1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্নোডেন এফেক্ট’

২৬ জুন ২০১৩

এডোয়ার্ড স্নোডেন তথ্য ফাঁস করার ফলে আল-কায়েদা ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাদের যোগাযোগের পন্থা বদলাচ্ছে, বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন গুপ্তচর বিভাগের কর্মকর্তারা৷

This picture taken on June 18, 2013 shows a man walking past a banner displayed in support of former National Security Agency contractor Edward Snowden in Hong Kong. Hong Kong leader Leung Chun-ying on June 24 broke silence over the departure of Snowden, saying his government had complied strictly with the law, but also admitted discussions with Beijing over the issue. AFP PHOTO / Philippe Lopez (Photo credit should read PHILIPPE LOPEZ/AFP/Getty Images)
ছবি: Philippe Lopez/AFP/Getty Images

সন্ত্রাসীরা যদি তাদের যোগাযোগের পন্থা বদলায়, তাহলে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী আক্রমণ অঙ্কুরে বিনষ্ট করা আরো শক্ত হবে, এই হলো তাঁদের যুক্তি৷ একাধিক মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা দৃশ্যত পর্যবেক্ষণ করেছে কিভাবে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা তাদের পারস্পরিক যোগাযোগের ধরনধারণ বদলে ফেলছে৷ এদের মধ্যে সুন্নি ও শিয়া, দু'ধরনের সংগঠনই আছে, বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা, যাঁরা কেউই নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নন৷

রয়টার্স সংবাদ সংস্থার বিবরণ অনুযায়ী কর্মকর্তারা বলেছেন, স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যের ফলে ক্ষতি নিশ্চয় ঘটেছে, যদিও তার পরিমাণ সম্পর্কে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না৷ সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় কি ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে, সে বিষয়েও কর্মকর্তারা কিছু বলতে রাজি নন, কেননা তার ফলে সন্ত্রাসীদেরই সুবিধা হবে৷ তবে এক মার্কিন টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগতভাবে রয়টার্সকে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা সম্ভবত ইলেকট্রনিক বার্তাপ্রেরণ কমিয়েছে এবং বার বার তাদের সেল ফোন বদলাচ্ছে৷ অপরদিকে তারা তাদের বার্তা গোপন সংকেতে পরিণত করার পন্থা উন্নততর করার চেষ্টা করছে৷

স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ সম্পর্কে যা কিছু ফাঁস করেছে, তা নিয়ে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের ওয়েবসাইটগুলিতে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে বলে লক্ষণ করা গেছেছবি: Reuters

ও কার পায়ের ছাপ?

সন্ত্রাসীরা বহুদিন আগে থেকেই তাদের ইলেকট্রনিক ‘পদাঙ্ক' লুকনোর চেষ্টা করে আসছে৷ তার সেরা দৃষ্টান্ত হলো আল-কায়েদা নেতা বিন লাদেনের পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে আত্মগোপন করে থাকা৷ বিন লাদেন শুধুমাত্র লিখিত বার্তা ও বিশ্বস্ত দূতদের উপর নির্ভর করতেন৷ ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রতি বিন লাদেনের পরামর্শ ছিল, ইলেকট্রনিক যোগাযোগ সম্পর্কে অত্যন্ত সাবধানী হবে৷ যে থাম্ব ড্রাইভ কিংবা সিম কার্ডে তথ্য পাচার করা হয়েছে, তা ব্যবহারের পর বিনষ্ট করে ফেলবে৷

স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ সম্পর্কে যা কিছু ফাঁস করেছে, তা নিয়ে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের ওয়েবসাইটগুলিতে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে বলে লক্ষণ করা গেছে৷ এক মনিটরিং এজেন্সি তার একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছে: ‘‘সহজ নীতি হলো, বোকামি করো না, আমাদের বাস্তব তথ্য ইন্টারনেটে দিও না, জিহাদি কাজকর্মের জন্য যে ই-মেল ব্যবহার করো, তা ব্যবহার করো না৷ ভুয়ো আইডি আর নিজের পরিচয় বা অবস্থান গোপন রাখতে টিওআর ব্রাউজার ব্যবহার করাটা অত্যাবশ্যক৷''

স্নোডেন এফেক্ট সর্বত্র

‘স্নোডেন এফেক্ট' থেকে অন্যান্য ক্ষতির আশঙ্কাতেও রয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ পশ্চিমি গুপ্তচর সংস্থাগুলি কিভাবে ইলেকট্রনিক যোগাযোগের উপর আড়ি পাতে, তারা কি ধরনের লিংক মনিটর বা ট্যাপ করে, এ সব তথ্য রাশিয়া কি চীনের মতো বিদেশি সরকারদের জানা হয়ে যেতে পরে কিংবা গেছে৷ দ্বিতীয়ত, উইকিলিক্স-এর সঙ্গে যুক্ত স্নোডেন ভবিষ্যতে আরো গোপন তথ্য ফাঁস করতে পারে৷ তৃতীয়ত, আগামী মাসেই বেইজিং-এর সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে: সেখানে চীনের দিকে আঙুল তোলাটা আগের মতো সহজ হবে না৷

কিন্তু সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো – তা সে মার্কিন মুলুকেই হোক আর যুক্তরাজ্যেই হোক – ‘‘স্বদেশের জনগণের আস্থা হারানো, যেটা ইতিমধ্যেই অনেক কমে এসেছে''৷ এ কথা বলেছেন পশ্চিমি গুপ্তচর সেবার এক সাবেক কর্মী৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এসি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ