1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্মার্ট কার্ড বদলে দেবে অনেক কিছু

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে ‘স্মার্ট কার্ড'৷ তাই জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে এই কার্ড নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে এরইমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ৷ তবে কার্ডটি এখনই সবাই পাচ্ছেন না৷ এটি সবার হাতে যেতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে৷

বাংলাদেশের নির্বাচন
ছবি: DW/S. Kumar Day

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, স্মার্ট কার্ড হবে ১০ ডিজিটের৷ এনআইডি-র মতো ১৩ কিংবা ১৬ ডিজিটের লম্বা লাইন থাকছে না এতে৷ তাছাড়া দেখতে অনেকটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের আদলে হচ্ছে এই কার্ড৷ আর এটি ব্যবহার করেই নাগরিকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে৷

চালু হওয়ার পর, তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের এই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের পরিচিতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে৷ অর্থাৎ নাগরিকরা নানা ধরনের কাজে এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন৷ এর মধ্যে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন, পাসপোর্ট, চাকরির আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচা, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যাংক ঋণ, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে ‍আগমন ও বহির্গমন, বিমা স্কিম, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকিটিং, মোবাইল সংযোগ, হেল্থকার্ড, ই-ক্যাশসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ করা যাবে এর মাধ্যমে৷ মোট কথা, নাগরিকদের শনাক্তকরণের প্রশ্নে এই স্মার্ট কার্ডই হবে যথেষ্ঠ৷

সুলতানুজ্জামান সালেহউদ্দিন

This browser does not support the audio element.

তবে প্রচলিত এ সব কাজের বাইরেও আরো অনেক কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান এনআইডি অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন ই-গেটিং পদ্ধতি চালু রয়েছে৷ সেখানে আমাদের এই কার্ডগুলো ব্যবহার করা যাবে৷ আবার ধরুন, ভবিষ্যতে সার্ক দেশগুলো ভিসা উঠিয়ে দিয়ে এই ই-গেটিং চালু করতে পারে৷ তখন কিন্তু আমাদের এর জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে না৷ আমাদের এই কার্ডই তখন গ্রহণযোগ্য হবে৷''

এই স্মার্ট কার্ডে ভোটারদের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে৷ তাছাড়া টু-ডি বারকোড-যুক্ত যন্ত্রে পাঠযোগ্য এই কার্ড সহজে নকল করা সম্ভব হবে না৷ বর্তমানে প্রচলিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়-পত্রে পাওয়া সুবিধার বাইরেও অসংখ্য কাজে ব্যবহার করা যাবে এ কার্ডটি৷

ভবিষ্যতের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়েই নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার রেখে এই স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআইডি অণুবিভাগের মহাপরিচালক৷

স্মার্ট কার্ড অনলাইন ও অফলাইন – দু'ভাবেই ব্যবহার করা যাবে৷ নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বর্তমানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চুক্তি রয়েছে৷ এ জন্য ইসি থেকে একটি সফটওয়্যার ফ্রিতে সরবরাহ করা হবে এবং ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কেউ ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে চাকরিদাতা কোনো প্রতিষ্ঠান বায়োডাটা না নিয়ে কেবল আইডি কার্ডের নম্বর দিয়েও যে কোনো ব্যক্তির তথ্য পেতে পারবে, যা অনেক বেশি নিরাপদ ও সহজতর হবে৷

জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়-পত্র বা এনআইডি-র উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হচ্ছে ২রা অক্টোবর৷ প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি এক বা একাধিক জেলার কার্ড বিতরণ করা হবে৷ পর্যায়ক্রমে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভোটারকেই স্মাট কার্ড দেওয়া হবে৷ তবে এই কার্ড নেওয়ার সময় নাগরিকদের পুরনো ভোটার আইডি কার্ড জমা দেওয়ার পাশাপাশি ১০টি আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে৷ এক্ষেত্রে কারও কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে পুরনো কার্ডটি তুলে তা জমা দিয়ে তারপর স্মার্ট কার্ড নিতে হবে৷

প্রসঙ্গত, দেশে এখন মোট ভোটার ৯ কোটি ৬০ লাখ৷ এদের মধ্যে ৯১ লাখ ভোটারের এনআইডি নেই৷ তবে যাদের নেই, তারাও পরে স্মার্ট কার্ড পাবেন৷ প্রথমবার স্মার্ট কার্ড নিতে নাগরিকদের কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না৷

আপনার কি এনআইডি আছে? আপনিও কি স্মার্ট কার্ড চান? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ