1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেস স্টেশনে সব দায়িত্ব নভোচারীদেরই কাঁধে

মাবেল গুন্ডলাখ / এসবি২৯ মার্চ ২০১৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানেই আজকাল বিশেষজ্ঞদের রমরমা৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের সব কাজ নিজেদেরই করতে হয়৷ এক জার্মান ভূ-বিজ্ঞানী এমন এক অভিযানের আগে তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷

আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্টছবি: picture-alliance/dpa

মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার প্রস্তুতি

03:39

This browser does not support the video element.

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন আইএসএস৷ ২০০০ সাল থেকে নভোচারীরা এখানে একটানা কাজ করে চলেছেন৷ জার্মানির আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট মহাকাশের এই ল্যাবে যাবার আগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অতীতে মানুষ সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে যেভাবে ভাবতো ওপারে কী আছে, আজ আমরাও ঠিক সেই মনোভাব নিয়ে মহাকাশে যাই৷ তখন মানুষ অজানাকে আবিষ্কার করতে জাহাজে করে পাড়ি দিতো৷ আসলে মানবজাতি আবিষ্কারের নেশায় মত্ত৷''

অ্যামেরিকার টেক্সাস রাজ্যের হিউস্টনে প্রশিক্ষণের একটা অংশ সারা হয়৷ প্রতিটি পদক্ষেপ বার বার অনুশীলন করানো হয়৷ কারণ পরে তো আর পরীক্ষার কোনো অবকাশ নেই৷ ৪ বছর ধরে গেয়ার্স্ট মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ বেশ কয়েক ঘণ্টা স্পেসস্যুট পরে থাকতে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সবচেয়ে কঠিন প্রশিক্ষণের অন্যতম৷ প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এই পোশাক পরে থাকতে হয়৷ প্রবল চাপ থাকে৷ বায়ুশূন্য অবস্থায় এটাই তো রক্ষাকবচ৷ অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের এক তৃতীয়াংশ চাপ থাকে পোশাকের মধ্যে৷ প্রতিটি মুভমেন্ট, হাত দিয়ে কিছু ধরা মানে যেন এক টেনিস বল পিষে দেওয়া৷ বুঝতেই পারছেন, ৭ ঘণ্টা ধরে এমনটা করে গেলে অবশেষে খুব ক্লান্ত লাগে৷''

চলছে প্রস্তুতিছবি: picture-alliance/dpa

আইএসএস-এ নভোচারীরা একাধারে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী৷ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাঁদেরই করতে হয়৷ এছাড়া ল্যাবে পরীক্ষার কাজ তো আছেই৷ মহাকাশ পর্যবেক্ষণ ছাড়াও এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলি পৃথিবীতে কাজে লাগে৷ যেমন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে বিভিন্ন পদার্থের আচরণ গবেষণা করা৷ নভোচারীদের নিজস্ব বিষয়ের বাইরেও অনেক কিছু জানতে হয়৷ গেয়ার্স্ট বলেন, ‘‘স্পেস স্টেশনে নভোচারী হিসেবে আমরা তো শুধু নিজেদের জন্য বিজ্ঞান চর্চা করছি না৷ ভূ-পৃষ্ঠে অনেক বিজ্ঞানীদের সাহায্য করছি৷ প্রত্যেকটি এক্সপেরিমেন্ট এক বিশাল টিমের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে করা হয়৷ এর অর্থ, শুধু আমার বিষয় – অর্থাৎ ভূ-বিজ্ঞান নয়, আরও অনেক বিষয়ে আমাকে গবেষণা করতে হয়৷''

নভোচারী হবার আগে আলেক্সান্ডার আগ্নেয়গিরি নিয়ে কাজ করেছেন৷ এখন তিনি ভবিষ্যৎ মঙ্গলগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করবেন৷ মহাকাশের স্বপ্ন শুধু স্পেস স্টেশন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, আরও দূরে পাড়ি দেওয়া প্রত্যেক নভোচারীর স্বপ্ন৷ চাঁদ, গ্রহাণুর বলয়, তারপর মঙ্গলগ্রহ৷ এই মুহূর্তে আমাদের নাগালে মঙ্গলগ্রহই সবচেয়ে আকর্ষণীয় মহাজাগতিক বস্তু৷ বায়ুমণ্ডলের দিকে তাকালে বোঝা যায়, এই গ্রহ এককালে প্রাণের উপযুক্ত ছিল৷ ভূ-পৃষ্ঠে তরল পানি ছিল৷ এখন জায়গাটি মরু অঞ্চলের মতো শূন্য৷ পৃথিবীরও যাতে একই দশা না হয়, তা কীভাবে আমরা নিশ্চিত করবো?''

আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট আপাতত এক সোয়ুজ রকেটে করে আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন৷ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে৷ মে মাসে অভিযান শুরু হওয়ার কথা৷ ৬ মাসের জন্য তিনি মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন৷ তৃতীয় জার্মান হিসেবে তিনি আইএসএস-এর বাসিন্দা হবেন৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ