1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং – এক গভীর গহ্বর

ফিলিপ বিলস্কি/এসবি২২ অক্টোবর ২০১৪

হংকং প্রশাসন ও আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত আলোচনার ফল হলো – ‘আমরা যে কোনো বিষয়ে একমত হতে পারি নি, সে বিষয়ে আমরা একমত'৷ কিন্তু প্রতিবাদ বন্ধ হবে না বলে মনে করেন ফিলিপ বিলস্কি৷

Demonstration in Hongkong 20.10.2014
ছবি: Reuters

আলোচনা টেবিলে কে কোথায় বসছে, সে দিকে নজর দিলেই আলোচনার ফলাফল আগেভাগেই বোঝা সম্ভব৷ হংকং প্রশাসনের প্রতিনিধি ও ছাত্রছাত্রীরা কোনো গোলটেবিলে বসেন নি৷ একদল বসেছিলেন বাঁদিকে, অন্যদল অনেক দূরে ডানদিকে৷ তাদের মাঝে যেন ছিল এক গভীর গহ্বর৷ ঠিক একইভাবে দুই দল পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নেয়৷ ঐক্যের কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি৷ এমন আলোচনা চালিয়ে যাবার কোনো অর্থ হয় কি না, ছাত্রছাত্রীরা আগামী কয়েক দিনে সে বিষয়ে ভেবে দেখবেন৷

অথচ হংকং সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদকারীদের প্রতি সদিচ্ছার সংকেত পাঠানো হয়েছিলো৷ সংলাপের আগে সরকার প্রধান লেউং চুন ইং বলেছিলেন, হংকং-এর প্রশাসক পদের প্রার্থীদের বাছাই করতে যে মনোনয়ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার কাঠামো আরও গণতান্ত্রিক করে তোলার সুযোগ এখনো রয়েছে৷ চীনা সরকারের প্রতিনিধি ক্যারি লাম-ও আলোচনার সময় একই কথা বলেছিলেন৷ তাঁর মতে, চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেস যে কাঠামো স্থির করে দিয়েছে, তার মধ্যেই কিছু রদবদল করা সম্ভব৷ তাছাড়া ২০১৭ সালের জন্য নির্বাচনি আইনের সংস্কারই শেষ কথা নয়৷ এর পরের নির্বাচনগুলি আরও গণতান্ত্রিক করে তোলা যেতে পারে – সরকারের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিতই করা হয়েছে৷

বিক্ষোভকারীদের সামনে বিয়ের পরের প্রথম ছবি তুলছে এক নবদম্পতিছবি: Philippe Lopez/AFP/Getty Images

আদর্শ বনাম বাস্তব

তবে হংকং-এর সরকার একই সঙ্গে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ প্রার্থীদের আগে থেকে বাছাই না করে এক প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন আপাতত সম্ভব নয়৷ তাদের যুক্তিও স্পষ্ট৷ ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর হংকং-এর যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিলো, তাতে সমাজের নানা স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গড়া মনোনয়ন কমিটি গঠনের বিষয়টি স্থির করে দেওয়া আছে৷ হংকং কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র নয় – চীনের মধ্যেই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল৷ অর্থাৎ ইঙ্গিতটা খুবই স্পষ্ট – শুধু আদর্শ থাকলেই হবে না, বাস্তব পরিস্থিতিও মেনে নিতে হবে৷

ফিলিপ বিলস্কি, ডয়চে ভেলেছবি: DW

ছাত্র নেতারা এখন কী অবস্থান গ্রহণ করেন, তা হয়তো আগামী কয়েক দিনেই টের পাওয়া যাবে৷ তবে তাঁদের প্রাথমিক মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, যে ছাত্রছাত্রীরা অস্পষ্ট কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হতে প্রস্তুত নন৷ এমনকি ছাত্র সংগঠনগুলি নীতিগতভাবে আপোশ করতে রাজিও হয়, অর্থাৎ গণতন্ত্রের দিশায় ছোট পদক্ষেপ মেনে নেয় – তা সত্ত্বেও রাজপথের পরিস্থিতি বদলাবে না৷ কারণ এই আন্দোলন বেশ কিছুকাল ধরেই এক নিজস্ব গতি পেয়ে গেছে৷

পথ অবরোধ ও পেপার স্প্রে

মনে রাখতে হবে, প্রাথমিক উদ্যোক্তা – অর্থাৎ ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন ও ‘অকুপাই সেন্ট্রাল' আন্দোলন এখন শুধু প্রেরণা জোগাচ্ছে৷ রাজপথে ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই তাঁদের চূড়ান্ত দাবি থেকে এক চুল সরে আসতে রাজি নন – তাঁরা চান সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন৷ অদূর ভবিষ্যতে যে সেটা সম্ভব হবে না, তা জেনেও এমন দাবিতে তাঁরা অটল রয়েছেন৷ এর অর্থ কী? অদূর ভবিষ্যতে হংকং-এ সংঘাত বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ আরও বিক্ষোভ, আরও পথ অবরোধ চলতে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে চলবে কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে-র প্রয়োগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ