1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্লিপি জো' কি ট্রাম্প জমানায় ইতি টানতে পারবেন?

২৬ এপ্রিল ২০১৯

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন পেতে বৃহস্পতিবার তিনি আসরে নেমেছেন৷

সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ছবি: picture-alliance/AP/F. Franklin

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন৷ নির্বাচনি প্রচারের সময় রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ ও সে বিষয়ে তদন্তে বাধা দেবার অভিযোগের পক্ষে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মালার কোনো প্রমাণ সংগ্রহ করতে না পারায় বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ কিছুটা ভোঁতা হয়ে গেছে৷ অন্যান্য অনেক তদন্তের মুখেও ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ ও অন্যায়ের শিকার হিসেবে তুলে ধরছেন৷ আগামী ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তাঁর টিম৷ বিরোধী শিবিরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী উদয় না হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় কার্যকালের স্বপ্নে তেমন কোনো বাধা দেখছিলেন না ট্রাম্প৷ ইমপিচমেন্ট বা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এমন আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন নন তিনি৷

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হবার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেন৷ অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় এই নেতা আসরে নামার ফলে ট্রাম্প বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷ বাইডেন ট্রাম্প-কে অ্যামেরিকার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ প্রচারের সূচনায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ট্রাম্প যেভাবে দেশের চরিত্র মৌলিকভাবে বদলে দিচ্ছেন, সেই প্রক্রিয়ার নীরব দর্শক হিসেবে বসে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷

বাইডেন প্রতিযোগিতায় নামায় ট্রাম্প দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তাঁর প্রতি তীর্যক মন্তব্য করে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘‘স্লিপি জো, আপনাকে প্রতিযোগিতায় স্বাগত জানাচ্ছি৷ আপনার বুদ্ধি নিয়ে বহুকালের সংশয় থাকা সত্ত্বেও সফল প্রাইমারি প্রচার চালাতে পারবেন বলে আমি আশা করছি৷''

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-র ৮ বছরের কার্যকালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সক্রিয় ছিলেন জো বাইডেন৷ বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৬৷ আগামী নির্বাচনে সত্যি জয়ী হলে তিনিই হবেন অ্যামেরিকার সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট৷ প্রায় অর্ধ শতক ধরে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ দেশের শ্রমজীবী মানুষের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়৷

বয়স ছাড়াও প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টের সাফল্যের পথে আরও কিছু বাধা রয়েছে৷ এরই মধ্যে প্রায় ২০ জন ব্যক্তি ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে আসরে নেমেছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৬ জন নারী ও ৩ জন কৃষ্ণাঙ্গ৷ বার্নি সান্ডার্স-এর মতো লড়াকু প্রার্থীও মনোনয়ন পেতে চান৷

নারীদের প্রতি বেলাগাম আচরণের কারণে বাইডেন সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন৷ একাধিক নারী তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন৷ তিনি সরাসরি ক্ষমা প্রার্থনা না করে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন বলে আশ্বাস দেন৷ উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে নেমেও ব্যর্থ হয়েছিলেন৷ ছেলের মৃত্যুর কারণে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান৷ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ওবামা সরাসরি প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে সমর্থন জানাননি৷ বাইডেন নিজে বলেছেন, নিজস্ব গুণেই তিনি দল ও দেশের সমর্থন আদায় করতে চান৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ