বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনার ভুয়া নার্সিং ডিপ্লোমা জার্মানির স্বাস্থ্য খাতের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠছে৷ সম্প্রতি অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন সুরনাল ইনফোতে প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়৷
সুরনাল ইনফোর প্রতিবেদক আজরা ওমেরোভিক মাত্র ১৭ দিনে নার্সিং ডিপ্লোমার সনদ জোগাড় করেন প্রতিবেদন তৈরির উদ্দেশ্যে৷
আজরা ওমেরোভিক ও সাংবাদিক আভদো আভদিচ যৌ্থভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেন৷
আজরা পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন একটি ভিডিওতে৷ তিনি বলেন, একজন মধ্যস্থতাকারীর কাছ থেকে এক হাজার ২৫০ ইউরোর বিনিময়ে তিনি এই সনদটি পান৷ টেলিফোনে সেই মধ্যস্থতাকারীকে তিনি জানান, জার্মানিতে নার্সিংয়ের কাজের একটি প্রস্তাব পেয়েছেন, কিন্তু সনদ নেই৷ তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে তাঁর এই সনদ প্রয়োজন৷ পরে টাকা পরিশোধ করার পর একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ পান আজরা৷
জার্মানিতে যে কোনো ক্ষেত্রে কাজ পেতে হলে এর যথাযথ সনদ প্রয়োজন এবং সেগুলোই বিক্রি হচ্ছে বসনিয়ায়৷
সাংবাদিক আভদো আভদিচ ডয়েচে ভেলেকে বলেন, যেসব স্কুল এসব ভুয়া সনদ দিচ্ছে ,সেগুলোকে অডিটের আওতায় আনা জরুরি৷
উল্লেখ্য, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানকার অধিবাসীদের অনেকেরই সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজ হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায়৷ সেই সময় দেশটিতে জাল বা ভুয়া সনদ অথবা নকল সনদ তৈরির ব্যবসা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে৷
জার্মানরা যেভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবেন
জার্মানরা কি ছোটবেলার স্মৃতিকে খুঁজে ফেরেন? তাঁরা কি ঘনঘন অসুস্থ হন কিংবা এরকম উন্নত দেশে পথচারী বা সাইকেল চালকরা কেন এত বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন? এরকম নানা প্রশ্নের উত্তর থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
ছেলেবেলার স্মৃতি যে বড়ই মধুর!
আচ্ছা, আপনি কি ছোটবেলায় মা-বাবার সাথে অনেক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন? সেসব স্থানে কি এখন আবার যেতে ইচ্ছে করে? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আপনিও জার্মান নস্টালজিকদের মধ্যেই পড়েন৷ শতকরা ৬০ভাগেরও বেশি জার্মান নাকি শিশু বয়সে ঘুরতে যাওয়া জায়গাগুলো আবার দেখতে যেতে চান৷ জার্মানির ফোর্সা কোম্পানির করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্যটি জানা যায়৷সমীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
জার্মানরা কেন অসুস্থ হয়?
অসুস্থ কে না হয়! তবে জার্মানিতে যেসব কর্মজীবী সানন্দে কর্মস্থলে যান এবং নিজের কাজটি করতে পছন্দ করেন, তাঁরা তুলনামূলকভাবে কম অসুস্থ হয়৷ তাঁরা গড়ে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকে বছরে মাত্র নয় দিন৷ আর যাঁরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজে যান, তাঁরা কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন গড়ে বছরে ২০ দিন৷ জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা কোম্পানি এওকে’র করা এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷
ছবি: picture-alliance/R. Schlesinger
কেন এই দীর্ঘ অপেক্ষা?
জার্মানিতে শরীরে নানা ধরনের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ৷ এসব সমস্যায় প্রতি দুই জনের একজনকে ফিজিওথেরাপি বা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হয় কমপক্ষে তিন সপ্তাহ৷ থেরাপিস্টের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলেই নাকি এই অপেক্ষা৷ দীর্ঘ অপেক্ষার এই কারণটি সম্প্রতি সমীক্ষার মাধ্যমে বের করেছে জার্মানির ফিজিওথেরাপি সংগঠন৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
উজ্জ্বল রঙের পোশাক
জার্মানিতে ২০১৭ সালে মোট ৩১,০০০ জন পথচারী এবং ৮০,০০০ সাইকেল চালক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে৷ দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে বা অন্ধকারে পথচারী এবং সাইকেল চালকদের লাল, হলুদ বা রিফ্লেক্ট করে, সেরকম পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে জার্মানির অর্থোপেডিক্স সমিতি এবং হাসপাতালের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক বিভাগ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
বয়স্কদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে
জার্মানিতে যেসব বয়স্ক মানুষ নার্সিং হোমে থাকেন, তাঁদের অধিকারকে আরো শক্তিশালী করছে ফেডারেল কোর্ট৷ বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষের যদি বর্তমান নার্সিং হোম কোনো কারণে পছন্দ না হয়, তাহলে তাঁর অন্য নার্সিং হোমে যাওয়ার অধিকার আছে৷ কোনোরকম আর্থিক বা অন্য কোনো ক্ষতি বা সমস্যা ছাড়াই অন্য নার্সিংহোমে যেতে পারবেন তিনি৷ এমনকি বর্তমান নার্সিং হোমের সাথে তাঁর পুরোনো চুক্তি শেষ না হলেও যাওয়া যাবে৷