1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্মার্টফোনের পর স্মার্ট পোশাক!

ডানিয়েলা স্পেট/এসবি১২ জুলাই ২০১৬

পরনে হাল ফ্যাশানের পোশাক, হাতে স্মার্টফোন৷ কিন্তু পোশাককেই যদি স্মার্ট বা বুদ্ধিমান করে তোলা যায়, তাহলে কেমন হয়৷ ভবিষ্যতে এমন বুদ্ধিমান পোশাক আমাদের জীবনযাত্রা আমূল বদলে দিতে চলেছে৷

ইকো ডিজাইন
ছবি: Natascha Zivadinovic

এই পোশাকের মধ্যেই কম্পিউটার লুকিয়ে রয়েছে৷ সেটি বাইরের এলইডি ডিসপ্লে নিয়ন্ত্রণ করে৷ পোশাকের মালিকের হৃদযন্ত্রের ছন্দ অনুযায়ী রং বদলায়৷ সেন্সর নাড়ির ফ্রিকুয়েন্সি রেকর্ড করে৷ পোশাকে সেলাই করা তার সেই তথ্য মাইক্রোকনট্রোলারে পাঠিয়ে দেয়৷ সেখান থেকে ডিসপ্লে-তে সংকেত যায়৷

বার্লিনের লিসা ওয়াসং এই পোশাক ডিজাইন করেছেন৷ বছর দুয়েক ধরে তিনি ফ্যাশন ও প্রযুক্তির ইন্টারফেস নিয়ে কাজ করছেন৷ বিশেষ করে শরীর ও পোশাকের কম্বিনেশন তাঁর কাছে বিস্ময়কর৷ ফ্যাশন-টেক ডিজাইনার লিনা ওয়াসং বলেন, ‘‘এটা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না৷ আমাদের পেশি সব সময়ে সক্রিয় থাকে৷ কিন্তু আমরা বা অনেকেই ভাবেন না, সেগুলি কীভাবে কাজ করে৷ মানুষ কী করছে, কীভাবে সব চলছে, বিশেষ পোশাক পরে তা বাইরে দেখানো যেতে পারে৷''

নেদারল্যান্ডসের বরে আকার্সডাইক ইনটেলিজেন্ট বা বুদ্ধিমান পোশাক নিয়ে কাজ করছেন৷ তিনি এক হাইটেক-ওভারঅল ডিজাইন করেছেন৷ সেই পোশাক ওয়াইফাই হটস্পট হয়ে উঠতে পারে৷ এটিও আগামী প্রজন্মের ‘কেজো' পোশাকের একটি উদাহরণ৷ ডিজাইনার পাউলিন ফন ডঙেন সোলার সেল লাগানো পোশাক তৈরি করেছেন৷ সেই পোশাকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে স্মার্টফোন চার্জ করা যায়৷ তাঁর কালেকশনের নাম ‘ওয়্যারেবেল সোলার'৷

স্মার্ট পোশাক – সেটা আবার কী?

04:15

This browser does not support the video element.

নেদারল্যান্ডসের এই ডিজাইনার বুদ্ধিমান পোশাক বড় আকারে তৈরি করতে চান৷ পাউলিন ফন ডঙেন বলেন, ‘‘অনেকের কাছে এমন ফ্যাশন অনেক দূরের কোনো স্বপ্ন৷ আমাদের দেখাতে হবে, এর মধ্যে কত বড় সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ যখন কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বাজারে এলো, তখন অনেকেই জানতেন না, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের উপর এর কী প্রভাব পড়বে৷ আর আজ আমরা এ সব ছাড়া থাকতেই পারি না৷ ওয়্যারেবেল প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমনই হবে৷''

৭৫ বছর আগে পোর্টেবল কম্পিউটার অভাবনীয় ছিল৷ ১৯৪১ সালে কনরাড সুসে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার তৈরি করেন, যার নাম ছিল জেড-থ্রি৷ ওজন প্রায় এক টন৷ বর্তমানে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচ মোবাইল ইন্টারনেট যুগের সূচনা করছে৷ আগনিয়েশকা ভালোরস্কা বলেন, ‘‘কেউ ভাবে না, যে এটা একটা প্রযুক্তি৷ বা আইফোন একটা প্রযুক্তি৷ দৈনন্দিন জীবনে আমি এটা ব্যবহার করছি৷ এটা কোনো যন্ত্র নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের এক চলমান, সামাজিক সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷''

ডিজাইনও এই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে৷ কয়েক দশক ধরে কম্পিউটার শুধু আকারে ছোট হয়ে উঠছে না, আরও রঙিন হয়ে উঠছে৷ অ্যামেরিকার ‘অ্যাপেল' কোম্পানি গত শতকের নব্বইয়ের দশকে রংচংয়ে ডিভাইস বাজারে এনে নতুন মানদণ্ড সৃষ্টি করেছিল৷ তারা কম্পিউটারকে সুন্দর জীবনের প্রতীক ও স্ট্যাটাস সিম্বল করে তুলেছিল৷ আইফোন ও আইপ্যাড এনে অ্যাপেল মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেয়৷

আগনিয়েশকা ভালোরস্কা বলেন, ‘‘আমার মতে, ডিজাইন আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে৷ কারণ এখনও এ সব ডিভাইস আলাদা করে চালানো শিখতে হয়৷ অথচ কিছু টাইপ করা, ক্লিক করা বা ট্যাপ করা কিন্তু মোটেই সহজ নয়৷ তার চেয়ে স্বাভাবিক হলো হাত-পা নেড়ে কিছু বোঝানো, কথা বলা, কথা শোনা৷ আমার ধারণা, এই দিশায় আরও অগ্রগতি ঘটবে৷''

শরীর ও প্রযুক্তির মধ্যে ব্যবধান কমে চলেছে৷ ‘ওয়্যারেবেলস'-এর বাজার ফুলে ফেঁপে উঠছে৷ যেমন স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস-ট্র্যাকার হৃৎস্পন্দন রেকর্ড করে পদক্ষেপ মেপে অঙ্ক কষে ক্যালোরি বার্নিং-এর হার বার করে৷ স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়৷ এমনকি ঘুমের সময়েও নজরদারি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব৷ ডিজাইনার লিসা ওয়াসং-এর কাছে, এটা সবে শুরু৷ ফ্যাশন-টেক ডিজাইনার লিনা ওয়াসং বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে ওয়্যারেবেলস ও ফ্যাশন প্রযুক্তি যদি এমনভাবে বদলায়, যে পোশাক আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে খাপ খাইয়ে নেবে, সেটা দারুণ ব্যাপার হবে৷ শীতকালে কাঁপতে হবে না, কারণ পোশাক তাপমাত্রা বুঝে নিয়ে হিটিং সিস্টেম চালু করে দেবে৷''

কাজের জগত হোক, অথবা অবসর সময় – অন্য কোনো যন্ত্র আমাদের জীবনযাত্রা এতটা বদলে দেয়নি, যেমনটা কম্পিউটার করতে পেরেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ