1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীনতা দিবস

২৭ মার্চ ২০১২

২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হলো জার্মানিতে৷ রাজধানী বার্লিনের সেই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ৪১ বছরের একটি খতিয়ান তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷

Bangladesch Botschaft in Berlin feiert den Unabhängigkeitstag von Bangladesch am 26. März 2012. Copyright: M.El Sauaf Berlin, 26.03.2012
বার্লিনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দছবি: M.El Sauaf

২৫শে মার্চের কালো রাত্রি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহত লাখো শহীদদের স্মরণ করে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মান্যবর মান্নান৷ শ্রদ্ধা জানান পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হাজারো বাঙালি নারী আর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি৷

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইউরোপের যে দেশটি প্রথম তাকে স্বীকৃতি দেয়, সেটা ছিল জার্মানি৷ রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান জানান, ‘‘জার্মানি তখন দু'ভাগে বিভক্ত ছিল এবং দু'টো অংশই প্রথম দু'মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়৷ ফলে বাংলাদেশের মানুষ জার্মানির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ৷''

ওদিকে সোমবারের ঐ অনুষ্ঠানে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এমিলি হাবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে'র হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছার বাণী পাঠ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েও বাংলাদেশ সেগুলির মোকাবিলা করে চলেছে৷ তাই জার্মানি বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায়৷'' জার্মানির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফাউন্ডেশন যেভাবে বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠছে, তার ফলেও এই আগ্রহের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে৷ পররাষ্ট্রসচিব এমিলি হাবার এক্ষেত্রে দু'দেশের সাধারণ মূল্যবোধের বিষয়টিকে তুলে ধরেন৷

স্বাভাবিকভাবেই, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসে মান্যবর মসুদ মান্নান'এর কাছে৷ উত্তরে তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন, বলেন ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থান, দারিদ্র দূরীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং গণতন্ত্রের চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে, বলেন রাষ্ট্রদূত৷ এছাড়া, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন তিনি৷

তবে বাংলাদেশের সামনে এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জগুলির উল্লেখ করতেও ভোলেন না রাষ্ট্রদূত মান্নান৷ বেড়ে চলা চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানির যোগান নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ২০২১ সালের মধ্যে দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে দূর করার সংকল্পের কথা বিশেষভাবে উঠে আসে বক্তব্যে৷ আর সেক্ষেত্রে জার্মানিকে পাশে পেতে চায় বাংলাদেশ, জানান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ