1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্লোভাকিয়া মুসলমান উদ্বাস্তু চায় না

২০ আগস্ট ২০১৫

ইউরোপে উদ্বাস্তু সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করেছে৷ জার্মানিতে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক, প্রায় আট লাখ উদ্বাস্তু আসতে চলেছে৷ ওদিকে ফ্রান্স আর ব্রিটেন মিলে ইউরো-টানেলের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে৷ কিন্তু পূর্ব ইউরোপ?

Mazedonien Gevgelija Flüchtlingswelle
ছবি: Reuters/S. Nenov

খবরটা ছোট হলেও ঠিক ছোট নয়৷ কেননা স্লোভাকিয়ার এই মনোভাব শুধু একা স্লোভাকিয়ার নয়: ব্রাতিস্লাভার সঙ্গে পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য রাজধানীকেও যোগ করতে হয়, যেমন ওয়ারশ ও প্রাগ, অথবা রিগা এবং ভিলনিয়াস৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি ইটালি ও গ্রিস থেকে উদ্বাস্তু নিতে রাজি হয়েছে; এমনকি সেই ৪০ হাজার উদ্বাস্তুকে কিভাবে ভাগবাঁটোয়ারা করা হবে, তা-ও মোটামুটি নির্দ্দিষ্ট করা হয়েছে৷ কিন্তু এবার আসছে একাধিক নতুন শর্ত৷

যেমন স্লোভাকিয়া সিরিয়া থেকে আগত মোট ২০০ উদ্বাস্তুকে নেবার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু এবার ব্রাতিস্লাভা সরকার বলেছেন যে, স্লোভাকিয়া শুধুমাত্র খ্রিষ্টান উদ্বাস্তুদের নেবে৷ তার কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান মেতিক বলেছেন: ‘‘আমরা ৮০০ মুসলমানদের নিতে পারতাম, কিন্তু স্লোভাকিয়ায় একটিও মসজিদ নেই৷ এখানে ওদের ভালো লাগবে না৷'' অপরদিকে মেতিক-এর বক্তব্য হলো, স্লোভাকিয়া বস্তুত একটি ট্র্যানজিট দেশ, উদ্বাস্তুরা এখানে থাকতে চান না৷

ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি

এই যুক্তি ইতিপূর্বে – অর্থাৎ জুলাই মাসেই – পোল্যান্ডের তরফ থেকেও শোনা গেছে৷ পোল্যান্ড-ও মুসলমান কিংবা আফ্রিকা থেকে আসা উদ্বাস্তু নিতে চায় না৷ চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান লিবিয়া থেকে আগত আফ্রিকান উদ্বাস্তুদের নেওয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার মতপ্রকাশ করছেন৷ গতমাসে তাঁর মুখপাত্র বলেন: ‘‘একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পরিস্থিতি চেক প্রজাতন্ত্রে খুব সুখকর হবে না৷''

পোল্যান্ডে গত জুলাই মাসের একটি জরিপে উত্তরদাতাদের ৭০ শতাংশ জানান যে, তারা মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফ্রিকা থেকে উদ্বাস্তু নেওয়ার বিরুদ্ধে৷ লাটভিয়ায় একটি অনুরূপ জরিপে নাগরিকদের ৫৫ শতাংশ উদ্বাস্তুদের লাটভিয়ায় ঢুকতে দেওয়ার বিরুদ্ধে৷ ওদিকে ব্রাসেলস থেকে ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্রী বলেছেন যে, ইইউ-সদস্যদেশগুলিতে সব ধরনের বৈষম্য নিষিদ্ধ৷ জাতিসংঘের উদ্বাস্তু ত্রাণ হাইকমিশনারের কার্যালয় ইইউ দেশগুলির প্রতি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব উদ্বাস্তু গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে৷

ব্রিটেনে যেতে আকুল

উদ্বাস্তুরা ইউরোপে আসছে পূর্ব ও দক্ষিণের পথ ধরে৷ উত্তর-পশ্চিমে আরেকটি সংকট দানা বেঁধেছে ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরের কাছে, যেখানে প্রধানত আফ্রিকা থেকে আগত উদ্বাস্তুরা ইউরোটানেল হয়ে ব্রিটেনে যেতে আকুল৷ কাজেই এবার ব্রিটেন ও ফ্রান্স মিলে টানেলের প্রবেশপথের চারপাশে নিরাপত্তা আরো কড়া ও আধুনিক করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: আরো উঁচু বেড়া, পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা, ফ্লাড লাইট, ইনফ্রারেড ডিটেকশন পদ্ধতি, এ সব বসানো হবে৷ সেই সঙ্গে মানুষপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হবে উভয় দেশের গুপ্তচর বিভাগ৷

চ্যালেঞ্জ, কিন্তু অসাধ্য নয়

জার্মানির সমস্যা হলো উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা – চলতি বছরে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা নাকি আট লক্ষে দাঁড়াতে পারে, বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের৷ এর আগের রেকর্ড ছিল চার লাখ চল্লিশ হাজার – সেটাও ১৯৯২ সালে, অর্থাৎ ২৩ বছর আগে৷ ‘‘এটা আমাদের সকলের পক্ষে একটা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু কোনো অসাধ্য কাজ নয়,'' বলেছেন ডেমেজিয়ের৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ