1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালিতে বিচ্ছিন্নতাবাদের বাতাস

২৩ অক্টোবর ২০১৭

পুরোপুরি স্বাধীনতা নয়, গণভোটে আরও স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে রায় দিলেন ইটালির উত্তরের দুই রাজ্যের মানুষ৷ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এই অঞ্চলে এমন প্রবণতা ইটালিতে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo/L.Bruno

রবিবার ইটালির লম্বার্ডি ও ভেনেতো রাজ্য আরও স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, লম্বার্ডি রাজ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোটার স্বায়ত্তশাসনের আরও অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন৷ সেখানে ভোটগ্রহণের হার ছিল ৪০ শতাংশের সামান্য বেশি৷ ভেনেতো রাজ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷ সেখানে স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তবে ভেনেতো রাজ্যে এই ভোটগ্রহণের সময় হ্যাকারদের হামলা হয়েছে, এমন সন্দেহের কারণে আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব ঘটছে৷ দুই রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী ভোটারদের এই স্পষ্ট রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলোনি-র সঙ্গে স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে আলোচনার ঘোষণা করেছেন৷ উল্লেখ্য, স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্যের মতো এই উদ্যোগ একতরফা ছিল না৷ রোমে ফেডারেল সরকারের সম্মতি নিয়েই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ গণভোটের রায় কার্যকর করার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই৷

স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্যের মতো ইটালির উত্তরের এই দুই রাজ্য অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ৷ এই দুই রাজ্য দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতার প্রায় ৩০ শতাংশের ভাগীদার৷ কর ও রাজস্বের একটা বড় অংশ ফেডারেল সরকারের হাতে তুলে দিতে আর প্রস্তুত নয় এই দুই রাজ্য সরকার৷ এই গণভোটের রায় কার্যকর হলে এ ক্ষেত্রে আরও ক্ষমতা পাবে লম্বার্ডি ও ভেনেতো রাজ্য৷ অন্যদিকে ইটালির অন্যান্য অঞ্চল সেই সমৃদ্ধি থেকে অনেকটা বঞ্চিত হবে৷ দেশের উত্তরাঞ্চলে ক্ষমতাসীন দক্ষিণপন্থি পপুলিস্ট ‘নর্দার্ন লিগ’ দল বেশ কিছুকাল ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদের উদ্যোগ নিয়ে আসছে৷ তবে পুরোপুরি স্বাধীনতার দাবি থেকে সরে এসে তারা আপাতত স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পেতে উৎসাহী৷ গণভোটের রায়কে হাতিয়ার করে এই দল ফেডারেল সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে দরকষাকষি করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

উত্তরের দুই রাজ্য শেষ পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায় করতে পারলে ইটালির সংবিধান সংশোধনের জন্য চাপ আরও বাড়তে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷ সে দেশে বর্তমানে ফেডারেল সরকারের হাতেই বেশি ক্ষমতা রয়েছে৷ জার্মানির মডেলে রাজ্য সরকারগুলিরহাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেবার জন্য চাপ বাড়তে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ