1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং এর লাভ হোটেলকে ব্রুস লি মেমরিয়ালে রূপান্তরের প্রস্তাব

১ মার্চ ২০১০

কুং-ফু আইকন ব্রুস লির বসতবাড়িই বর্তমানের লাভ হোটেল৷ এই হোটেলকে ব্রুস লি স্মৃতি ভবনে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

ছবি: AP Photo/Columbia Picture

লাভ হোটেলের ঝলমলে নোটিশ বোর্ডটি হংকং এর কামবারল্যান্ড রোড ধরে হেঁটে যাওয়া যে কোন মানুষেরই দৃষ্টি আর্কষণ করে৷ হোটেলের রুমগুলো ঘন্টা ধরে ভাড়া দেয়া হয়৷ বিশেষ ছাড়ে ঘন্টা প্রতি রুমের ভাড়া দাঁড়ায় ২৫ ডলার৷ সরু পথ ধরে হলঘরটিতে যেতে দুধারের প্রতিটি দেয়ালে দেখা যায় বিভিন্ন পোস্টার৷

১৯৭৩ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে মারা যান ব্রুস লি৷ তিনি মারা যাবার পরই তার বসত বাড়িটিকে পরিণত করা হয় হোটেলে৷ বিখ্যাত অভিনেতা ব্রুস লির কন্যা স্যানন লি জানান, বাড়ির পরিবর্তন করা হয়েছে৷

বর্তমানের হংকংছবি: Xiao Xu

৪০ বছর বয়সি স্যানন লি বাড়ির এখনকার এই চটকদার অবস্থা দেখে সেই পুরানো দিনের কথা স্মৃতিচারণ করেন৷ যেখানে তার বাবা শরীরচর্চা করতেন সেই খালি জায়গাটিতে এখন পোষা প্রাণীগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে৷

তিনি বলেন, তার বাবা নিজের ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকে বেশ কদর করতেন৷ বাড়িতে তাঁর শরীরচর্চার একটি জায়গা ছিল, আর শিশুরা সেখানে ঘুরে বেড়াতো৷

বর্তমানে এই জায়গাটির মালিক ইউ পাং-লুন জানান, তিনি জায়গাটি বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, জায়গাটির মূল্য ১০০ মিলিয়ন হংকং ডলার৷ তিনি একে বিখ্যাত অভিনেতা ব্রুস লির সম্মানে দান করতে চান৷

তিনি বলেন, বাড়িটি সংস্কার করে এখানে একটি মিউজিয়াম, লাইব্রেরি, সিনেমা হল এবং মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

ব্রুসলি ক্লাবের চেয়ারম্যান ওয়ং ইয়ু কেয়ং বলেন, বাড়িটিকে এর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সেভাবেই সংস্কার করতে হবে যাতে দর্শনার্থীরা উপলব্ধি করতে পারে তাদের প্রিয় অভিনেতা ব্রুস লি কিভাবে থাকতেন৷

স্যানন লির মা, বাড়িটি সংস্কারের কাজে সাহায্যের জন্য একটি ব্লু-প্রিন্ট পাঠিয়েছেন৷ তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন৷

সব ঠিকঠিক হলেও স্মৃতি ভবনটির আসল রূপ কী হবে, কে বহন করবে নির্মাণের ব্যয় এবং কবে তা দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হবে এই বিষয়গুলো এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে৷

হংকং এর পর্যটন বিভাগ মনে করছে ব্রুস লি মেমোরিয়াল তৈরি হলে তা শুধু দেশের নয় বিদেশি বহু পর্যটককেও আর্কষণ করবে৷

প্রতিবেদক: আসফারা হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ