নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা৷ লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া এক স্বাধীন দেশে বসে সেই স্বাধীনতায় কার অবদান কী ছিল তা নিয়ে আজও অহেতুক বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া লজ্জাজনক ব্যাপার বলে আমি মনে করি৷
ছবি: AFP/Getty Images
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ স্বাধীন করতে কার কী অবদান ছিল তা নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই৷ পচাত্তরে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করে একদল সেনা সদস্য৷ সেই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে এবং সামরিক শাসকরা নানাভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, করছেন৷
আমার মনে হয় ইতিহাস বদলের এই চেষ্টায় ইতি টানা জরুরি৷ বরং কিছু বিষয়কে প্রয়োজনে আইন করে অপরবিতর্নীয় করে রেখে সামনে আগানো উচিত৷
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আদ্যপান্ত
বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে কয়েকজন মুক্তিপাগল মানুষের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে৷ সেই জাদুঘর নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
যাত্রা শুরু
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি পুরনো বাড়ি ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর৷ আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের নানান স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের প্রয়াস নিয়েই যাত্রা হয় এই জাদুঘরের৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
নতুন ঠিকানায়
ভাড়া বাড়ির স্থান-স্বল্পতার কারণে সংগৃহীত স্মারকগুলো যথাযথভাবে প্রদর্শন করা সম্ভব না হওয়ায় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আগারগাঁও এলাকায় জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়৷ ২০১১ সালের ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন৷ প্রায় ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় জাদুঘরের নয়তলা ভবন৷ ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল নতুন ভবনে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বীরশ্রেষ্ঠদের প্রতীক
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সামনে সাত বীরশ্রেষ্ঠর প্রতীক হিসেবে প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাতটি স্তম্ভ রাখা হয়েছে৷ এই স্তম্ভগুলো নওগাঁ জেলার পত্নীতলায় দিবর দিঘিতে স্থাপিত একাদশ শতকের রাজা দিব্যকের স্তম্ভের অনুকৃতি৷ ঐতিহাসিকদের মতে, দিব্যকের সেই স্তম্ভই বাংলার প্রথম বিজয়স্তম্ভ৷ এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশিদের অবিস্মরণীয় বিজয়ের স্মারক হিসেবে এই স্তম্ভগুলো স্থাপন করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বিশাল সংগ্রহশালা
মুক্তিযুদ্ধের নানান স্মারক, মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের ব্যবহৃত সামগ্রী, অস্ত্র, দলিল, চিঠিপত্র ইত্যাদি মিলিয়ে ১৭ হাজারের বেশি নিদর্শন রয়েছে জাদুঘরের বিশাল সংগ্রহশালায়৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
শিখা অম্লান
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম তলায় রয়েছে শিখা অম্লান৷ কালো মার্বেল পাথরে পানির ভেতর থেকে জ্বলছে সেই শিখা৷ উদ্বোধনের আগে সেগুনবাগিচার পুরোনো ভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের ৭১ জন মানুষ হেঁটে শিখা অম্লানটি নতুন জাদুঘরে নিয়ে আসেন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
জাদুঘরের প্রথম তলায় শিখা অম্লানের পাশে স্থাপন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জ নির্মিত ভাস্কর্য৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বিমান ও হেলিকপ্টার
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম তলার দুইপাশে ছাদের সঙ্গে আটকানো রয়েছে একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার৷ একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল বিমান ও হেলিকপ্টারটি৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম গ্যালারির নাম ‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’৷ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান পর্ব, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়ে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে এ গ্যালারিতে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
প্রথম গ্যালারিতে আর যা কিছু
‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’ গ্যালারিতে আরও আছে ফসিল, প্রাচীন টেরাকোটা, মৃৎপাত্র, শিলাখণ্ডসহ নানা প্রকার নিদর্শনসহ ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তির আলোকচিত্র৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
দ্বিতীয় গ্যালারি
জাদুঘরের দ্বিতীয় গ্যালারির নাম ‘আমাদের অধিকার আমাদের ত্যাগ’৷ এই গ্যালারি থেকেই দর্শক সরাসরি ঢুকে পড়বেন মহান মুক্তিযুদ্ধের পর্বে৷ স্বাধীনতার দাবিতে রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭০ সালের ৩ জানুয়ারির সমাবেশ, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি৷ মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত রাইফেল আর গুলির বাক্সসহ আছে শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত নানা সামগ্রী৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
অপারেশন সার্চলাইট
দ্বিতীয় গ্যালারির একটি অংশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যার চিত্র৷ অন্ধকার এই গ্যালারিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইটের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকছে হেডলাইট জ্বালানো একটি সামরিক যান৷ গাড়ির সেই আবছা আলোয় দেখা যাবে মেঝের চারপাশে পড়ে থাকা গুলিতে নিহত মৃতদেহ৷ আর দেয়ালে আছে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চালানো গণহত্যার আলোকচিত্র৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
তৃতীয় গ্যালারি
জাদুঘরের তৃতীয় গ্যালারিটি চতুর্থ তলায়৷ এর নাম ‘আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র’৷ এখানে আছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জীবনযাত্রা, বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বড় আকারের ডিজিটাল প্রিন্ট৷ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ হওয়া, রাজাকারদের তৎপরতা, মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধের আশ্রয়স্থল এসব৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ
তৃতীয় গ্যালারিতে আরো আছে পণ্ডিত রবিশঙ্করের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এ বিটলসের বিখ্যাত শিল্পী জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানের জর্জের নিজ হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি ও সুরের স্টাফ নোটেশন৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
চতুর্থ ও সবশেষ গ্যালারি
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সর্বশেষ গ্যালারিটির নাম ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’৷ এতে আছে নৌযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন৷ বিলোনিয়ার যুদ্ধের রেলস্টেশনের রেলিং, ট্রলি ইত্যাদি৷ এছাড়া আছে মিত্রবাহিনীর ছত্রীসেনাদের আক্রমণ, দগ্ধ বাড়িঘর৷ সবশেষে বিজয় অর্জন৷ শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের অনুলিপিটি দিয়ে৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় ঘুরে প্রদর্শনী করা হয়৷ ২০০১ সাল থেকে দু’টি বড় বাসের মাধ্যমে এ ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর ইতিমধ্যেই ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছে, তুলে ধরেছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
সময়সূচি ও অন্যান্য তথ্য
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্রীষ্মকালীন (মার্চ-সেপ্টেম্বর) সময়সূচি সকাল ১০টা-বিকেল ৬টা৷ আর শীতকালীন (অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি) সময়সূচি হলো সকাল ১০টা-বিকাল ৫টা৷ রোজার মাসে জাদুঘর খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত৷ জাদুঘরের সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার৷ প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
16 ছবি1 | 16
প্রথমত, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ স্বাধীনতাপূর্ব পূর্বপাকিস্তানের মানুষদের স্বাধীনতার জন্য সংঘবদ্ধ করেছিলেন যে ব্যক্তি, তিনি মুজিবুর রহমান৷ তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশিরা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছেন, চূড়ান্ত লড়াইয়েই জন্য প্রস্তুত হয়েছেন৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় জাতির জনকের অবদান নিয়ে তাই কোনো বিতর্কের সুযোগ থাকার কথা নয়৷
দ্বিতীয়ত, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালি দোসরদের সহায়তায় নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা শুরু করার পর সৃষ্ট দিশেহারা পরিস্থিতির মধ্যে বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সেসময় অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান৷ তাঁর সেই ঘোষণা তখনকার পরিস্থিতিতে নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছিল, হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যে গড়ে উঠছে সেই আভাস দিয়েছিল৷ একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমানের এই সাহসিকতাও আমাদের ইতিহাসেরই অংশ৷
সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে কার অবদান বেশি ছিল এবং কম ছিল তা নিয়ে ইচ্ছাকৃত বিতর্ক সৃষ্টির একটি প্রবণতা রয়েছে৷ তবে আমি মুজিবুর রহমান কিংবা জিয়াউর রহমানকে একে অপরের সঙ্গে তুলনা করার কোনো সুযোগ দেখি না৷ বরং দু'জনকে দু'জনের অবস্থানে রেখে সম্মান জানানোকেই উচিত মনে করি৷ সবচেয়ে বড় কথা, মুজিবুর রহমান পুরো বাংলাদেশি জাতির জনক, শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নন৷ আর জিয়াউর রহমান যে সময় স্বাধীনতার ঘোষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেসময় কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন না৷ তিনি গোটা দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে কথা বলেছিলেন৷ ফলে তাঁদের নিয়ে রাজনীতি না করলে তা গোটা জাতির জন্যই উত্তম৷
তৃতীয়ত, যুদ্ধাপরাধের বিচার৷ ঢাকার ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের’ বিচারের মান নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে যুদ্ধাপরাধের বিচার যে বাংলাদেশিরা সামগ্রিকভাবে মেনে নিয়েছেন সেটা বোঝাই যায়৷ এখনও যেসব যুদ্ধাপরাধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নিজেদের নিরাপদ করে রেখেছেন তাদের বিচারও জরুরি৷ পাশাপাশি দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সেটাও দ্রুত ফয়সালা করা উচিত৷
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে
আমাদের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে আসলে ঘুরেফিরে উপরে উল্লিখিত তিনটি বিষয় নিয়ে আজও বিতর্ক রয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক৷ আমাদের মনে রাখা উচিত, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা৷ প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এই স্বাধীনতায় অসামান্য অবদান রেখেছেন৷ বাংলাদেশিদের এই অর্জন তাই কোনো একক ব্যক্তি বা দলের নিজস্ব অর্জন নয়৷ এটা গোটা জাতির অর্জন৷
যে দেশে বসে এই লেখা লিখছি, সেদেশ কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কর্মকাণ্ডের বিচারআচার, ক্ষতিপূরণ দেয়ার কাজ সম্পন্ন করে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে৷ এদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে অতীতের ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা হয় না৷ আসুন আমরাও তাদের মতো ইতিহাস নিয়ে অযথা ঘাঁটাঘাটি, বিতর্ক বন্ধ করে সামনে দিকে আগাই৷ একটা বিজিত দেশ হয়েও জার্মানি যা পেরেছে, একটা বিজয়ী দেশ হিসেবে আমরা তা পারবো না কেন?
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷