1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেখা দিতে পারে স্ট্রোক

গুডরুন হাইসে/আরবি১৮ অক্টোবর ২০১৩

একেবারে আচমকাই ঘটতে পারে এই অসুস্থতা৷ যার ফলে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে৷ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বাকশক্তি৷ মস্তিষ্কে কী ঘটে তখন? শরীর কী সতর্কবাণী পাঠাতে চায়?

Schlaganfall Copyright: Sebastian Kaulitzki - Fotolia.com
ছবি: Sebastian Kaulitzki - Fotolia.com

হঠাৎ করে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে হতে পারে স্ট্রোক৷ যে কোনো সময় যে কোনো বয়সেই ঘটতে পারে মস্তিষ্কের এই বৈকল্য৷ স্ট্রোক দুই ধরনের হয়ে থাকে৷ মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হলে অথবা রক্তনালী কোনো ভাবে ব্লক হয়ে গেলে৷ দেরিতে ধরা পড়লে দুই ধরনের স্ট্রোকই বিপজ্জনক৷ এর ফলে শরীরে কোনো অংশ অসাড় হয়ে যেতে পারে৷ বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে৷ এটা নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ স্ট্রোক হয়েছে বা আঘাতটা কতটুকু তার ওপর৷

অসংখ্য মানুষ স্ট্রোকের কবলে পড়েন

জার্মানিতে প্রতি বছর ২৬০.০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রন্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রোগটি৷ বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন ভারতেই আট বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে সংখ্যাটা৷ ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷ এজন্য স্ট্রোক নিয়ে গবেষণাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে৷ বলেন হামবুর্গের আসক্লেপিয়োস ক্লিনিকের প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার৷

স্ট্রোকে আক্রান্ত পুরুষদের গড় বয়স ৭০৷ মেয়েদের ৭৫৷ শিশু কিশোররাও স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে৷ জার্মানিতে প্রতিবছর ৩০০ শিশু আক্রান্ত হয় স্ট্রোকে৷ এক তৃতীয়াংশ নবজাত শিশু৷ এমনকি মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চা৷ ‘অটোইমিউন' বা বংশগত কারণে এমনটি হতে পারে৷ বাচ্চাদের বেলায় অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর মস্তিষ্কের ক্ষতিটা বোঝা যায়৷

এক নিমিষেই সব অন্যরকম

স্ট্রোক হলে এক নিমিষে মানুষ অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ হয়ে পড়তে পারে পরের মুখাপেক্ষী৷ যারা অল্পের ওপর দিয়ে রক্ষা পান, তাদেরও ধাতস্থ হতে সময় লাগে৷ এজন্য সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপির প্রয়োজন৷ খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হয়৷ করতে হয় স্পোর্টস৷ এড়িয়ে চলতে হয় স্ট্রেস৷ এইসব ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য গুটার্সলোহতে এক জন ‘স্ট্রোক গাইড' পাশে এসে দাঁড়ান৷ তাঁর নাম আনকে সিবার্ট৷ এক বছর ধরে তিনি এই কাজটি করছেন৷

‘‘কী হবে এখন? আমি কী করতে পারি? কী ভাবে দিন যাবে?'' রোগীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেন তিনি৷ বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত৷

এর্গোথেরাপিস্টের কাজ করেছেন ৩৪ বছর বয়সি আনকে সিবার্ট৷ তাই চিকিত্সা ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ অবশ্য স্ট্রোক রোগীদের সহায়ক হিসাবে তাঁকে আর একটি প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে৷

হাসপাতাল থেকেই শুরু তত্ত্বাবধান

তত্ত্বাবধান শুরু হয় হাসপাতাল থেকেই৷ তারপর পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসার পরও চলতে থাকে দেখাশোনা৷ সেখান থেকে বের হলেও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হন রোগীরা৷ তখনও পাশে থাকেন আনকে৷ ডাক্তার, নার্স ও থেরাপিস্টদের মধ্যে সমন্বয় করে থাকেন তিনি৷ ব্যবহারিক বিষয়গুলিও দেখাশোনা করেন আনকে৷ যেমন প্রতিবন্ধীর পরিচিতি পত্র কিংবা পেনসনের জন্য আবেদন করা৷

স্ট্রোক হলে এক নিমিষে মানুষ অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ হয়ে পড়তে পারে পরের মুখাপেক্ষীছবি: DW/J.Bernstein

৪০ জনের মতো স্ট্রোক রোগীর দেখাশোনা করেন আনকে৷ এদের মধ্যে একজন ডিয়র্ক ফেনিয়াকব৷ নার্স হিসাবে কাজ করতেন তিনি৷ তিন মাস আগে ছোটখাট একটা স্ট্রোক হয়েছে তাঁর৷ চিন্তাভাবনা ও বাকশক্তির কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ডান হাত ও ডান পা আক্রান্ত হয়েছে৷ ‘‘মনে হয় যেন অসাড় হয়ে গেছে৷ তবে শিরশির করে না৷ অনুভূতি ও শক্তি কমে গেছে৷ প্রথম কয়েক সপ্তাহ আমার নাম লিখতে পারতাম না৷ সেটা আবার শিখতে হয়েছে'', বলেন ডিয়র্ক৷

আনকে সিবার্টের সাহায্য তাঁর খুব কাজে দিয়েছে৷ ‘‘রোগের কারণে কিছুটা তো ক্ষতি হয়েইছে৷ যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করা যায় না৷ তাই কেউ পাশে থাকলে, চিন্তাভাবনা করলে বেশ সাহায্য হয়৷''

‘স্ট্রোকের গাইড' আনকে ডাক্তারের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ঠিক করে দেন৷ খেয়াল রাখেন রোগী ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছে কিনা৷ নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করাচ্ছে কিনা৷

দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ ডিয়র্ক তাঁর নির্দেশ ঠিকমতোই মেনে চলছেন৷ স্ট্রোকের ধাক্কাটা সামলে উঠেছেন৷ সেরকম কোনো ক্ষতি আর থাকবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ