জার্মানির এক শহরে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য অভিনব এক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় রাস্তা পার হতে ট্রাফিক লাইট দেখতে এখন আর উপরে তাকানোর প্রয়োজন হচ্ছে না৷
বিজ্ঞাপন
কারণ রাস্তাতেই লাইট বসানো হয়েছে৷ ফলে স্মার্টফোনের দিকে চোখ থাকলেও ট্রাফিক লাইটে লাল, হলুদ নাকি সবুজ আলো জ্বলছে সেটি দেখা যাচ্ছে৷
আউগসবুর্গ শহরের দু'টি ব্যস্ত মেট্রো স্টেশন এলাকা এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ ১৫ বছরের একটি মেয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রামের ধাক্কায় নিহত হওয়ার পর এই ধরনের ট্রাফিক লাইট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়৷
হাতের মুঠোয় স্বপ্নের মায়াজাল
কল্পবিজ্ঞান নয়, উইন্ডোস চশমা পরে হাত নাড়িয়ে ত্রিমাত্রিক জগতে প্রবেশ করা যাবে কিছুদিন পরেই৷ হাতের ঘড়িই হয়ে উঠছে স্মার্টফোনের সম্প্রসারিত সংস্করণ৷ প্রযুক্তির জগতে এসে চলেছে এমন একের পর এক চমক৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Elaine Thompson
মাইক্রোসফট-এর হলো-লেন্স
কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা স্মার্টফোনের পর্দা নয়, চারিপাশের বাস্তব জগতের মধ্যেই থ্রিডি ভারচুয়াল কম্পিউটিং এনে দেবে মাইক্রোসফট-এর হলো-লেন্স৷ হলো-লেন্স প্রযুক্তিতে চশমা পরে শুধু আঙুলের ইশারায় আপনার পছন্দমতো ফুটে উঠবে সব কিছু৷ চাইলে এমনকি মঙ্গলগ্রহের বুকেও হেঁটে বেড়াতে পারবেন৷ উপরে ডানদিকে + চিহ্নে ক্লিক করে এখনই তার স্বাদ পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Elaine Thompson
সিস্টেম এক, ডিভাইস অনেক
এতকাল কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন ছিল পরস্পরের থেকে আলাদা৷ কিছু ক্ষেত্রে শুধু ‘সিনক্রোনাইজ’ করা যেত৷ ‘উইন্ডোস টেন’ এই সব ডিভাইসকেই একই সূত্রে বেঁধে ফেলতে চলেছে৷ ফলে স্মার্টফোনে কাজ শুরু করে ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে সেটি শেষ করতে আর অসুবিধা হবে না৷
ছবি: Joe Raedle/Getty Images
স্মার্টফোনই হবে কম্পিউটারের প্রতিফলন
‘উইন্ডোস টেন’ এমনকি স্মার্টফোনের মধ্যেও কম্পিউটারের কাজ সেরে ফেলতে পারবে৷ মাইক্রোসফট অফিস তো থাকবেই, এছাড়াও পেশাগত অনেক কাজ সেরে ফেলা যাবে ফোনের মধ্যে৷ তবে স্মার্টফোনের বাজার দখলের ক্ষেত্রে এতকাল অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপেল-এর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে মাইক্রোসফট৷ নতুন অপারেটিং সিস্টেম সেই প্রবণতা বদলাতে পারে কিনা, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে প্রযুক্তি জগত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অ্যাপল-এর সাফল্য
ব্র্যান্ড হিসেবে অ্যাপল কোম্পানি এই মুহূর্তে তার সাফল্যের তুঙ্গে৷ বিশ্বের অন্য কোনো কোম্পানি একটি মাত্র কোয়ার্টারে ১৮ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করতে পারেনি, যেমনটা অ্যাপল সম্প্রতি করে দেখালো৷ নতুন আইফোন বিক্রির ফলেই এই অভাবনীয় আর্থিক সাফল্য এসেছে৷
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
আইফোন
হার্ডওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম – দুটোই নিজে তৈরি করে আসছে অ্যাপেল৷ বিশেষ করে আইফোন-এর ক্ষেত্রে ব্যবসার এই মডেল সার্থক প্রমাণিত হয়েছে৷ শুধু অসাধারণ ফিচার্সের কারণে নয়, অনেকের কাছে হালের আইফোন থাকাটা ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’-ও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঘড়ির মধ্যেই জগত
আইফোন-এর সাফল্য আইওয়াচ-এর ক্ষেত্রেও ঘটবে বলে আশা করছে অ্যাপল কোম্পানি৷ একদিকে আইফোন-এর যোগ্য সঙ্গী হবে এই ঘড়ি, অন্যদিকে কবজিতে থাকার ফলে রক্তচাপ সহ শরীরের অন্যান্য অনেক ক্রিয়াও নিয়মিত মাপতে পারবে এই ডিভাইস৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Davey
সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড
সংখ্যার বিচারে অ্যাপল-এর তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে গুগল কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম৷ বিশ্বে স্মার্টফোনের বাজারে তাদের আধিপত্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আইফোনের তুলনায় অনেক সস্তায় বিক্রি হয় একাধিক কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন৷
ছবি: Getty Images
চীন থেকে নতুন চ্যালেঞ্জ
অ্যাপল, গুগল বা মাইক্রোসফট-এর মতো অ্যামেরিকান কোম্পানির আধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় চীনের ‘শিয়াওমি’ কোম্পানি৷ স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ডিভাইস নিয়ে বিশ্বের বাজারে বড় আকারে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা৷ তাদের হালের ‘মি নোট’ স্মার্টফোন নাকি ‘আইফোন সিক্স’-কে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
শহর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র স্টেফানি লার্মেন জার্মানির সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, ‘‘এর ফলে মনোযোগের বিষয়টি একেবারে নতুন উচ্চতায় উঠে গেছে৷'' তাঁর কথার সত্যতার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায় সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে৷ বার্লিন সহ ইউরোপের কয়েকটি শহরে পরিচালিত সেই গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২০ শতাংশ পথচারী রাস্তা পারাপারের সময় তাদের স্মার্টফোনের কারণে অন্যমনস্ক অবস্থায় থাকে৷
তবে জার্মানির আরেক সংবাদপত্র ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' বলছে, অনেকেই এরকম ট্রাফিক ব্যবস্থাকে করদাতাদের অর্থের অপচয় বলে মনে করছে৷
এর আগে ২০১৪ সালে চীনের একটি শহরে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চলাচলের জন্য আলাদা লেন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল৷ সেই সময় শহরের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘‘ফুটপাতে অনেক বয়স্ক ও শিশুরা হাঁটাহাঁটি করে৷ তাদের সঙ্গে যেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে ফোন থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোরতদের হাঁটার জন্য আলাদা অংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়৷