে পরীক্ষা চালিয়েছেন৷ তাঁদের সূত্র অনুযায়ী, ক্যাফেইন মস্তিষ্কে এমন এক ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়, যা শরীরে বিভিন্ন রকম স্ট্রেসের লক্ষণ ছড়িয়ে দেয়৷ সেই ক্রিয়া বন্ধ হলে স্ট্রেসের লক্ষণও দূর হয়৷ ইঁদুরের ক্ষেত্রে হাতেনাতে ফল পাওয়া গেছে৷ অধ্যাপক ম্যুলার বলেন, ‘‘ইঁদুরগুলি আবার স্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ তাদের মধ্যে স্ট্রেসের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷ তারা আরও ভালো করে চিন্তা করতে পেরেছে, নাটকীয় উন্নতি ঘটেছে৷ ভয় ও বিষাদও দূর হয়েছে৷ আমাদের ধারণা, মানুষের ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ সম্ভব৷ ক্যাফেইন যে বিষাদ দূর করে ও চিন্তায় স্বচ্ছতা আনে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷''

স্ট্রেস সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি ঘটেছে৷ ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা শরীরের সেই প্রক্রিয়া শনাক্ত করতে পেরেছেন, যা স্ট্রেসের লক্ষণ ছড়িয়ে দেয়৷ তখন মস্তিষ্কের মধ্যে অত্যন্ত জটিল বায়ো-কেমিক্যাল প্রক্রিয়া ঘটে৷

অ্যাডেনোসিন নামের এই পদার্থ মস্তিষ্কের কোষের একটি অংশে জুড়ে যায়৷ ক্যাফেইন সেই পদার্থ চেপে দিলে স্ট্রেসের লক্ষণ দূর হয়৷ রিসেপ্টরের কাছে পৌঁছানোর দৌড়ে ক্যাফেইনের জয় হয়৷ বন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ডমিনিক টিম বলেন, ‘‘রিসেপ্টর অ্যাডেনোসিনের বদলে ক্যাফেইনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বৈকি৷ প্রায় একই জায়গায় সেটা ঘটে৷ একবার ক্যাফেইন যুক্ত হলে অ্যাডেনোসিন আর যুক্ত হতে পারে না৷ অর্থাৎ স্ট্রেস সংকেত তখন কার্যত দূর হয়ে যায়৷''

তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন অপ্রিয় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে৷ ঘুম কম হয়, বার বার টয়লেটে যাবার প্রয়োজন পড়ে, রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা তাই এমন এজেন্ট খুঁজছেন, যা ক্যাফেইনের মতো স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয় বটে, কিন্তু যার এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই৷ অধ্যাপক ম্যুলার বলেন, ‘‘একদিকে রয়েছে ক্যাফেইন৷ পদার্থ হিসেবে ক্যাফেইনের প্রভাব আসলে বেশ দুর্বল৷ তাছাড়া এর এমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেগুলি আমরা চাই না৷ তাই আমরা আরও অনেক শক্তিশালী এক পদার্থ তৈরির কথা ভাবি৷ সেটা আমরা করতে পেরেছি৷ এমন এক রেসিডিউ এখানে ঢুকিয়ে দিয়েছি, যা ফ্যাট পছন্দ করে৷ তখন তার অণু কয়েক হাজার গুণ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ এই রেসিডউ-এর মাপ রিসেপ্টরের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়৷ তাই খুব সহজেই এবং ভালোভাবে তা যুক্ত হতে পারে৷''

নতুন এই পদার্থ মানুষের স্ট্রেস ও তার পরিণতির চিকিৎসার উপযুক্ত কিনা, রোগীদের উপর প্রাথমিক পরীক্ষা চালিয়ে তা দেখতে হবে৷ ততদিন পর্যন্ত স্ট্রেস কমাতে ক্যাফেইনের উপরই নির্ভর করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ