আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে প্রিন্সিপে দ্বীপটির বনাঞ্চল ও প্রাণীবৈচিত্র্য আফ্রিকার অন্যতম সেরা সম্পদ৷ কিন্তু সেখানেও হানা দিয়েছে প্লাস্টিক, মানে প্লাস্টিকের বোতল, যা সরানোর চেষ্টা করছেন পরিবেশবাদীরা৷
বিজ্ঞাপন
‘‘সুপ্রভাত! আমি তোমাদের প্লাস্টিকের বোতলগুলো নিতে এসেছি৷ আজ হলো বদলানোর দিন৷ সব কাজ করেছো তো? এক জায়গায় জড়ো করেছো?''
দাদির বাড়ির উঠোনে বেশ কিছু প্লাস্টিকের বোতল জমা হয়েছে৷ কয়েক মাস পর পর, সেগুলো এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আজ সেই দিন৷
সিলেইনে ফের্নান্দেজ হাঁক দিলেন, ‘‘উঠোনে আর কোনো প্লাস্টিকের বোতল পড়ে নেই তো? আমাদের সব নিয়ে যেতে হবে৷ অ্যাই ছেলেরা, সব বোতল এক জায়গায় জড়ো কর দেখি!''
প্রতিটি বোতলই মূল্যবান, কেননা, তার বদলে কিছু পাওয়া যায়৷
সিলেইনে ফের্নান্দেজ বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভেশনের কর্মী৷ তিনি বললেন, ‘‘সবাই এই বায়োস্ফিয়ার বোতল চায়, বিশেষ করে ছোটরা তাতে খুব উৎসাহ বোধ করে৷ ওরা সব প্লাস্টিক কুড়িয়ে আনে, রাস্তায় প্লাস্টিক আর প্রায় পড়েই থাকে না৷''
প্রত্যেকেই তাদের বোতল আনার একটা পথ খুঁজে পেয়েছে৷ লাফ দিয়ে পা-দানিতে ওঠাটাই প্রিন্সিপে-তে কোথাও যাওয়ার সেরা পন্থা৷ বোতল নেবার জায়গায় বিরাট ভিড়৷ সারাটা দিন এ রকম চলবে৷ লাইনে ধৈর্য্য ধরে দাঁড়াতে হবে৷
অদ্ভুত সব জিনিস দিয়ে তৈরি পোশাক-আশাক
প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে না দিয়ে তা যদি পোশাক হিসেবে পরতে বলা হয়, পরবেন আপনি? প্লাস্টিকের তো বটেই, আরো অনেক কিছু দিয়ে তৈরি পোশাক-আশাকই কিন্তু আজকাল সযত্নে ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture alliance/landov/D. Silpa
প্লাস্টিকের ব্যাগের পোশাক
ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে পোশাক বানিয়ে তা আবার মডেলদের পরানোর কথা কেউ ভাবতে পারেন? ফ্যাশন ডিজাইনার কাটেল গেলেবার্ট পরিবেশবাদী বলেই তা পেরেছেন৷ তাঁর ডিজাইনে তৈরি প্লাস্টিকের ব্যাগের জ্যাকেট, গাউন পরে দিব্যি ক্যাটওয়াকও করেন মডেলরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চকলেটের পোশাক
এমন পোশাকও ক্যাটওয়াকে পরা হয়৷ তবে এটি চকলেটের তৈরি পোশাক৷ প্যারিসের ‘সালঁ দু শোকোলা’-এ প্রতি বছর ফ্যাশন শো-তে মডেলরা চকলেটের তৈরি নানা ধরনের পোশাক পরে ক্যাটওয়াক করেন৷ চকলেটের পোশাক অবশ্য সবসময় পরা হয় না৷
ছবি: picture alliance/landov/D. Silpa
জ্যাকেটে এলইডি
বার্লিনের ফ্যাশন ডিজাইনার ভেরোনিকা আয়ুমানের এই জ্যাকেটের ভেতরে সেলাই করে দেয়া হয়েছে অনেকগুলো এলইডি বাল্ব৷ এমন জ্যাকেট মানেই নানা রকমের আলোর খেলা৷ এমন অ্যাপও ব্যবহার করা যায় যার কাজই হলো ছবি আঁকা৷
ছবি: Veronika Aumann
রেকর্ড দিয়ে সানগ্লাস
এই রোদচশমাটা কী দিয়ে তৈরি বলতে পারেন? পুরোনো রেকর্ড দিয়ে৷ হ্যাঁ, জ্যাক টিপটন রেকর্ডের দোকান থেকে সবসময় পরিত্যক্ত রেকর্ড কেনেন৷ সেই পরিত্যক্ত রেকর্ড দিয়েই তৈরি হয় এমন ফ্যাশনেবল রোদচশমা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Gebert
কমিক বইয়ের আজব ব্যবহার
বার্লিনের আরেক ডিজাইনার সোফিয়া ভেনিগ কমিক বই সংগ্রহ করেন৷ বই তো সবাই পড়ে৷ কিন্তু সোফিয়া শুধু পড়েন না, সেই বইগুলো দিয়ে ফোনের কাভার, ওয়ালেট, সিগারেট কেস, এমনকি হাতব্যাগও তৈরি করেন৷ প্রথমে ছোট ছোট কমিক বই জোড়া দিয়ে দিয়ে কোলাজ তৈরি করা হয়৷ তারপর সেই কোলাজগুলো দিয়েই বানানো হয় নানা ধরনের শখের জিনিস৷ ফোনের কাভার, ওয়ালেট, সিগারেট কেস বা হাতব্যাগ যা-ই বানানো হোক, দেখতে কিন্তু সুন্দর হয় খুব!
ছবি: PauwPauw
5 ছবি1 | 5
সিলেইনে ফের্নান্দেজ এখন গুনে গুনে বোতল প্যাক করছেন৷ তিনি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভেশনের কর্মী৷ অধিকাংশ বোতলেই রান্নার তেল আসে, জানালেন সিলেইনে৷ কয়েক মাস অন্তর অন্তর সিলেইনে বোতলগুলো সংগ্রহ করেন – একটা দু'টো নয়, সাড়ে চার লাখ প্লাস্টিকের বোতল৷
অনেকের বাড়িতে বোতলের স্তূপ৷ একটি মেয়ে বলল, ‘‘আমি এই বোতলে জল ভরে স্কুলে নিয়ে যাই, সেখানে তেষ্টা পেলে খাই৷'' গুনে গুনে ৫০টি বোতল হওয়া চাই৷ ‘‘কী রং চাও, লাল না সোনালি? আর দশটা বোতল আনলে তুমি আর একটা পাবে, কেমন?''
রিসাইক্লিং
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভেশনের কর্মী এস্ত্রেলা মাতিল্দে প্রকল্প সমন্বয়ের দায়িত্বে৷ তিনি বললেন, ‘‘আমাদের এখনই চার টন প্লাস্টিক জমা হয়েছে৷ সেগুলো আমরা রাজধানী সাও তোমে-তে জমিয়ে রেখেছি৷ একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি আমাদের সাহায্য করে থাকে৷ তারা বোতলগুলো বিনা খরচায় লিসবনে নিয়ে যাবে৷ সেখানে দু'টি রিসাইক্লিং সংস্থা বোতলগুলো নিতে রাজি হয়েছে৷''
রিসাইক্লিং সংস্থা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ হয়নি৷ আফ্রিকা থেকে প্লাস্টিক আবর্জনা নিতে কেউ রাজি নয়৷ প্রিন্সিপেতে প্লাস্টিক সংগ্রহ অভিযানের জন্য বছরে প্রায় ৩০,০০০ ইউরো লাগে৷ এক বছরের মধ্যেই আবার নতুন পৃষ্ঠপোষকের প্রয়োজন পড়বে৷ কিন্তু কিছু নতুন পরিকল্পনাও আছে৷
সিলেইনে ফের্নান্দেজ শোনালেন, ‘‘আমরা একটা মেশিন কিনছি, যা প্লাস্টিকের বোতল থেকে প্লাস্টিকের সুতো বানাতে পারে৷ সেই সুতো দিয়ে আবার চুবড়ি কিংবা অন্যান্য জিনিস তৈরি করা যায়৷ কাজেই আমরা ওভাবে কাজ করতে পারি৷ সেটা খুব ভালো হবে৷''
প্রিন্সিপে টেকসই বিকাশের চেষ্টা করছে৷ কিন্তু ভারসাম্য রাখতে হয়৷ একদিকে প্রায় আট হাজার মানুষের জীবিকা ও প্রয়োজন, অন্যদিকে আফ্রিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিপুল প্রাণীবৈচিত্র্যের অধিকারী বনভূমিগুলির মধ্যে একটি এই প্রিন্সিপে৷ চার বছর হলো, গোটা দ্বীপটাকেই ইউনেস্কোর বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এখানকার অধিকাংশ মানুষ ফল কিংবা কোকোর চাষ করে জীবনধারণ করেন, যা পর্তুগিজ উপনিবেশের আমল থেকে চলে আসছে৷
স্বভাবতই দ্বীপটি পুরোপুরি স্বনির্ভর হতে পারে না৷ অনেক কিছু আসে সাগরপার থেকে, সেই সঙ্গে আবর্জনাও আসে৷
ময়লা দিয়ে ব্যবসা করেন তাঁরা
বর্জ্য, বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই ব্যবসা করছেন৷ এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভাল হচ্ছে, তেমনি কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Frentzen
বিলিকিস আদেবিয়ি-আবিওলা
যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ করার পর আইবিএম-এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাঁচ বছর কাজ করার পর নিজ দেশ নাইজেরিয়ায় গিয়ে বর্জ্য নিয়ে ব্যবসা করছেন৷ দেশটির সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহর লাগসের ময়লা নিয়ে ব্যবসা করছেন৷ কোম্পানির নাম ‘উইসাইকেলার্স’৷ তাদেরকে আবর্জনা দেয়ার মাধ্যমে স্থানীয়রা ‘উপহার’ পেয়ে থাকেন৷ আর আবিওলার কোম্পানি ঐ আবর্জনা থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: WeCyclers
থাটো গাটহানিয়া ও রেয়া এনগোয়ানে
দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই তরুণী প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে স্কুল ব্যাগ তৈরি করেন৷ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এগুলো দেয়া হয়৷ এ সব ব্যাগে সোলার প্যানেল বসানো আছে৷ ফলে শিক্ষার্থীরা হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসার ফলে প্যানেলগুলো যে চার্জ পায় তা দিয়ে রাতের বেলায় আলো জ্বলে৷ ফলে মোমবাতি না জ্বালিয়ে শিশুরা পড়তে পারে৷ ছবিতে একেবারে ডানে রেয়া আর বাম থেকে তিন নম্বরে থাটোকে দেখা যাচ্ছে৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: repurposeschoolbags.com/Screenshot
অ্যান্ড্রু মুপুয়া
মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কুলে পড়ার সময় বাবা-মা দু’জনই যখন চাকরি হারিয়ে ফেলেন তখন অ্যান্ড্রু কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করেন৷ পুঁজি জোগাড় করতে ৭০ কেজি প্লাস্টিক বোতল বিক্রি ও শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা ধার নেন তিনি৷ ব্যাগ তৈরি শিখতে ইন্টারনেট আর ভিডিওর সাহায্য নেন তিনি৷ বর্তমানে ২৪ বছর বয়সি অ্যান্ড্রুর অধীনে ২০ জন কাজ করছেন৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW
লরনা রুট্ট
ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে কেনিয়ার নাইরোবিতে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন তিনি৷ এসব প্লাস্টিক দিয়ে তাঁর কোম্পানি বেড়া তৈরি করে৷ ঘরবাড়ি সহ সংরক্ষিত এলাকায় বেষ্টনী দিতে তাঁর বেড়া ব্যবহৃত হয়৷ কাঠের বদলে এ সব বেড়া খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: L. Rutto
বেথেলহেম টিলাহুন আলেমু
আফ্রিকার ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়ার ‘সোলরেবেলস’ বিশ্বে অনেক জনপ্রিয়৷ আলেমু’-র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি গাড়ির পুরনো টায়ার, ফেলে দেয়া জামাকাপড় ব্যবহার করে জুতা তৈরি করে৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Frentzen
বাংলাদেশে রিসাইক্লিং ব্যবসা
প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করে এমন অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে ঢাকায়৷ তাদের হয়ে পরিত্যক্ত বোতল সংগ্রহ করছেন অনেকে৷ এতে তাদের দারিদ্র্যতা দূর হচ্ছে৷ বোতলগুলো মেশিন দিয়ে টুকরো করে প্লাস্টিক পণ্য বানায় এমন কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়৷ কিছু অংশ বিদেশে, বিশেষ করে চীনেও রপ্তানি হয়ে থাকে৷ আরও জানতে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M.Uz Zaman
ওয়েস্ট কনসার্ন
বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকার বর্জ্য থেকে কমপোস্ট সার তৈরি করছে ওয়েস্ট কনসার্ন নামের একটি কোম্পানি৷ তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি এক লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য রিসাইকেল করেছে৷ বিস্তারিত জানতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: wasteconcern.org
7 ছবি1 | 7
অন্যান্য পরিকল্পনা
তবে স্থানীয় সরকারের একটা পরিকল্পনা আছে৷ ২০২০ সাল থেকে প্রিন্সিপেতে যত প্লাস্টিকের বোতল বা থলে আসবে, তার ওপর কর বসাতে চান আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট হোসে কার্দোসো কাসান্দ্রা৷
প্রিন্সিপের আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট হোসে কার্দোসো কাসান্দ্রা বলেছেন, ‘‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের বলছি, কাচ অথবা ধাতুর পাত্র, অর্থাৎ প্লাস্টিক ছাড়া অন্য ধরনের প্যাকিং ব্যবহার করো৷ আমাদের পরিকল্পনা হলো, দ্বীপটিকে প্লাস্টিকমুক্ত করা অথবা প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো৷''
সাগরের পানিতে ভেসে আসা প্লাস্টিক
কিন্তু সাগর থেকে যে প্লাস্টিক আসছে, তার কী হবে? স্পেনের বিজ্ঞানী মাইতে আসেনসিও সরকারের আমন্ত্রণে প্রিন্সিপেতে এসে সৈকতগুলিতে কী পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক ভেসে আসে, তা যাচাই করছেন৷ জোয়ারের জল যে রেখা অবধি পৌঁছায়, সেখানেই সবচেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা জড়ো হয়, বলছেন আসেনসিও৷ তিনি এক বছর ধরে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ পদ্ধতিটা সহজ ও কার্যকর৷
লাস পালমাস দে গ্রান কানারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইতে আসেনসিও দেখছেন, ‘‘নমুনার অধিকাংশই জৈবিক পদার্থ৷'' তিনি মনে করেন এটা ভালো লক্ষণ, কারণ,‘‘ সৈকত খুবই পরিষ্কার বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু বহু ফাইবার খালি চোখে ধরা পড়ে না৷ দেখলে মনে হবে যেন একটা চুল, কিন্তু তা প্লাস্টিকও হতে পারে৷ ঠিকমতো পরীক্ষা করলে তা বোঝা যাবে৷''
বালিতে কম মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে বলে যে সমুদ্রেও কম মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকবে, এমন নয়৷