1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্যালুট’ নিয়ে বিপাকে জার্মান-তুর্কি ফুটবলাররা

১৬ অক্টোবর ২০১৯

কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনা অভিযানের প্রভাব পড়েছে ফুটবল মাঠেও৷ তুর্কি ফুটবলাররা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর পর সামরিক কায়দায় যে স্যালুট দেন তার কঠোর সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ বড় বিপাকে আছেন জার্মান-তুর্কি ফুটবলাররাও৷

ছবি: Getty Images/M. Bureau

রোববার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তুরস্কের খেলায় সমতাসূচক গোলটি করার পরও সতীর্থদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কায়ান আয়হান৷ গোলের আনন্দে তখন মাঠে দাঁড়িয়ে সামরিক কায়দায় স্যালুট দিচ্ছেলেন তাঁর তুর্কী সতীর্থরা৷ শুধু আয়হান এবং জার্মান ক্লাব ফরচুনা ড্যুসেলডর্ফে তাঁর সতীর্থ কেনান কারামান স্যালুট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন৷ 

এমনকি স্যালুট না দেয়ায় তাঁর এক সতীর্থ খেলোয়াড় তাঁকে কিছুটা ভর্ৎসনাও করেছেন মনে হয়েছে৷

গত সপ্তাহে আরেক খেলায় অবশ্য আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়ের পর স্যালুটে অংশ নিয়েছিলেন আয়হান এবং কারামান৷ কিন্তু সেকারণে জার্মানির গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন তারা৷ খেলোয়াড়দের এই আচরণকে সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কিদের সেনা অভিযানের প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে৷ জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশ এই সেনা অভিযান সমর্থন করে না৷

শুধু যে তারাই এমন বিপাকে পড়েছেন তা নয়৷ জার্মান জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড় ইলকাই গ্যুনড্যুয়ান এবং এমরেই কানও সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন৷ তুরস্কের সেনা অভিযানসংক্রান্ত এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়েছিলেন তারা৷ আর সেটাকে সেনা অভিযানের প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করে নিন্দা করা হয়৷ 

এসব খেলোয়াড়ের পক্ষে তাদের সতীর্থরা দাঁড়ালেও চ্যাংক শাহিনের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক জটিল হয়ে গেছে৷ তুর্কি সেনাবাহিনীর পক্ষে ইন্সটাগ্রামে এক পোস্ট দেয়ায় জার্মান ক্লাব সেন্ট পাওলি তাঁকে দল থেকে বের করে দিয়েছে৷ শাহিনের এমন আচরণ ক্লাবটির নীতির সঙ্গে মানানসই নয় বলেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ শাহিন অবশ্য সেই ঘটনার পর তুরস্কে গিয়ে একটি ফুটবল ক্লাবে যোগ দিয়েছেন যেটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পায়৷ 

সিরিয়ার নিহত যোদ্ধাদের বিদায়

01:43

This browser does not support the video element.

ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা খেলার মাঠে কোনরকম রাজনৈতিক বিবৃতি প্রদানকে সমর্থন করে না৷ সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের কারণে তাই তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান খেলোয়াড়দের রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা৷

ইয়েনেক স্পাইগেট / এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ