1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেনের চোখ ২০১৬-র দিকে

২৫ জুন ২০১৪

বিশ্বকাপের মাঝখানে কে ইউরো নিয়ে মাথা ঘামায়? তবুও৷ ইংরিজিতে বলে, দ্য কিং ইজ ডেড, লং লিভ দ্য কিং৷ রাজা গেলে রাজপুত্র থাকে, তিনিই আবার রাজা হন: খুয়ান কার্লস গেলেন, ষষ্ঠ ফেলিপে এলেন৷ বিশ্বকাপ গেল, ইউরো এলো৷

এবারের বিশ্বকাপে পুরো স্পেন দলেরই চিত্র ছিল এরকমছবি: Reuters

নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫-১, চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে স্পেন৷ তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতে মান রেখেছে – যদিও সে খেলাটাই ছিল ফর দ্য রেকর্ড, যার দিকে খাস স্পেনীয়রা ছাড়া আর কেউ নজর দিয়েছে কিনা সন্দেহ৷ খেলা ছিল সোমবার৷ সোমবারেই স্পেন দলের সরকারি টুইটার ফিড: ‘‘আমাদের সামনে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ৷ আমরা আপনাদের সব রকম সাহায্য চাই! ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটা ডিফেন্ড করার জন্য!''

কথায় বলে, অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স৷ ভরাডুবির কথা ভুলে এবার সম্মুখসমরের কথা ভাবতে হবে৷ আগামী সেপ্টেম্বরেই ইউরো কোয়ালিফাইং৷ কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কেকে এখনই বিদায় দিলে নানা ধরনের বেয়াড়া প্রশ্ন উঠবে, একসঙ্গে অনেকগুলো ভুল স্বীকার করতে হবে৷ কাজেই স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন কিংবা দেল বস্কে, কোনো পক্ষই আপাতত কোচ বদল নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না৷

চিলির সঙ্গে গোল খাওয়ার পর সাবি আলন্সোছবি: Reuters

তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, ৬৩ বছর বয়সি দেল বস্কে কি স্পেনের স্কোয়াডে সেই পুরনো খিদে ফিরিয়ে আনতে পারবেন? এই খিদে হলো জেতার খিদে৷ ফুটবল যেমন ছোট ছোট দেশের গরিব শহরগুলোর অলিগলিতে ছোটখাট কালো মানুষদের খালি পায়ের খেলা – তেমন হঠাৎ দস্যু রবিন হুড থেকে রাজা রবিন হুড হয়ে পড়লে তাদের গায়ে গত্তি লাগে বটে, কিন্তু পাগুলো যেন কিরকম ভারি হয়ে যায়৷ সেই বিশ্বকাপ ফুটবল ফিরেছে দক্ষিণ অ্যামেরিকার গরিব মানুষ, গরিব দেশগুলোর কাছে: এখানে স্পেনের রাজকীয় মহিমা দেখবার লোক কোথায়?

‘স্ট্রিট ফাইটার'

প্রবীণ মহারথীরা নমস্য৷ অতীতে অনেক যুদ্ধজয় করেছেন তাঁরা৷ কিন্তু এই আধুনিক স্ট্রিট-ফাইটার ফুটবল; যেখানে বল পায়ে আসতে না আসতে বিপক্ষদলের প্লেয়ারদের চিলের ছোঁ; যেখানে একবার পাস দিলেই কাজ চলে না, বার বার বল এখান থেকে ওখান, ওখান থেকে এখান, প্লেয়ার থেকে প্লেয়ার চালাচালি করে পজিশন এবং পজেশন রাখতে হয়; যে ফুটবলে হোরাইজোনটাল বা অনুভূমিক পাসিং হলো খেলার গতি কমিয়ে নতুন করে সংগঠিত হবার, নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়ার এবং (এক কথায়) দম ফেলার একটা সংক্ষিপ্ত সময় – যার পরেই আবার শুরু হয়ে যায় ভার্টিকাল বা উল্লম্ব খেলা, জোয়ার-ভাঁটার মতো, এক পেনাল্টি এরিয়া থেকে আরেক পেনাল্টি এরিয়া জুড়ে: এই ফুটবলে চাই তরুণ প্লেয়ার, তারুণ্য, আর কিছু না হলেও স্রেফ প্রতিক্রিয়ার ক্ষিপ্রতা আর ফিটনেসের দরুণ৷ যে কারণে স্পেনের অনেক অতীতের হিরোকে আজ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অবসর দিতে হবে৷

চিলির সঙ্গে খেলায় রামোসছবি: Lluis Gene/AFP/Getty Images

ভাঙা-গড়া

দেল বস্কে তাঁর পুরনো কর্নেল-জাঁদরেলদের নিয়ে যুদ্ধজয় করবেন বলে ভেবেছিলেন৷ অথচ বাইরে একগাদা তরুণ প্রতিভা ভেতরে ঢোকবার জন্য ঠেলাঠেলি করছে৷ ইনজুরিতে না পড়লে বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার টিয়াগো আলকান্তারা এবার ব্রাজিল যেতে পারতেন – এই আলকান্তারাকে মধ্যমণি করেই একটা নতুন দল গড়তে পারেন দেল বস্কে, সাবেক কোচ লুইস আরোগোনেস যেমন সাবি অ্যার্নান্দেসকে ঘিরে গড়েছিলেন৷

দেল বস্কে কি স্পেনের স্কোয়াডে সেই পুরনো খিদে ফিরিয়ে আনতে পারবেন?ছবি: Javier Soriano/AFP/Getty Images

ইস্কোকে এবার স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদের এই প্লে-মেকারটিকে ভবিষ্যতে বাদ দেওয়া শক্ত হবে৷ মাদ্রিদের তরুণ ফুলব্যাক দানি কারভায়াল এবং ফরোয়ার্ড জেসে রদ্রিগেজ সম্বন্ধেও সে কথা প্রযোজ্য৷ যে দিয়েগো কস্তাকে নিয়ে এবার এত বিতর্ক, তাঁকেও দলে স্থান পাবার জন্য যুঝতে হবে ফের্নান্দো লোরেন্তে এবং আলভারো নেগ্রেদের মতো তরুণ তুর্কিদের সাথে৷

আরো কত আছে: বার্সেলোনার জেরার ডয়লেফো; অ্যাটলেটিকো বিলবাও-এর দুই মিডফিল্ডার আন্দের হেরেরা এবং আন্দের ইতুরাস্পে; ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এর গোলকিপার ডাভিড ডে খেয়া খোদ ক্যাপ্টেন ইকার কাসিয়াসকেই চ্যালেঞ্জ করে বসতে পারে৷ এক কথায়, স্পেনের হাতে এখনও এত অনেক বিকল্প আছে যে, ডেভিড ভিয়া, কাসিয়াস, সাবি অ্যার্নান্দেস এবং সাবি আলন্সো, সকলে রিটায়ার করলেও ফুটবলে স্পেন তথা টিকি-টাকার যুগ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ