1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্মার্টফোনে আসক্তি: মস্তিষ্কের রাসায়নিক ক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা

১০ ডিসেম্বর ২০১৭

যেসব কিশোর-কিশোরী স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটায় তাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যা দেখে বোঝা যায় তাদের এ বিষয়ে আসক্তি রয়েছে এবং এর ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে৷

Smartphone Selfie
ছবি: Picture alliance/PhotoAlto/F. Cirou

দক্ষিণ কোরিয়ার রেডিওলজি'র অধ্যাপক ইয়ুং সুক-এর নেতৃত্বে একটি গবেষক দল কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে এর প্রমাণ পেয়েছেন৷ যেসব কিশোর-কিশোরীর মস্তিষ্কে ব্যাপকভাবে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, দেখা গেছে তাদের সবাই স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটে আসক্ত

১৫ থেকে ১৬ বছরের  ফোন বা ইন্টারনেটে আসক্ত ১৯ জন কিশোরের উপর পরীক্ষাটি করেছেন সউলের কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা৷  তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা যে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কী প্রভাব ফেলে?

নিয়ন্ত্রিত দলে আরও ১৯ কিশোরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছিল, যারা একেবারেই দরকার না হলে ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কিশোরদের তুলনায় আসক্তরা হতাশা, অবসাদ, উদ্বেগ, অনিদ্রা, অস্থিরতার অভিযোগ বেশি করেছিল৷

চিকিৎসকরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তুলেছিলেন, যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে৷ বিজ্ঞানীরা, বিশেষ করে গামা অ্যামিনোবাটাইরিক অ্যাসিড বা জিএবিএবিএ'র পরিবর্তন লক্ষ্য করতে চেয়েছিলেন৷ জিএবিএ মস্তিষ্কের এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যেটি মস্তিষ্কের বার্তাগুলোর গতিকে ধীর করে দেয়৷ এছাড়া জিএবিএ'র দৃষ্টিশক্তি, আচরণ, মস্তিষ্কের আরও অনেক কাজ যেমন নিদ্রা, উদ্বেগ এগুলোর উপর প্রভাব রয়েছে৷ পরীক্ষায় দেখা গেছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটেআসক্ত কিশোরদের মস্তিষ্কে উচ্চ মাত্রায় জিএবিএ আছে৷

তবে ভালো খবর হলো, আসক্তদের মধ্যে যে ১২ জন ৯ মাসের একটি থেরাপি নিয়েছিল, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছে৷

গত মাসের ৩০ তারিখে শিকাগোর রেডিওলজি সোসাইটি অফ নর্দার্ন অ্যামেরিকা আরএসএনএ-এর বৈঠকে এই গবেষণা উপস্থাপন হয়৷

এপিবি/এসিবি (ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য