ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল বলেছে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন, সক্ষম নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন৷ তারা মনে করেন, নির্বাচন কমিশন এমন হতে হবে যাতে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে ভোটারদের আস্থা থাকে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আছে আড়াই মাসের মতো৷ এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে৷ ওই কমিশনেরই ২০১৯ সালের শুরুতে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করার কথা৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংবাদ সম্মেলনের পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ‘ঐক্যমতের নির্বাচন কমিশন'-এর ফর্মুলা দিয়েছেন৷
১৪ নভেম্বর চারদিনের সফরে ঢাকা এসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে৷ বৃহস্পতিবার তারা সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন৷
ড. বদিউল আলম মজুমদার
প্রতিনিধি দলটি মূলত বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশ সফরে এলেও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মৌলিক অধিকার নিয়ে প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের নেতা বার্ন্ড লাঙ্গা সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘‘আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠিত হওয়া উচিৎ এবং আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আশ্বস্ত হয়েছি যে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবেই তৈরি করা হবে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা উচিত৷ নিরাপত্তার নামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা উচিৎ নয়৷''
সাংবাদিকরা জানতে চান, সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা৷ এর জবাবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কমিটির প্রধান জিন ল্যামবার্ট বলেন, ‘‘আমাদের সফরে বাণিজ্যিক বিষয় প্রাধান্য পেলেও আমরা একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি৷ আমরা এমন একটি নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছি যার ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারে৷''
ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কমিটির প্রধান আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যে সবদলের অংশগ্রহণে হওয়া দরকার তা বাংলাদেশের সরকারও মনে করে৷ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক দলের৷ তবে পরিবেশটি এমন হতে হবে যাতে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রচারণায় সমান সুযোগ কাজে লাগাতে পারে৷''
জিন ল্যামবারট জানান, ‘‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বেসরকারি সাহায্য সংস্থার অনুদান বিষয়ক আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ইত্যাদি বিষয় নিয়েও তাদের আলোচনা হয়েছে৷''
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের বিদেশি বন্ধুরা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চান৷ তারা চান একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন৷ আর সে কারণেই তারা একটি স্বাধীন এবং কর্মক্ষম নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছেন৷ তবে তা হবে কিনা নির্ভর করছে সরকারের ইচ্ছার ওপর৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তিনি আর বিতর্কিত নির্বাচন দেখতে চান না৷ তাই আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷''
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১১ বার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য৷
ছবি: Anupam Nath/AP/picture alliance
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ সে সময় ৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়৷ আর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ১৫টি৷ ঐ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ৭ এপ্রিল, তেজগাঁওয়ে অবস্থিত তখনকার জাতীয় সংসদ ভবনে৷ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে জয়লাভ করে৷ বঙ্গবন্ধু সে সময় ঢাকা-১২ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন৷
ছবি: AP
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন, প্রথম নারী সাংসদ
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়৷ সেবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ৩০টি৷ তবে ঐ সংসদেই প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে একজন নারী সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ খুলনা-১৪ থেকে নির্বাচিত হন সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ৷ প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২ এপ্রিল৷ নির্বাচনে মাত্র মাস ছয়েক আগে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি ২০৭টি আর আওয়ামী লীগ ৫৪টি আসন পেয়েছিল৷
ছবি: imago stock&people
তৃতীয় সংসদ নির্বাচন
ভোটগ্রহণ হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে৷ জাতীয় পার্টি ১৫৩টি, আওয়ামী লীগ ৭৬টি আর জামায়াতে ইসলামী ১০টি আসন পায়৷ বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করেছিল৷
ছবি: http://www.parliament.gov.bd
চতুর্থ সংসদ নির্বাচন
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ বেশ কয়েকটি দল এই নির্বাচন বর্জন করেছিল৷ জাতীয় পার্টি আসন পেয়েছিল ২৫১টি৷ সংরক্ষিত মহিলা আসন সংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সংসদে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩০০টি৷
ছবি: http://www.parliament.gov.bd
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি, আওয়ামী লীগ ৮৮টি আর জাতীয় পার্টি ৩৫টিতে জয়লাভ করে৷ এছাড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ৩০ জন মহিলাকে সাংসদ নির্বাচিত করা হয়৷ অবশ্য তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি সংবিধানের অংশ ছিল না৷ পরের সংসদে সেই বিল পাস হয়েছিল৷
ছবি: Getty Images
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি৷ আওয়ামী লীগ সহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল৷ ফলে মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১ শতাংশ৷ ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২৭৮টিতে জয়লাভ করেছিল৷ মাত্র চার কার্যদিবসে সংসদ বসার পর তা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়৷ এই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয়৷
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo
সপ্তম সংসদ নির্বাচন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬, বিএনপি ১১৬ ও জাতীয় পার্টি ৩২টি আসনে জয়লাভ করে৷ পরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ৷
ছবি: Reuters
অষ্টম সংসদ নির্বাচন
ভোটগ্রহণ হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর৷ অষ্টম সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩০০টি৷ কারণ সংরক্ষিত মহিলা আসন সংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শুরুতে কোনো মহিলা আসন ছিল না৷ পরে আইন করে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ এ উন্নীত করা হয়৷ নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩ আর আওয়ামী লীগ ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
নবম সংসদ নির্বাচন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত সবশেষ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর৷ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার পেয়েছিল ২৬৩টি আসন৷ আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট পায় ৩৩টি আসন৷
ছবি: picture-alliance/A.A./N. Kumar
দশম সংসদ নির্বাচন
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি৷ ফলে ১৫৩ জন সাংসদ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সাংসদ নির্বাচিত হন৷
ছবি: DW/M. Mamun
একাদশ সংসদ নির্বাচন
বাংলাদেশের সবশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালে৷ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হওয়া এই নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের ২৮৮টিই পেয়েছিল ক্ষমতাসীন দল ও মহাজোট৷ সেই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট পড়েছে পাঁচ ভাগের চার ভাগ৷ ঘটেছে নজিরবিহীন ঘটনাও৷ ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে৷ প্রায় আট হাজার কেন্দ্রে পড়েছে ৯০ শতাংশের বেশি৷
ছবি: Anupam Nath/AP/picture alliance
11 ছবি1 | 11
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন গঠনের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রণয়ন করা দরকার৷ সব রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে৷'' ফর্মুলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার জন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন৷ জেলা জজের পদমর্যাদা সম্পন্ন, ন্যূনতম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা সম্পন্ন, সিনিয়র আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন৷ পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে৷ এ কমিটিতে থাকবেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বিশ্ববিদ্যায়লের সাবেক অধ্যাপক, দক্ষ যোগ্য নারী৷''
সহিংসতায় প্রধান হাতিয়ার ‘পেট্রোল বোমা’
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার সময় পেট্রোল বোমার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে৷ হাতে তৈরি এই বোমা ব্যবহার করে গাড়িতে আগুন দেয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
পেট্রোল বোমায় পুড়ছে জীবন
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষ৷ নির্বাচনসংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এসময়৷ হরতাল, অবরোধ চলাকালে ব্যাপক আকারে ব্যবহার হয়েছে পেট্রোল বোমা৷
ছবি: imago/imagebroker/theissen
যেভাবে তৈরি হয় এই বোমা
কাঁচের বোতল, পেট্রোল আর কিছু ভাঙা কাঁচ বা মার্বেলের টুকরা ব্যবহার করে পেট্রোল বোমা তৈরি করছে দুর্বৃত্তরা৷ এরপর সুযোগ বুঝে সেগুলো নিক্ষেপ করছে যাত্রীবাহী গাড়িতে৷ ফলে গাড়ি পুড়ছে, সঙ্গে পুড়ছে মানুষ৷ সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: picture alliance/abaca
রয়েছে অন্য বোমাও
তবে শুধু পেট্রোল বোমাই নয়, লাল বা কালো টেপে মোড়া ককটেলও ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশে৷ ককটেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এবং ছোট পেরেক বা লোহার টুকরা৷ এছাড়া বোমা তৈরিতে গান পাউডারও ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বোমা বাণিজ্য
রাজনৈতিক অস্থিরতায় সময় হাতে তৈরি বোমার চাহিদা বেড়ে যায়৷ তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও পেশাদারি গ্রুপও বোমা তৈরি করে৷ চড়া দামে এসব বোমা বিক্রিও করা হয়৷ গত বছর পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, একেকটি হাত বোমার দাম ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত৷
ছবি: Reuters
বড় পর্যায়ে বোমা হামলা
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আত্মঘাতী বা বড় পর্যায়ে বোমা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ তবে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷
ছবি: dpa - Bildfunk
আত্মঘাতী হামলা
১৭ আগস্টের সেই সিরিজ হামলার পর কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে৷ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেসময় ‘‘বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হন৷’’ তবে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর হাতে জঙ্গিবাদের উত্থান দমনে সক্ষম হয়৷ ২০০৭ সালে জেএমবির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়৷
ছবি: AP
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম
ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন জানান, বাংলাদেশ পুলিশের শক্তিশালী বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম রয়েছে৷ তাদের কাছে আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে৷ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের বোমা নিষ্ক্রিয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিশের এই টিম৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের বক্তব্যের পরের দিন খালেদা জিয়া একটি ঐক্যমতের নির্বাচন কমিশনের কথা বললেন- এটা তাৎপর্যপূর্ণ৷ তিনি বলেছেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচন থেকে পরবর্তী নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে সেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে৷ এটা কতটা বাস্তবভিত্তিক তা নিয়ে আমার সংশয় আছে৷ আর মাত্র আড়াই মাস পর নুতন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছে তা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশারই প্রতিফলন৷''
তবে তিনি মনে করেন, ‘‘শেষ বেলায় এসে খালেদা জিয়া মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতে চান৷ তিনি মেসেজ দিতে চান বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান নতুন কমিশনকে৷