1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আস্থার সংকটে সরকার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ জুলাই ২০১৩

পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর সরকার মনে করছে তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে৷ উন্নয়ন ও জনস্বার্থমূলক কাজগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে নানা করণে৷ তাই তারা আগামী নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে চায়৷ তবে সমস্যা অন্য জায়গায়৷

A Bangladeshi laborer sweeps the pavement outside the national parliament building in Dhaka, Bangladesh, Friday, April. 6, 2007. Bangladesh's national elections, already delayed amid deadly violence over allegations of ballot-rigging will not be held for at least a year and a half, the top election official in the military-backed interim government said. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

দু'দিন আগে বেলারুশ খেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কার্যক্রম নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন৷ গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন৷ বিদেশে বসেই তিনি পরাজয়ের খবর পান৷ এর আগে চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ে আশাহত হলেও খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি শাসক দল৷ কিন্তু গাজিপুরে পরাজয় তাদের ভাবিয়ে তুলেছে৷

তাই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন৷ সেইসব বৈঠকের ফল হিসেবে শেখ হাসিনা একটি বিবৃতিও দিয়েছেন৷ বিবৃতিতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বলেছেন৷ বলেছেন সকল ভেদাভেদ ভুলে দলের জন্য কাজ করতে৷ জানা গেছে, বৈঠকে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং কিছু নেতার ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে আলোচনা হয়েছে৷ এছাড়া বেশ কিছু জাতীয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রচারণার জবাব দিতে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের লোকজন ব্যর্থ হয়েছে৷

বাংলাদেশের দুই নারী নেত্রী – শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াছবি: AP/DW

সে কারণেই এসব দূর করে নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে চায় সরকার৷ একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে তারা জনপ্রিয় কিছু কাজ করতেও আগ্রহী৷ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, আওয়ামী লীগ অবশ্যই আত্মসমালোচনা করছে৷ ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে জনগণের এই দল অবশ্যই জনগণের পাশে থাকবে৷ আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যাদের জন্য সরকারের এই অবস্থা তাদের অবশ্যই সরে যেতে হবে৷ তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যাবে না৷

তবে রাজনীতির বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, সরকার এখন আস্থাহীনতার সংকটে পড়েছে৷ তাই তার অনেক ভালো কাজ থাকার পরও সেগুলো আমলে নিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ৷ সাধারণ মানুষ চান আগামী সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়৷ তাই তাঁরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখতে চান না৷ একাধিক জরিপেও দেখা গেছে যে, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান৷ সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায়, সাধারণ মানুষের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে৷ তাই সরকারের উচিত হবে আগেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করা৷ সরকার যদি দেরি করে তাহলে সংকট আরো বাড়বে৷ কারণ, ঈদের পরে বিরোধী দল আন্দোলনে যাবেই ৷ তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷ আর সরকার এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে হয়ত সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ফিরে আসতে পারে, মনে করেন অধ্যাপক আহমেদ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ