কন্যা সন্তানের জন্মদানের জন্য দায়ী ‘মা' – এমন একটা মধ্যযুগীয় মানসিকতা গেড়ে বসেছে ভারতীয় সমাজে৷ গ্রামাঞ্চলে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও দেখা যাচ্ছে এমনটা৷ কন্যাসন্তানের জন্মের পর মাকেই সহ্য করতে হচ্ছে গঞ্জনা, নির্যাতন৷
বিজ্ঞাপন
গত কয়েকদিনের খবরের দিকে চোখ রাখলেই উঠে আসে একাধিক কন্যাসন্তানের জন্ম দেবার জন্য কীভাবে দোষী করা হচ্ছে মায়েদের৷ উঠতে বসতে নানা ধরনের কটুক্তি ও গঞ্জনা শুনতে হয় তাঁদেরই৷ কখনও কখনও তা মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়৷ দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন ভোগ করতে হয় সংসারের এবং পরিবারের নিকটজনদের হাতে৷ কিন্তু কেন? কেন বৈজ্ঞানিক সত্য নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না? কারণ সেকেলে বিশ্বাস পুত্রসন্তান পরিবারের সম্পদ৷ বংশ রক্ষা হবে আর কন্যাসন্তান ট্যাবু৷ অনাকাঙ্খিত বোঝা, অপরের গচ্ছিত সম্পদ৷ যত তাড়াতাড়ি তাদের বিদায় করা যায়, ততই মঙ্গল৷ তাই বাল্যবিবাহ প্রথা আজও বন্ধ হয়নি ভারতে৷ এই মধ্যযুগীয় মানসিকতার জন্য দায়ী আসলে অশিক্ষা বা কুশিক্ষা৷ ঋতুচক্র যে নারীদেহের এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, সেবিষয়ে জনশিক্ষার অভাব৷ আর সে কারণেই কন্যাসন্তানের জন্মদান এক ট্যাবুতে রূপান্তরিত হয়েছে৷ ভারতে কন্ডোম ট্যাক্স-ফ্রি, কিন্তু স্যানিটারি ন্যাপকিনে ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় ১৫ শতাংশের মতো৷ এটা মেয়ে হয়ে জন্মাবার বিড়ম্বনা ছাড়া আর কী? অথচ বিশ্বে মেয়েরা আজ পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলেছে৷ শিক্ষায়, দীক্ষায়, কর্মদক্ষতায়, মেধায়, প্রতিভায়৷ অথচ সমাজের একটা অংশ সেটা দেখতে চায় না, চায় না মেয়েদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে৷
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?
ছবি: picture alliance/abaca
7 ছবি1 | 7
এই তো ক'দিন আগের ঘটনা৷ হরিয়ানার সিরসা জেলার এক গ্রামে ৪০ বছর বয়সি এক মহিলার তিনটি সন্তানই মেয়ে৷ চতুর্থবার গর্ভবতী হয়েছেন তিনি৷ চতুর্থ সন্তানও হয়ত মেয়েই হবে – এই ক্ষোভে দুঃখে আশংকায় ৫৬ বছর বয়সি শাশুড়ি চার বছরের নাতনির যৌনাঙ্গ গরম খুন্তি দিয়ে পুড়িয়ে দেয়৷ বাচ্চা মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়৷ মেয়েটির মা পুলিশের কাছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে ডাইরি করেন৷ শাশুড়ি নাকি তাঁকে বলেছিল, এবারে ছেলে হলে তবেই রাখবে, না হলে নয়৷ পুলিশ শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে৷ এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এর পেছনে কোনো তান্ত্রিকের হাত আছে কিনা৷ কিছু এনজিও কর্মীও তদন্ত কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন৷
দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদের মেহবুবনগরে এক মহিলা নিঃসন্তান এক ভারতীয় দম্পতিকে তাঁর গর্ভভাড়া দেন৷ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলার গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়৷ দেখা যায়, অনাগত সন্তান হবে মেয়ে৷ তখন সেই দম্পতি চুপচাপ সরে পড়ে৷ এখন নবজাত কন্যাসন্তানকে দেখভাল করতে হচ্ছে সারোগেট মাকেই৷ পুলিশ অবশ্য গর্ভ ভাড়া নেওয়া দম্পতিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে৷
পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই৷ কাটোয়া জেলার একটি গ্রামে হতদরিদ্র খেতমজুর পরিবারের মেয়ে নূরতাজ৷ বিয়ে হয় গ্রামেরই হিরাসিন শেখের সঙ্গে৷ তার অভিযোগ, মেয়ে হওয়ার পর বাপের বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়৷ সেইসঙ্গে মারধরও করা হয় নিয়মিত৷ প্রথমে পুলিশের কাছে নালিশ করলেও, শেষ পর্যন্ত অভিযোগ তুলে নেয় নূরতাজ৷ বাবার সংসার যে চলে টেনেটুনে৷ তাই বাবার ওপর আর বাড়তি বোঝা চাপাতে চায়নি সে৷
মেয়েদের সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা...
ছেলেদের মডেলদের মতো স্লিম মেয়ে পছন্দ হলেও অনেক মেয়ের কেন ভূরিওয়ালা স্বামী পছন্দ? মেয়েরা কতটা স্বাস্থ্য সচেতন কিংবা তাদের শীত বেশি লাগে কেন? এ রকম নানা প্রশ্নের উত্তর পাবেন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
মেয়েদের পছন্দ ভূরিওয়ালা পুরুষ
একটি ব্রিটিশ গবেষণা থেকে জানা গেছে, স্বামী কিংবা লিভিং পার্টনার হিসেবে সামান্য ভূরি আছে এমন ছেলেদেরই মেয়েদের বেশি পছন্দ৷ কারণ, মেয়েরা মনে করে, যেসব ছেলের ওজন একটু বেশি থাকে, তারা একটু আয়েশি হয় এবং তাদের উদ্বেগ কিছুটা কম থাকে৷ তাছাড়া অন্য মেয়েরা সহজে তাদের নাদুস-নুদুস স্বামী বা প্রেমিকের প্রেমে পড়বে না ভেবেও নাকি কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়৷
ছবি: Fotolia/Markus W. Lambrecht
মেয়েদের খাবারে অরুচি
স্যোশাল মিডিয়ায় স্লিম মেয়ে বা মডেলদের ছবি দেখে অনেক তরুণী স্লিম থাকতে চায় বলে আজকাল তারা খেতে চায় না৷ রোগা পাতলা মেয়েদের নকল করতে গিয়েই খাওয়ায় তাদের এই অরুচি৷ তথ্যটি জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
নারীরা কতটা স্বাস্থ্য সচেতন?
সারা বিশ্বে জ্বরায়ু ক্যানসারে মেয়েদের মৃত্যুহার কমছে বলে জানিয়েছে মাইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল৷ ২০০২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে এক লক্ষ রোগীর মধ্যে গড় মৃত্যুহার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮৷ ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২-এ৷ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরায়ু ক্যানসারে মৃত্যুহার কমেছে শতকরা ১৬ ভাগ৷
ছবি: University of Gothenburg/Johan Wingborg
মেয়েদের শীত বেশি লাগে কেন?
মেয়েদের ত্বকের ভেতরের টিস্যু পাতলা থাকে৷ তাছাড়া তাদের পেশি পুরুষদের মতো ভরাট ও শক্ত নয়৷ তাই মেয়েদের শরীরের তাপমাত্রা তাড়াতাড়ি কমে যায়৷ এ কারণে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের শীত বেশি লাগে৷ আর মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘটতির কারণেও শীত বেশি লাগতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান৷
ছবি: Reuters/M. Ismail
দেরিতে মা হওয়া নারীরা বেশি ফিট
৩৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়া নারীদের যৌনহরমোন সক্রিয় থাকে এবং মেনোপজ হওয়ার পরেও তারা মানসিকভাবে ফিট থাকেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা গবেষণার এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে জার্নাল অফ দ্য গেরিয়াট্রিক্স সোসাইটিতে৷যেসব মেয়ের পিরিয়ড তাড়াতাড়ি শুরু হয় এবং বেশি দিন জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট সেবন করেন, তাদেরও মেন্টাল ফিটনেস থাকে বেশিদিন৷ তার অর্থ কিন্তু এই নয় যে, মেয়েদের বেশিদিন অ্যান্টিবেবি পিল খাওয়া উচিত৷
ছবি: Fotolia/Sven Bähren
মেয়েদের ‘মাসিক চক্র’ যা জানান দেয়
মেয়েদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সময় যে, শুধু রক্তের মধ্যেই হরমোনের ওঠা-নামা হয়, তাই নয়৷ তখন তাদের এই পরিবর্তন স্মরণশক্তি এবং অনুভূতিতেও লক্ষ্য করা যায়, যা ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফোটন পর্যন্ত চলে৷ তবে মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন সময়ের পরিবর্তনটুকু বেশিরভাগ ছেলেকেই কিছুটা হলেও অবাক করে বৈকি! জার্মানির মাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউটের করা গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/AGF-Foto
6 ছবি1 | 6
স্বামীর ঘরেই ফিরে যায়৷ কিন্তু মা-মেয়েকে স্বামী ঘরে জায়গা না দিয়ে পাশের একটি চালা ঘরে থাকতে দেয়৷ সেখানে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একদিন ঝগড়া হলে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে বটি দিয়ে মারধর করে৷ গায়ে কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দেয়৷ চিত্কার শুনে পাড়ার লোকজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ পুলিশ নূরতাজের স্বামীকে জেরা করলে সে অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, বৌ মিথ্যা কথা বলেছে৷ ফর্সা হবার ক্রিম মেখেই নাকি তার চামড়া পুড়ে গেছে৷
এইসব ঘটনা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র৷ সবথেকে বড় কথা পুত্র ও কন্যাসন্তানের জন্মে জীববিজ্ঞানের ব্যাখ্যা কী? প্রত্যেক মানুষের ডিএনএ-তে এক জোড়া সেক্স-ক্রোমোজোম থাকে, যার একটির নাম ‘এক্স' অন্যটির নাম ‘ওয়াই'৷ এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোম দিয়ে গঠিত হয় পুরুষ শরীর৷ আর নারী দেহে থাকে দু'টোই ওয়াই ক্রোমোজোন৷ তাই নারী-পুরুষের মিলনের সময় সন্তানের ভ্রুণে বাবার থেকে এক্স ও মায়ের থেকে ওয়াই ক্রোমোজোম নিয়ে এক্স-ওয়াই যুগল অথবা দু'জনের থেকে ওয়াই ক্রোমোজোন নিয়ে ওয়াই-ওয়াই যুগল তৈরি হতে পারে৷ এক্স-ওয়াই যুগলে পুত্রসন্তান আর ওয়াই-ওয়াই যুগলে কন্যাসন্তান হয়৷ ঘুরিয়ে বলতে গেলে সন্তানের লিঙ্গ গঠনে বাবারই পরোক্ষ অবদান করেছে, মায়ের নয়৷
কন্যাসন্তানের জন্মের পিছনে যে মেয়েদের ভূমিকা নগণ্য – এ কথা বিশ্বাস করেন? লিখুন নীচের ঘরে৷