1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীনতা দিবসেও আতঙ্কে

আশীষ চক্রবর্ত্তী২৭ মার্চ ২০১৩

৪১ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও জামায়াত-শিবিরের হামলার ভয়ে চট্টগ্রামের অনেক অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সমাবেশ করা দূরের কথা, জাতীয় দিবসই উদযাপন করাও সম্ভব হয়নি!

ছবি: Reuters

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর সাংবাদিকতা করছেন ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে৷ এখন দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি, আছেন জাতীয় এ দৈনিকের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখে আসছেন সাংবাদিকতা জীবনের গোড়ার দিক থেকে৷ খুব কাছ থেকে দেখেছেন চট্টগ্রাম জেলার কিছু অঞ্চল কিভাবে দিনে দিনে হয়ে উঠেছে জামায়াত-শিবিরের অভয়ারণ্য৷ অবশ্য অভয়ারণ্য বললে বোধহয় কমই বলা হয়৷ যু্দ্ধাপরাধের কারণে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর দেশের বেশ কিছু অঞ্চলেই তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবির৷ তবে অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঝটিকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে, সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে, লুটতরাজ চালিয়ে, বাধার মুখে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে, নিরস্ত্র প্রতিপক্ষ এবং পুলিশকেও মেরে আর মারতে গিয়ে অনেক কর্মী হারালেও সেসব অঞ্চলের চেয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালি, পটিয়া, লোহাগরার মতো কিছু জায়গা একেবারে আলাদা৷ অন্য অঞ্চলগুলোতে তাণ্ডব চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের অনেক কর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন, কিন্তু চট্ট্রগামের ওই অঞ্চলগুলোতে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সমর্থক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষের লোকজনেরই টেকা দায়৷ কোথাও কেথাও যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ করা, গণজাগরণ মঞ্চ গড়া অসম্ভব৷ জামায়াত-শিবিরের হামলার ভয়ে স্বাধীনতা দিবসও পালন করা হয়নি কিছু জায়গায়৷ এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে এ সাক্ষাৎকারে৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

বাঁশখালি, সাতকানিয়া, লোহাগরা, পটিয়া এবং আরো কিছু জায়গা চট্টগ্রামের জামায়াতের ঘাঁটি বলে জানালেন কাজী আবুল মনসুর৷ এমনটি হয়ে ওঠার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন৷ প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মদত স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া একটি দলের ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে খুব বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি৷ এ বক্তব্যের সমর্থনে তথ্য এবং যুক্তিও দেখিয়েছেন চট্টগ্রামের এই সাংবাদিক নেতা৷ বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ জন জামায়াত সমর্থককে নিয়োগ দিয়েছিল – এ কথা জানিয়ে কাজী আবুল মনসুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় এবং কোণঠাসা রাখতে ওই শিক্ষকদেরও ইন্ধন রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ