স্বাগতিকদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধায় শ্রীলংকা
২৫ জানুয়ারি ২০১১১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জিতে গোটা বিশ্বকেই নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলংকা৷ তার আগ পর্যন্ত দলটি ছিল ডার্ক হর্স৷ এরপর থেকে একের পর এক তারকা ক্রিকেটার জন্ম দিয়ে চলেছে এই দ্বীপ দেশটি৷ গত বিশ্বকাপেও ফাইনালে খেলেছে শ্রীলংকা৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত রানার্স আপ হয়ে থাকতে হয়৷ কিন্তু বরাবরই ওয়ানডেটা বেশ ভালো খেলে লংকানরা৷ বিশেষ করে দেশের মাটিতে শ্রীলংকাকে হারানো যে কোন দলের জন্য অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার৷ সর্বশেষ কয়েক বছর ধরে বেশ সাফল্য ধরে রেখেছে দলটি৷ ফলে আইসিসির ওডিআই .ব্যাংকিং এ তাদের অবস্থান অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের পরেই৷
দলটির মূল শক্তি তাদের ব্যাটিং আর মুরালিধরন৷ সাঙ্গাকারা আর জয়াবর্ধনের সঙ্গে দিলশানের ব্যাটিং লাইন আপ যে কোন বোলিংকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম৷ তাদের সঙ্গে রয়েছেন উপুল থারাঙ্গা৷ আর বোলিংয়ে মুরালিধরনকে নিয়ে কিছু বলার নেই৷ পেস বোলিংয়ে এই মুহুর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা লাসিথ মালিঙ্গা৷ তাই শ্রীলংকা দলটি ঠিকভাবে খেলতে পারলে বিশ্বকাপ তাদের হাতেও দেখা যেতে পারে৷ এবার দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়লেন '৯৬ বিশ্বকাপের নায়ক সানাথ জয়াসুরিয়া এবং চামিন্দা ভাস৷ হয়তো বিশ্বকাপ খেলে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন এই দুই তারকা৷ কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের বাস্তববাদী সিদ্ধান্তের বলি হতে হলো তাঁদের শেষ পর্যন্ত৷
স্কোয়াড: কুমার সাঙ্গাকারা (অধি. উই), মাহেলা জয়াবর্ধনে (সহ অধি), তিলকারত্নে দিলশান, দিলহারা ফার্নান্ডো, রঙ্গনা হেরাথ, চামারা কাপুগেদারা, নুয়ান কুলাসেকারা, লাসিথ মালিঙ্গা, আঙ্গেলো ম্যাথিউস, অজন্তা মেন্ডিস, মুত্তিয়া মুরালিধরন, থিসারা পেরেরা, থিলান সামরাবিরা, চামারা সিলভা, উপুল থারাঙ্গা৷
সাফল্য: চ্যাম্পিয়ন ১৯৯৬, রানার্স আপ ২০০৭৷ ওডিআই অবস্থান: ৩৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী