1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নেটে’ টাকা আয়

ইওহান্না শ্মেলার/এসি১০ আগস্ট ২০১৩

আ্যামাজোন-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা কিনছেন৷ ওদিকে জার্মানির সুবিখ্যাত ও সুবিশাল আক্সেল স্প্রিঙ্গার প্রকাশনী তাদের সাম্রাজ্যে পত্র-পত্রিকার ঝামেলা কমিয়ে অনলাইনের উপরেই জোর দিচ্ছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

শুধু জার্মানি নয়, ইউরোপের সর্বাধিক প্রচারিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা হলো ‘বিল্ড', যা ১৯৫২ সালে সৃষ্টি৷ হামবুর্গ শহরের এক প্রকাশক পরিবারের সন্তান আক্সেল স্প্রিঙ্গার সে আমলেই বলেছিলেন: ‘‘যুগটা হলো জনতার যুগ৷ এ যুগের প্রকাশনাকে আরো বড় পাঠকবর্গের জন্য উপভোগ্য করে তুলতে হবে৷'' তাই ‘বিল্ড সাইটুং' জার্মানির অন্যান্য ঐতিহ্যসম্পন্ন পত্রিকাগুলি থেকে সম্পূর্ণ অন্য কলেবরে ও অন্য ধরনের সাংবাদিকতার স্বাক্ষর নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে৷

আক্সেল স্প্রিঙ্গার প্রকাশনীর হালের প্রধান মাথিয়াস ডোয়েফনার সম্প্রতি বলেছেন: ‘‘সাংবাদিকতা, বিজ্ঞাপনের ব্যবসা আর ক্ল্যাসিফায়েড অ্যাডভার্টাইজমেন্টের ব্যবসা ডিজিটাল দুনিয়াতেও চলতে পারে বলে আমাদের ধারণা৷'' কাজেই ডোয়েফনারের নীতি হলো: ‘‘অনলাইন ফার্স্ট''৷

আক্সেল স্প্রিঙ্গারছবি: picture-alliance/Sven Simon

স্প্রিঙ্গার ডিজিটাল

গত দশ বছর ধরে আক্সেল স্প্রিঙ্গার সংস্থা তাদের ডিজিটাল পণ্য ও পরিষেবা বাড়িয়ে চলেছে, বাড়াচ্ছে এই বিভাগে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক উপস্থিতি৷ চলতি বছরে স্প্রিঙ্গার যে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, সেগুলি হলো: ‘‘ডিজিটাল পরিবর্তন''ও ‘‘ডিজিটাল গ্রাহক'', এবং সেই অনুযায়ী কোম্পানির কর্মপন্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজানো৷

স্প্রিঙ্গার একটি ‘‘ডিজিটাল মিডিয়া সংস্থা'' হয়ে উঠতে চায়৷ ২০১২ সালে সংস্থাটি যে ৩৩০ কোটি ইউরোর ব্যবসা করে, তার এক-তৃতীয়াংশই ছিল ‘‘ডিজিটাল মিডিয়া'' থেকে৷ যেখানে মুদ্রিত পত্র-পত্রিকা থেকে আয় কমছে, ডিজিটাল মিডিয়া থেকে আয় কিন্তু ঠিক সেই পরিমাণে বেড়েছে৷ স্প্রিঙ্গারের নীতির আরো একটি প্রতিফলন: স্প্রিঙ্গার সম্প্রতি এক পর্যায় আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকা বেচে দিয়েছে৷

শুধু জার্মানি নয়, ইউরোপের সর্বাধিক প্রচারিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা হলো ‘বিল্ড'ছবি: imago stock&people

ডিজিটাল সেক্টরে বিনিয়োগ

ছোট, ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তি, বিপণীর বাজার যে ক্রমেই মুদ্রিত পত্র-পত্রিকা ছেড়ে ডিজিটালের দিকে চলে যাচ্ছে, স্প্রিঙ্গার সেটা অনেক আগেই বুঝেছে, নয়ত তারা এই বাজার থেকে শুধু ২০১২ সালে প্রায় ১০০ কোটি ইউরো রোজগার করতে পারতো না৷ বেসরকারি ব্যক্তিবর্গকে তাদের ছোটখাটো কেনাবেচার জন্য ইন্টারনেট পোর্টাল দেওয়াটা হলো স্প্রিঙ্গারের স্ট্র্যাটেজির অঙ্গ৷

যেখানে অসংখ্য ছোট ছোট গ্রাহক এই পরিমাণ কেনাবেচা করছে, সেখানে অন্যান্য বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন তো আসবেই৷ তার ওপর যদি সেই বিজ্ঞাপন সরাসরি টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়৷ কেনাবেচার পোর্টালগুলো ইন্টারঅ্যাক্টিভ করার অর্থ, শ্রমিক-কর্মচারী খাতে খরচ কমানো৷ স্প্রিঙ্গার এ ভাবেই গতবছর তাদের ইন্টারনেট পোর্টালগুলো থেকে ১৩৬ মিলিয়ন ইউরো মুনাফা করেছে, যা কিনা তাদের ডিজিটাল পত্রপত্রিকার চেয়ে বেশি৷

ছবি: picture-alliance/dpa

আন্তর্জাতিকতা

স্প্রিঙ্গারের নজর শুধু ‘ইডিয়ালো', ‘কাউফডা' ইত্যাদি মিডিয়া সংস্থার উপর নয়৷ ফ্রান্সে ঘরবাড়ি বেচাকেনার বৃহত্তম পোর্টাল ‘সেলোজার' আজ তাদের, যেমন বেলজিয়ামে ঘরবাড়ি বেচাকেনার বৃহত্তম পোর্টাল ‘ইম্মোওয়েব'-ও তাদের৷ ব্রিটেনে চাকরি খোঁজার বৃহত্তম ইন্টারনেট পোর্টাল ‘টোটালজবস' আজ স্প্রিঙ্গারের মালিকানায়৷ ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসে স্প্রিঙ্গার সংস্থা তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে কামিয়েছে ৩০ কোটি ইউরো৷

স্প্রিঙ্গারের জাল আজ সারা ইউরোপে ছড়ানো: পোল্যান্ডে মহিলাদের পত্রিকা ‘অলিভিয়া' কিবা ‘পানি দোমু'; পোলিশ ও রাশিয়ান ‘নিউজউইক'; স্পেনে ‘কম্পিউটার বয়'; তুরস্কে ‘দোগান টিভি'; ফ্রান্সে মহিলাদের জন্য ইন্টারনেট পোর্টাল ‘ওফেমিনাঁ' – এমনকি ভারতেও বিনিয়োগ করার কথা ২০১০ সালেই ঘোষণা করেছে আক্সেল স্প্রিঙ্গার ফের্লাগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ