1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ আটে ইটালি, আইসল্যান্ড

২৮ জুন ২০১৬

স্পেনের টানা তৃতীয়বার ইউরো জয় করা হলো না৷ তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধের আনন্দ পাচ্ছে ইটালি৷ সামনে এবার জার্মানি৷ ইংল্যান্ডকে লজ্জায় ডুবিয়ে এবার ফ্রান্সকে চোখ রাঙাচ্ছে আইসল্যান্ড৷ সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ইউরো ২০১৬৷

ইউরো ২০১৬, শেষ আটে ইংল্যান্ড বনাম আইসল্যান্ড
ছবি: Reuters/Y. Herman

ফেভারিটরা যদি প্রত্যাশা মতো জিতেই যায়, তাহলে আর আসর জমে কী করে! ইউরো ২০১৬ গ্রুপ পর্বের শেষ দিক থেকেই জমে ওঠার ইঙ্গিত ছিল৷ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইটালি৷ তারপরও অবশ্য গ্রুপ ‘ই'-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা৷

২০০৮ ও ২০১২-র চ্যাম্পিয়ন স্পেনের দুর্ভাগ্য ‘ডি' গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল৷ সেই পরাজয়ের কারণেই তাদের গ্রুপ রানার্স আপ হওয়া এবং সেই সুবাদে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফুটবলের আরেক পরাশক্তি ইটালির মুখোমুখি হওয়া৷ সোমবার গত কয়েক বছরের সব হিসেব উল্টে দিয়ে, অনেক বিশেষজ্ঞের অনুমান ভুল প্রমাণ করে স্পেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ইটালি৷ ম্যাচের প্রথমার্ধে জর্জো কিয়েলিনি এবং দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে গ্রাৎসিয়ানো পেলের করা গোল বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছে স্পেনের৷ এই হারে ফুটবলে স্পেনের স্বর্ণযুগের অবসানও দেখছেন অনেকে৷ অথচ ১৯৯৪ সালের পর থেকে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা ভুলেই গিয়েছিল ইটালি৷ ২০১২-র ফাইনালে তাদের ৪-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ইউরো জিতেছিল স্পেন৷

২০০৮ সালে ইউরো জয়ের পর ২০১০ সালে বিশ্বকাপ এবং তার দু'বছর পর আবার ইউরো জিতে স্পেন খ্যাতির যে চূড়ায় উঠেছিল সেখান থেকে পতনের ইঙ্গিত অবশ্য ২০১৫-র বিশ্বকাপেই পাওয়া গিয়েছিল৷ সেখানে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল দেল বস্কের দল৷ এবার ইউরোর শেষ ১৬ থেকে তার দল বিদায় নেয়ায় চাকরি হারানোর আশঙ্কার মুখে পড়েছেন বস্ক৷

ওদিকে ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসন ইতিমধ্যে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ আইসল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে তার দল৷ এমন পরাজয়ের পর তাঁর এ পদত্যাগকে স্বাভাবিকই বলতে হবে৷

অস্বাভাবিক ছিল আাইসল্যান্ডের খেলা৷ ক্ষিপ্রতা, আত্মবিশ্বাস, জয়ের আকাঙ্খা – বলতে গেলে সবদিকেই ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন ছোট দেশ আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়রা৷ অনেকেই অবশ্য আইসল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের হারকে ইউরো ইতিহাসের বড় অঘটন হিসেবে দেখছেন৷

তবে এ অঘটন খুব অপ্রত্যাশিতও ছিলনা৷ বাছাইপর্বেও দুর্দান্ত খেলেছে আইসল্যান্ড৷ নেদারল্যান্ডসের মতো দলকে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েই চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে তারা৷ নেদারল্যান্ডসকে যারা দু'বার হারাতে পারে, তারা ইংল্যান্ডকেও হারাবে এ আর এমন কী বিস্ময়ের!

তারপরও পুরো ম্যাচ জুড়ে আইসল্যান্ডের প্রত্যয়দীপ্ত খেলা সবাইকে অবাকই করেছে৷ চতুর্থ মিনিটেই রুনির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড৷ বলতে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই রাগনার সিগ্যুরসন সেই গোল ফিরিয়ে দেন৷ অর্থাৎ সমতা ফেরায় আইসল্যান্ড৷ তারপর ১৮ মিনিটেই কলবেইন সিগট্যোরসন গোল এবং সেই গোলই নির্ধারণ করে দেয় ম্যাচের ভাগ্য৷

সোমবারের এই দুই ম্যাচের মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়ে গেছে ইউরো ২০১৬-র কোয়ার্টার ফাইনালের লাইনআপ৷ এই পর্বে ৩০ জুন, বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল৷ পরের দিন ওয়েলস খেলবে বেলজিয়ামের সঙ্গে৷ ২ জুলাই, শনিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ইটালি৷ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ফ্রান্স মুখোমুখি হবে সদ্যই ইংল্যান্ডকে হারানো আইসল্যান্ড৷ সেই ম্যাচটি হবে ৩ জুলাই, রবিবার৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ